পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় প্রথম খণ্ড.djvu/৩৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कदंब समिव ? छूमेिं ক্ষেন আছ, আমাকে একটি ছত্র লিখিয় জানাও ! ” তোমার বিনোদ-বোঠা’৭ ” میر দ্বিনোদিনী দরোয়ানের হাত দিয়৷ বিহারীর ঠিকানায় চিঠি পাঠাই দিল । আশাকে বিহারী ভালবাসে, এ কথা যে এমন রূঢ় করিয়৷ এমন গহি তভাবে মহেন্দ্র মুখে উচ্চারণ করিতে পরিবে, তাহ বিহারী স্বপ্নেও কল্পনা করে নাই। কারণ, সে নিজেও এমন কথা স্পষ্ট করিয়া কখনো মনে স্থান দেয় নাই। প্রথমট বজাহত হুইল—তার পরে ক্রোধে ঘূণীয় ছট্‌ফট্‌ করিয়া বলিতে লাগিল—“অন্যায়, অসঙ্গত, অমূলক !” কিন্তু কথাটা যথন একবার উচ্চারিত হইয়াছে, তখন তাঙ্গাকে আর সম্পূর্ণ মারিয়। ফেলা যায় না । তাহার মধ্যে যেটুকু সত্যের - বাছিল, তাহা দেধিতে দেখিতে অস্কুরিত * হুইয়া উঠিতে লাগিল । কস্ত দেখিবার উপলক্ষ্যে সেই যে একদিন স্থধান্তকালে বাগানের উচ্ছ্বসিত পুষ্পগন্ধপ্রবাহে লজ্জিত বালিকার হুকুমার মুখখানিকে সে নিতান্তই আপনার মনে করিয়া বিগলিত অসুয়াগের সহিত একবার চাহিয়৷ দেখিয়াছিল, তাহাই বারবার মনে পড়িতে লাগিল, এবং বুকের * কাছে কি যেন চাপিয়া ধরিতে লাগিল, এবং একট অত্যস্ত কঠিন বেদন কঞ্চের কাছ পর্য্যন্ত আলোড়িত হইয়া উঠিল । দীর্ঘরাত্রি ছাদের উপর গুইয়। গুইয়া, বাড়ীর সম্মুখের পথে ক্রতপক্ষে পায়চারি করিতে করিতে কৰিতে, যাছ এতদিন অব্যক্ত ছিল, फाइ दिशऔब्र मध्न दाख रहेब्रा खेणि । যাহা সংযত ছিল, তাহ উজ্জাম ছইল, নিজের কাছেও যাহার কোন প্রমাণ ছিল ম', মহেন্দ্রের বাকো তাহ বিরাট প্রাণ পাইয়া বিহারীর অস্তুর-বাহির ব্যাপ্ত করিয়া দিল । তখন সে নিজেকে অপরাধী বলিয়া বুঝিল । মনে মনে কহিল, “আমার ত আর রাগ কর। শোভা পায় না, মহেন্দ্রের কাছে ত ক্ষমা প্রার্থনা করিয়া বিদায় লইতে হইবে ! সে দিন এমন ভাবে চলিয়া আসিয়াfছলাম, যেন মহেন্দ্র দোষী, আমি বিচারক-সে অদ্যায় স্বীকার করিয়া আসিব ।” বিহারী জীনত, আশা কাশী চলিয়া গেছে । একদিন সে সন্ধ্যার সময় ধীরে ধীরে মছেন্দ্রের দ্বারের সম্মুখে আসিয়া উপস্থিত হইল। রাজলক্ষ্মীর দূর-সম্পর্কের মাম। সাধুচরণকে দেখিয়া জিজ্ঞাসা করিল, “সাধুদ, পারি নাই— এখানকার সব খবর ভাল ?” সাধুচরণ সকলের কুশল জানাইল । বিহারী জিজ্ঞাসা করিল“বে:ঠা’ণ কাশীতে কবে গেলেন ?” সাধুচরণ কছিল “তিনি যান নাই । তাহার কাশী যা ওয়া হুইবে না ?” শুনিয়া, কিছু ন মানিয়া অন্তঃপুরে যাইবার জন্য বিচারীর মন ছুটিল। পূৰ্ব্বে যেমন সহজে, যেমন আনন্দে, মাষ্ঠীয়ের মত সে পরিচিত সিঁড়ি বাহিয়া ভিতরে যাইত, সকলের সঙ্গে স্নিগ্ধকৌতুকের সহিত হাস্যালাপ করিয়া আসিত, কিছুই মনে হইত না, আজ তাহ অবিহিত, তাহা দুর্লভ, জালিয়াই তাহার চিত্ত যেন উন্মত্ত হইল। আর একটিবার, কেবল শেষবার, তেমনি করিয়া ভিতরে গিয়া ঘরের ছেলের মক্ত রাজগঙ্গীর শক্তি কদিন মালিতে