পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় প্রথম খণ্ড.djvu/৩০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

حماسه پسین میان مییاسی بحبوسط موسس--- মুক্তামালা। اسسسسسستينكستريتسني سجلات تسمساد. ক্রোধ । বিলাসপুরের রাজা প্রতাপসিংহের মহিষী চন্দ্রা বর্তী ক্রোধাগারে উপবেশন করিয়া রহিয়াছেন । আগারের আয়তন ক্ষুদ্র, গবাক্ষ নাই, হৰ্ম্ম্য তলে কোনরূপ শয্যা বা আসন নাই । গৃহের প্রাচীরে, লোহি তাক্ষরে “মানাগার” এই শব্দ খোদিত রহিয়াছে । ক্রোধ লোহিতমূৰ্ত্তি, এইজন্ত লোহিত অক্ষর । রাণী ভূতলে বসিয়া আছেন । কেশ অবেণাৰদ্ধ, চন্দ্রাবতী বেণী মুক্ত করিয়া, কেশ রুক্ষ করিয়াছেন ; কপালে করাঘাতের চিত্ত্ব, রোদনে চক্ষু ফুলিয়াছে ; বস্ত্র মলিন, জাৰ্ণ ; অঙ্গের অলঙ্কার গৃহে ইতস্তত বিক্ষিপ্ত রহিয়াছে। দারুণ ক্রোধে রাণী মানাগারে প্রবেশ করিয়া দ্বার রুদ্ধ করিয়াছেন । ক্রোধের ইতিহাস বড় সহজ নয় । আfগ্রার দুর্গস্থিত আকবরবাদশাহের মহুিধী যোধাবাইর মহল হইতে এক হিন্দু দাসী কৰ্ম্ম ছাড়িয়া আসির প্রতাপসিংহের অস্ত:পুরে স্থান পাইয়াছিল। চন্দ্রাবতী যখন শুনিলেন যে, মীরা যোধাবাইর মহলে দাণী ছিল, তখন তাহাকে নিযুক্ত করিয়া তিনি মনে মনে অত্যন্ত সুখগৰ্ব্ব অনুভব করিলেন । তাহার সহিত দিবারাত্র যোধাবাইর ও বাদশাহী ঐশ্বর্য্যের গল্প কর। তাহার প্রধান কৰ্ম্ম হইয়। উঠিল । একদিন রাণী একছড়া মুক্তার মালা বাহির করিয়া গলায় দিয়াছিলেন । মীরা দেখিয়া কহিল, “রাণীসাহেব, মুক্তার মালা যদি পরিতে হয় ত যোধাবাইর মত একছড়া ক্রয় কর।” । রাণা সকৌতুকে ও সাগ্রহে জিজ্ঞাসা করিলেন, “সে কিরকম মুক্ত ?” দাসী কহিল, “সে মালায় কেবল একসারি মুক্তা”—রাণীর গলায় একাদশ সারির মালা ছিল “কিন্তু তেমন মুক্ত কেহ কখন চক্ষে দেখে নাই। যেমন বড়, তেমনি উজ্জল, ভিন্ন আলোকে ভিন্নরকম রং, দেখিয়া আশ মেটে না । তুমি যোধাবাইর অপেক্ষ সুন্দরী, তোমাকে সেইরকম একছড়া মালা উত্তম সাজিবে ।” সেই অবধি চন্দ্রাবতী আহার-নিদ্রা ত্যাগ করিয়া মুক্তামালার ভাবনা ভাবিতে লাগিলেন। পতি প্রতাপসিংহকে ধরিলেন, যোধাবাইর তুল্য একছড়া মুক্তার মালা তাহাকে আনাইয়া দিতে হইবে।