ষষ্ঠ-সংখ্যা । ] সহায় ছিলেন, তাহার কোন একটা লেখায় ব্যক্তিগত আক্রমণের কিছু বাড়াবাড়ি দেখিয়া, একটু বাদসাদ দিয়াছিলাম । আরে বাপরে – “কে দিল আগুনে স্থাত কে ধরিল ফণী !” সভ্যই তথন আমার উদ্দীপনার— “পঞ্চম মঙ্গলে আর রন্ধ,গত শনি !” তখন বুঝি নাই, কিন্তু এখন বুঝিয়াছি,— সাহস থাকে, সহ গুণ থাকে, পরমায়ু থাকে, “ভিমরুলের চাকে” হাত দি ও, কিন্তু লেখক বলিয়া যাহাদের খ্যাfন্ত আছে, অন্তত কোন নামজাদা মাসিক পত্রিকায় ইভিপূৰ্ব্বে যাহাদের দুষ্ট একটা লেখা ও বাহির হইয়াছে, সম্পাদক হষ্টয়া তাহদের লেখায় sাত দি ও না, দি ও না, দি ও না! তাহ। হইলে তাহাদের রোষ রাবণের শক্তিশেলের মত তোমার বুকে বিধিবে, ইন্দ্রের বঞ্জের মত তোমার মাথায় পড়িবে, বিষ্ণুর সুদর্শনের মত তোম’র শক্তি খণ্ডবিখ গু করিয়া দিবে। fক স্তু বলিতেছিলাম, এতদিনে আমি আপনার পায়ে আপনি কুঠার বসাইলাম । র্যাহার লেখার জামার “উদ্দীপন।” উদ্দীপিত হইতেছিল, তাহারি ক্রোধে এখন বুঝি “উদ্দীপনা” দগ্ধ হয় । বুঝিলাম, আলো যে দেয়, পোড়াইতে ও সেই পারে, কিন্তু – "এতদিন বুঝি নাই, এখন কি হবে বুঝে !” এখন যে,— “জাপন কর্মদোষে স্বধার সমুদ্র, দৈবে শুকায়ল, • তিয়াসে পরাণ শোষে।” বলিতে বুক ফাটিয়া যায়, আমার সেই অামার সম্পাদক । ՀԵՑ লেখকচূড়ামণি অন্ত কাগজে প্রবন্ধ দিতে লাগিলেন । এতদিনে-- “ছ। শস্তু তুমিও বাম !” ত যাই হোক, আমি তাহার আশা ত্যাগ করিলাম না, অনেক সাধাসাধি, কাদার্কাদি, হঁাটাইটি করিলাম, কিন্তু আমার লেখকপ্রবরের একই কথা,-- “যাও যা ও মিছে সেধ’ না, ভাঙিলে সকলি মিলে মন মিলে না ।” না মিলুক, আমি কিন্তু একদিন “নছোড়-বান্দ৷” হইয়। ধরিলাম । “আমার কি অপরাধ, তাই আর আমার কাগজে লেখেন না !” উ: -- মনে করিয়া দেখ ! আমি –তাছার জন্ত কতবার ক্ষমা চাহিয়াছি, এক অপরাধের কি মার্জনা হয় না ? উ: । এখন সেরূপ শত অপরাধ হইবে । এখন তুমি প্রবীণ সম্পাদক । আমি।--তা নয়, এবার আমি কি স্থির করিয়া ছি, শুকুন। আপনার অভিপ্রায় অনুসারেই এখন সমস্ত প্রবন্ধ নিৰ্ব্বাচিত হইবে,-উদ্দীপনা আপনারই। উঃ —এখন আর সে কথা সাজে না । আমার উদ্দীপনা হইলে কি এমনতর ঘটে ! তোমায় আমায় কি সম্বন্ধ ! আমি তোমায় প্রবন্ধ দিব, তুমি ছাপিবে। আমার লেখা বাদ দিয়া কাটিয়া ছাটিয়া ছাপিবে, ইহা আমি সহ করিব, এ সম্বন্ধ নহে । আমি।-উদ্দীপনা:আপনার আশ্রিত— প্রতিপালিত, আপনার প্রবন্ধের ভিখারী !