পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় প্রথম খণ্ড.djvu/৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তীয়-সংখ্যা । ] আলোচন l ১৩৭ ক গৌরব। অতএব ইংরেজী, ফারণী, ติ ইত্যাদি শবাসকল অজস্র অভিধানে # করিতেছে, কে তাহা বারণ করে ? ধানের কলেবরবৃদ্ধির জন্ত সকল .ানেই যাবনিক-শব্দের সংখ্যা, যতদূর পারে, বৃদ্ধি করা হইয়াছে এবং বাধা ইলে ক্রমে আরও বৃদ্ধি হইবে । কিন্তু বুদ্ধি হইয়াও ঐ সকল শব্দের সংখ্যা দর অভিধানের মোট শব্দসংখ্যার .াংশের অধিক হয় নাই। একশত মধ্যে ৬৭টি পরকীয় শখ থাকিলে, s মিশ্রভাষা বলা যায় না । ‘ভাষাযে সকল শব্যাদির আলোচনা করা ছ, যথা—সংখ্যাবাচক শব্দ, বিভক্তির্বিনাম, ক্রিয়ী-বিভক্তি, ণিজন্ত, কৃদন্ত, প্রত্যয়াদি, ইহাদিগকে ভাষার প্রাণ . । “ভাষাতত্ত্বে" দেখান গিয়াছে যে, “ ল শব্দাদির মধ্যে একটিও পরকীয়ইষ্টতে গৃহীত নহে। যদি প্রাণিক শব্দ* স্থির থাকে, তবে অপ্রাণিক শব্দের শতেকে ৬৭টি কেন, তাহার দ্বিগুণ কি % পরকীয় শব্দ থাকিলেও, তাহাকে 5াযা বলা যায় না । সমালোচকের উক্তি —“শ্ৰীনাথবাবুর ংস্কৃত ‘আসীৎ-শব্দ লিখিতে যখন দীর্ঘ লাগে, তখন বাঙলাতেও আছিল’ বা না লিথিয়, “আছাল বা ছীল লেখা ্য—“দীর্ঘ ঈ কার না দিয়া আমরা হ্রস্ব দিয়া থাকি, তাহ অবিহিত ।’ রহস্ত য, প্রনাথবাবু নিজে এই গ্রন্থের সর্বত্রই ‘অবিহিত কাৰ্য্য করিয়াছেন। এক ল্প উপদেষ্ট আছেন, তাহার বলেন যে যাহা বলি, তাছাই কর। —আমি যাহা করি, তাহা করিও না, আমি এইরূপ উপদেষ্টার উপদেশ যে ভাসিয়া যাইবে,ইহা অবশুম্ভাবী।” উত্তর ।—এই রহস্তের উত্তর ভাষ+ তত্বেই ত আছে। উহার ১২ পৃষ্ঠার নীচে মস্তব্যে লেখা আছে যে, “আছিল’ ও ‘ছিল’ শব্দে হ্রস্ব ইকার দেওয়া যদিচ আমরা অবিহিত বলিতেছি, “তথাপি এই পুস্তকে আমর। হ্রস্ব ইকারই ব্যবহার করিতে বাধ্য আছি, কারণ যতক্ষণ পাঠকগণ ইহা অবিহিত বলিয়। স্বীকার না করিবেন, ততক্ষণ আমাদের দীর্ঘ ঈকার ব্যবহার করিবার অধিকার নাই। এই প্রকার অনেক শক আমরা এই পুস্তকে অশুদ্ধ বলিয়া দেখাইয়াছি এবং দেখাইব, অথচ সেই সকল শব্দ উল্লিখিত কারণে এই পুস্তকে মেরা সেই প্রচলিত-ব্যবস্থানুসারে অশুদ্ধরূপেই লিথিয়াছি এবং লিখিব ;* যথ} — 한당 1 অশুদ্ধ । उठां তাহা বলীর বলিবার ধরার ধরিবার ছীল ছিল दाख्न বার তেড় Cö有 ইত্যাদি। সমালোচকের উক্তি –“বাঙলা-লেখকদিগের মধ্যে এমন স্থলচৰ্ম্মী নিৰ্ব্বোধ কে আছে যে, শ্ৰীনাথবাবুর ব্যবস্থা অনুসারে কার্ষ্য করিয়া (অর্থাৎ ‘ছিল’-শব্দে দীর্ঘ ঈকার দিয়া) অনর্থক হাস্তাস্পদ হইবে ?” উত্তর —দীর্ঘ ঈকার দিতে ইচ্ছ না হয়,