পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় প্রথম খণ্ড.djvu/৩২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সুম-সংখ্যা । ] লৈ স্বপ্লাবস্থা, কাছাকে বলে স্বযুপ্তাবস্থা, স্তই জ্ঞাতা পুরুষের নিকটে সুব্যক্তি । ইহাঙ্গে প্রমাণ হইতেছে এই যে, rগরিতাবস্থার মধ্যেই অপর দুই অবস্থা iলে তলে জানান দিতেছে ; কেন না, গগরি তাবস্থার মধ্যে যদি অপর দুই অবস্থার কোনো নিদশনই বিদ্যমান না থাকি ত, তাহা হইলে জাগ্ৰংকালে সে দুই অবস্থার সম্বন্ধে কোনো কথা চলিতে পারা দূরে থাকুক্‌, কোনো কথা উঠিতেই পারিত না ! জাগ্রৎকালের স্বপ্ন । ইতিপূৰ্ব্বে বলিয়াছি যে, চিত্র-বীক্ষণ যন্ত্রের অভ্যন্তরে দৃষ্টি-নিক্ষেপ করিলে একপ্রকার প্রতিভাসিক দৃশু দর্শকের চক্ষের সম্মুখে উদ্ভাসিত হয় । সে দৃশ্যের ভিতরের ব্যাপারটা যে কি, তাহা বিজ্ঞানের কৃপায় অনেকেই মামরা বুঝি । কিন্তু আমরা दृश्नि कि श्हेष्व-आयायमब्र চক্ষুরিস্ক্রিয় বোঝে না । আমাদের চক্ষুরিঞ্জিয়কে আমরা যতঃ বুঝাইয়। বলি না কেন—যে, "তুমি যাহা দেখিতেছ, তাহ সৰ্ব্বৈব মিথ্যা”—সে কিন্তু কিছুতেই আপনার গো ছাড়ে না ; সে লে, "বাঃ ! স্পষ্ট আমি দেখিতেছি অভ্রভেদী পৰ্ব্বত, স্রোতস্বতী নদী, পুপিত গান-কানন, হংসকারগুবাকীর্ণ সরোবর, স্থব্যবস্থিত রাস্তা-ঘাট-দেবালয়-প্রাসাদগ্যান-পুষ্করিণী-পরিশোভিত লোকালয়— रंग बगिएडश् कि न गरेकर्तव बिथा' ! গিীর চক্ষুন্থটিকে তুমি কোথায় রাখিয়া 8 সার সত্যের আলোচনা। vరిని) আসিয়াছ ” ইহার প্রত্যুত্তরে বুদ্ধি বলে যে, “তুমি দেখিতেছ এটা সত্য, কিন্তু যাহা দেখিতেছ তাহা মিথ্যা।” ইহারই নাম হর-পাৰ্ব্বতীর কন্দল । হাজার হো’ক বুদ্ধি অবলা স্ত্রী ; মন ষণ্ডামার্ক-গোয়ার। মনের গায়ের জোরের কাছে বুদ্ধি অপটিয়া উঠিতে পারে না বুদ্ধি বেচারী নিতান্তই দায়ে পড়িয়া, মন যাহা বলিতেছে, তাঁহাই ঘাড় পাতিয়া লয় । বুদ্ধিমতী বুদ্ধি বলে, “সত্যি ! কেমন দেখ বাগান ! দিব্যি সোণালি রঙের চাপাফুল ফুটে’ য়’য়েচে ! ঐ ফুলটি এনে দিয়ে আমাকে বাঁচাও ! আমার বডড সাধ গিয়েছে—ঐ ফুলটিকে ভুল করে কাণে পরি।” মন ফুল তুলিতে গিয়া দেখে যে, সে ফুল ও নাই, সে উদ্যানও নাই, সবই ভে ভl ! মন তখন মনের খেদে বলে— “সাধে কি শাস্ত্রে লেখে 'স্ত্রীবুদ্ধিঃ প্রলয়ঙ্করী’ ! তাহার দৌড়কে বলিহারি । কঠোর পরীক্ষার নিকট হইতে কাণমলা খাইয়া সবেমাত্র এখন আমার এইরূপ ধারণা হইতেছে যে, বুঝি বা সৰ্ব্বৈব মিথ্যা; বুদ্ধির কিন্তু একমুহূৰ্ত্তও ত্বর সহিল না—প্রথম উদ্যমেই বলিয়া বসিল সৰ্ব্বৈব মিথ্যা’ ! কালিদাস ঠিকই বলিয়াছেন যে, স্ত্রীজাতি অশিক্ষিত পটু অর্থাৎ না পড়িয়া পণ্ডিত !” প্রকৃত কথা এই যে, বুদ্ধি প্রথম উদ্যমেই ও-কথা বলে নাই ; বুদ্ধি গবাক্ষের দ্বারে উকি দিয়া মনকে অনেকবার ঐরূপ প্রতারিত হইতে দেখিয়াছে ; আর, সেই ভুয়োদর্শনের ফলেই জানিতে পারিয়াছে যে, মন যাহা দেখিতেছে—সবই ফাকি । মনের ভ্রাত্তিও এক