পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় প্রথম খণ্ড.djvu/২৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ-সংখ্যা । ] দেখি, তবে সে সময়ে আমার সে বন্ধু বাস্তবিকই জীবিত আছেন, অথবা অনেকদিন হইল মুত হইয়াছেন, এ কথা জিজ্ঞাসার বিষয় বলিয়াই মনে হয় না । কিন্তু তথাপি দুয়ের মধ্যে বিশেষ একটি প্রভেদ আছে ; সে প্রভেদ এষ্ট যে, প্রকৃত স্বপ্নের অবস্থায়— স্বপ্ন যে স্বপ্ন, তাছা জানিতে পারিবার কোনো উপায় নাই ; পক্ষান্তরে জাগ্রৎস্বপ্নের অবস্থায়-স্বপ্নের স্বপ্নত্ব বোদ্ধার.নিকটে ধর পড়িতে বিলম্ব হয় না । বিজ্ঞান-রাজ্যের ব্যাবহারিক সত্তার মধ্যে ও যে মনোরাজ্যের প্রাতিভাসিক সত্তা তলে তলে কার্য্য করে, তাহার দিবা একটি প্রত্যক্ষ প্রমাণ আছে ; সে প্রমাণ এক্ট : চিত্র-বীক্ষণ যন্ত্রের দুই চোঙের মধ্য দিয়া তাহার অভ্যন্তরে দৃষ্টি নিক্ষেপ কর –দেখিবে যে, তাহার অস্তনিহিত আলেখ্য-পটে বাড়ীঘর, রাস্তা-ঘাট প্রভৃতি যাহা যাহা চিত্রিত আছে, সমস্তই যেন বাস্তবিক সত্য-এই ভাবের একটি প্রাতিভাসিক দৃশু তোমার চক্ষের সম্মুখে সাক্ষাৎ বিরাজমান। তখনকার সেই প্রত্যক্ষ পরিদৃশ্যমান বাড়ী-ঘর, রাস্তা-ঘাট, উদ্যান-কানন, গিরি-নদী, যেখানে যেখানে প্রতিভাসিত হইতেছে, সেখানে সেখানে উছাদের বাস্তবিক সত্তা মূলেই নাই; আছে তবে কোথায় ? উহাদের যেখানকার যত কিছু বাস্তবিক সত্তা, সমস্তই যন্ত্রাধিশিত ছইখানি চিত্রলিপির মধ্যে সভূক্ত রহিয়াছে। ইহাতে প্রমাণ হইতেছে এই যে, জাগ্রৎকালের বিজ্ঞান-রাজ্যের মধ্যেই মনোরাজ্য প্রচ্ছষ্ট. রহিয়াছে ; আর সেই যে মনোরাজ্য, ७९ग्रे ?ोंछिछांनिक जखो दिछांन-ब्लांटखाग्न সার সত্যের অালোচনা | ২৭৩ ব্যাবহারিক সত্তা’র দুই পৃষ্ঠের এক পৃষ্ঠ । বুদ্ধির বিষয়ীভূত বিজ্ঞানরাজ্যের বস্তু-সকলের দুই পৃষ্ঠে দুইরূপ সত্তা সংশ্লিষ্ট থাকা’তে বুদ্ধির পক্ষে দিব্য একটি সুবিধা হইয়াছে এই যে, বুদ্ধি ইচ্ছা করিলেই দুইকে পরস্পরের সহিত মিলাইর। দেখিয়া বিবেচ্য বস্তুর ব্যাবহারিক সত্ত। কোন অংশে প্রতিভাসিক এবং কোন্‌ অংশে বাস্তবিক, তাহার যথাসম্ভব ঠিকানা পাইতে পারে । { ২ ) ব্যাবহারিক সত্তার ও পিট । আমি বেশ বুঝিতে পারিতেছি যে, ঐ থামটার ব্যাবহারিক সত্ত। উহার বাস্তবিক সন্তাতে ভর দিয়া দাড়াইরা আমার ইন্দ্রিয়ক্ষেত্রে প্রতিভাসিক সত্ত। ছড়াইতেছে ; তার সাক্ষী, উহা আমার চক্ষুরিন্দ্রিয়ে শ্বেতবর্ণ স্থূলাকৃতি এবং স্পশেন্দ্রিয়ে সংঘাতকাঠিন্ত, দুই ইন্দ্রিরে এই যে দুই প্রকার ভোগ-সামগ্ৰী বাটয় দিতেছে, দুয়েরই সত্ত ঐ থামটার প্রতিভাসিক সত্তা । এখানে থামটার বাস্তবিক সত্তার সহিত তাহার ঐ দুইপ্রকার প্রতিভাসিক সত্তার সম্বন্ধ যাহা দেখিতে পাওয়৷ যাইতেছে, তাহ বস্তু-গুণের সম্বন্ধ । এই গেল একটা কথা— অর্ণর একটা কথা এই যে, কালে ঐ থামটার গাত্রে শেয়াল জমিয়া উহার শুভ্ৰ গাত্র মলিন হইয়া যাইতে পারে ; উহা জরা-জীর্ণ হইয়া ভাঙিয়। খসিয়া পড়িতে পারে ; উহা জলে গলিয়া অদৃগু হইয়া যাইতে পারে ; সবই হইতে পারে---কিন্তু কিছুই হইতে পারে না বিনা কারণে বিন কারণে অত বড় ঐ থামটার একটি ক্ষুদ্রাৎ-ক্ষুদ্র বালুকণাত্ত