পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় প্রথম খণ্ড.djvu/৩৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম-সংখ্যা । ] তেছে। ইহাতে প্রমাণ হইতেছে এই যে, স্বপ্লাবস্থায় দর্শকের মনের চিরাভ্যস্ত সংস্কার যেমন বুদ্ধির অসাক্ষাতে কাৰ্য্য করিয়া নানাপ্রকার দৃশু উদ্ভাবন কয়ে, জাগরিতাযস্থাতেও অবিকল তাহুষ্টি করে ; প্রভেদ কেবল এই যে, স্বপ্লাবস্তায় চিরাভ্যস্ত সংস্কায় অবিতর্কিত-ভাবে যাহা প্রাণ চায়, তাহাই উদ্ভাবন করে, ( এ এক প্রকার দিনে ডাকাতি ) ; জাগরিতাবস্থায় মনোরা জোর স্বপ্ন বিজ্ঞান-রাজ্যের প্রাচীরের আড়ালে লুকাইয়া থাকিয়া পুরবাসীদিগের চক্ষে ধূলিমুষ্টি নিক্ষেপ করিতে থাকে । জাগ্রৎকালের সুষুপ্তি। নিদ্রা কালে আমরা যেরূপ আমাদের জ্ঞানের অসাক্ষাতে নিশ্বাস-প্রশ্বাস অাকর্ষণবিসর্জন করি, এবং তজ্জনিত স্বাস্থ্যমুখ উপভোগ করি, জাগ্রৎকালে ও সেইরূপ করিয়া থাকি । জাগ্রাৎকালে দৈবাৎ কখনো নিশ্বাস- প্রশ্বাসের পরিচালনা-পথে ক ফাদির বিঘ্ন উপস্থিত চাইলে, তবেই যা দে-দুই কাৰ্য্যের প্রতি আমাদের দৃষ্ট পড়ে, নচিলে নিদ্রা কালে ও যেমন জাগ্ৰংকfলে ও তেমনি –সে-দুই কার্য্য আমাদের জ্ঞানের অ সাক্ষাতে স্ব ভাব-গুণে আপনাআপনি চলিতে থাকে। ঘুমানে মার কিছুই না—প্রকৃতির অব্যক্ত সত্তাতে হাতপী ছড়াইয়া গা ভাসাইরা দে ওয়া । যখন নৌক৷ পাল পাইরাছে— এবং অমুকুল प्याथ् बहिरङरझ-मैज़ि डथन घूमड-डाप्द ডি. টানে। নৌকা যখন ৰেশ পা’ল পঠিয়াছে, কিন্তু স্রোতের প্রতিকূলে চলি সার সত্যের আলোচনা। |రిపిరి তেছে, দাড়ি তখন অৰ্দ্ধসুপ্ত-ভাবে দাড় টানে। যখন বায়ু এবং স্রোত দুইই প্রতিকুলে বহিতেছে, তখনই দাড়ি পুরামাত্রা জাগ্রত-ভাবে দাড় টানে । তেমনি সচরাচর আমরা ঘুমন্ত-ভাবে নিশ্বাস-প্রশ্বাস আকর্ষণবিসর্জন করি ; তা বই, যখন আমরা মাত্রাতীত শারীরিক পরিশ্রম করিয়া হাঁপাইতে থাকি, তখনই কেবল আমরা জাগ্রত-ভাবে নিশ্বাস- প্রশ্বাস অাকর্ষণবিসর্জন করিতে থাকি । সচরাচর অামা দের প্রাণ অামাদের জ্ঞানের অসাক্ষাতে আমাদের-তইয়া নিশ্বাস-প্রশ্বাস অাকর্ষণবিসর্জন করে ;–প্রাণের এইরূপ অব্যক্ত ফুৰ্বির নামই ( অর্থাৎ অচেতন ফুৰ্ত্তির নামই ! মুপ্তি । নিশ্বাস-প্রশ্বাসের পথে বিঘ্ন উপস্থিত হইলেই জ্ঞান প্রাণের হাতের কােজ আপনার হাতে টানিয়া লয় ; জাহা যখন করে, তখন. নিশ্বাস-প্রশ্বাসের সুপ্তি ভাঙিয়া যায় । হইতেছে যে, জাগরিভাবস্থার মধ্যে ও সুষুপ্তি তলে তলে আপনার রাজ্য চালায় ; কোন রাজ্য ? ন। প্রাণরাজ্য। ইতিপূৰ্ব্বে আমরা দেখিয়াছি যে, জাগ্ৰংকালে মনো রাজোর স্বপ্ন বিজ্ঞান-রাজ্যের প্রাচীরের . আড়ালে লুকাইয়া থাকিয় স্বকাৰ্য সাধন করে ; এক্ষণে অধিকন্তু দেখিতে পাইতেছি যে, প্রাণরাজ্যের স্বযুপ্তি মনোরাজ্যের প্রাচীরের তবেই আড়ালে লুকাইয়া থাকিয়া অব্যক্ত সত্তার তামস পরিচ্ছদ বরন করিতে থাকে । মোট কথ। এই যে, জাগরণের কার্য্যক্ষেত্রে—উপরের কৰ্ম্মচারী উপরের কার্য্য করে, নিচের কৰ্ম্মচারী নিচের কার্য্য করে,