পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় প্রথম খণ্ড.djvu/৩১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তরল-বায়ু । প্রায় ৭৫ বৎসর পুৰ্ব্বে, যখন আচাৰ্য্য ফ্যারাডে সৰ্ব্বপ্রথমে বায়বীয় পদার্থ তরলীভূত করিবার উপায় আবিষ্কারের জন্য অহোরাত্র পরীক্ষাগারে আবদ্ধ থাকিতেন, সেই সময়ে আচার্য্যের জনৈক বন্ধু তাঁহাকে জিজ্ঞাসা করিয়াছিলেন,—“তোমার এই আবিষ্কার-দ্বারা সংসারের কি উপকার হইবে ?” ফ্যারাডে তদুত্তরে বন্ধুবরকে বলিয়াছিলেন,—“শিশুসন্তানদ্বারা গৃহস্থের কি উপকার হয় বলিতে পার ?” তরলীভূত বায়বীয় পদার্থ যে একদিন সংসারের নানাকার্যো ব্যবহৃত হইবে, সেই প্রাথমিক বৈজ্ঞানিকযুগে প্রাচীন অধ্যাপক ফ্যারাডে তাহা দিব্যচক্ষুতে স্পষ্ট দেখিয়াছিলেন । সাংসারিক সহস্ৰকাৰ্য্যে তরলীভূত বায়ুর নানা উপযোগিতা ও বায়ু তরল করিবার সহজ প্রক্রিয়ার ব্যাপার আবিষ্কৃত হওয়ায়, স্বৰ্গীয় আচার্য্যের পূৰ্ব্বোক্ত উক্তিটির প্রত্যেক বাক্য ভবিষ্যদবাণীর ন্যায় সফল হইল বলিয়া মনে হইতেছে,-—এখন সত্যই ফ্যারাডের সেই অক্ষম শিশুসস্তানটি পূর্ণতালাভ করিয়া, এক অদ্ভুত শক্তিদ্বারা সংসারের ছোট-বড় নানা কাজ সহজে সম্পন্ন করিবার আয়োজন করিতেছে । যে মূলপদ্ধতিক্রমে বায়ু তরলীকৃত হইয়াছে, সেটা অতি সহজ এবং সকলেরই পরিজ্ঞাত। ডালটন ও ফ্যারাডে হইতে चांब्रख् कद्रिब्र, cझॉफ़े-बफ़ बिछानबिन्-भाcजहे, সেই একই পদ্ধতিক্রমে বায়বীয় পদার্থ তরল করিবার চেষ্টা করিয়া আসিতেছিলেন, কিন্তু সহজে সেই পদ্ধতি প্রয়োগের কৌশল জান না থাকায়, প্রাচীন ও আধুনিক বিজ্ঞানবিদগণের সকল চেষ্টা ব্যর্থ হইয়। আসিতেছিল । অল্পদিন হইল, অধ্যাপক ডি ওয়ার-( Dewar j-নামক জনৈক পণ্ডিতের আবিষ্কৃত কৌশলক্রমে মাকিন শিল্পী টিপলার- Tripler )-সাহেব বায়ু তরল করিবার একটি যন্ত্র গঠন করিয়া, জগতের একটা মহান উপকার সাধনের উপক্রম করিয়াছেন । চাপ ও শৈত্য প্রয়োগ ব্যতীত বায়বীয় পদার্থ তরল করিবার উপায়াস্তর নাই । একটা দৃঢ় কাচগোলকের মধ্যে পম্প দ্বার বাহিরের বায়ু বা অপর কোন ও বায়বীয় পদার্থ প্রবেশ করাইলে, কাচগোলকের ভার ক্রমেই বৃদ্ধি প্রাপ্ত হয় ; কারণ যে বায়বীয় পদার্থ পূৰ্ব্বে মুক্তাবস্থায় বাহিরের অনেকটা স্থান অধিকার করিয়াছিল, তাহাই এখন গোলকমধ্যস্থিত ক্ষুদ্র স্থানে সঙ্কুচিত হইয়া রহিয়াছে। বায়ু, অক্সিজেন, হাইড্রোজেন ইত্যাদি অদৃপ্ত বায়বীয় পদার্থগুলিকে পূৰ্ব্বোক্তপ্রকারে গোলকাবদ্ধ করিতে থাকিলে, তাহার অবস্থা ক্রমে কি প্রকারে পরিবর্তিত হয়, তাই প্রত্যক্ষ দেখিবার উপায় নাই, কিন্তু একটু চিস্ত করিলে স্পষ্টই বুঝা যায়, মুক্তবিহীন বে বায়ুরাশি বৃহৎ স্থান অধিকার করিয়াছিল,