পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় প্রথম খণ্ড.djvu/৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তীয়-সংখ্যা । ] এ সমালোচনা l YSసి ন যে, প্রাকৃত ‘কজ’-শব্দ হইতে কাজ’ট উৎপন্ন হইয়! থাকিৰে । তিনি {য়াছেন, “বাঙলা কথাটা ষে সাক্ষাৎস্ত্র প্রাকৃত হইতে উৎপন্ন নছে, তাহা বলিল ?” ইহার উত্তর এই যে, সমগ্র Iাতত্ত্ব’-গ্রন্থে ইহাই প্রমাণ করিবার করা গিয়াছে যে, বাঙলা সংস্কৃতেরই তাকার এবং ইহা অন্ত কোন ভাষা ত সমুদ্ভূত নহে। ইহা যদি ঐ পুস্তকে ণ করিতে কৃতকাৰ্য্য হইয়া থাকি, তবে ’ে-শব্দে বগীয় জ’ ব্যবহার করা উচিত | গ্রন্থ-সমালোচনা । নক কথা । শ্ৰী প্রভাতকুমার মুখোrাং এণীত। মূল্য ১০ এক টাকা চারি ii i ভিন্ন ভিন্ন সাময়িক পত্রে লিখিত কয়েকটি গল্প পুনমুদ্রিত কষ্টয়া এই পুস্তকখানি tছে। গ্রন্থকার প্রভাতবাবুর ক্ষুদ্র গল্প ংবার ক্ষমতা অাছে। তবে, র্তাহার ল গল্পই ষে ভাল হয় নাই, এ কথা লে, ভরসা করি গুণগ্রাহীরা এমন মলে বেন না যে, আময় গ্রন্থকারের নিন্দা তেছি । লেখক যত কেন ক্ষমতাশালী ন না, তঁtহার রচনামাত্রই যে সমান কর্ষ লাভ করিলে, ইহা কেহ প্রত্যাশা না ; ইহা সম্ভবও নহে। হিমানী’ গল্পটি S 9 আর এক কথা বলি, চন্দ্রবাবু ৰে প্রাকৃতের কথা বলিতেছেন, সেই প্রাক্কতে অন্তস্থ ‘ষ’র ব্যবহার আদেী নাই ; কিন্তু বাঙলা ভাষাতে অম্ভস্থ ‘য’র ব্যবহার আছে । যtহার ভাষায় ‘ঘ’ নাই, সে সুতরাংই 'জ' ব্যবহার করিবে ; যাহার:ভাষায় আছে, সে করিবে কেন ? এই ষে ‘ঘtহার’-শব্দ লিখিলাম, ইহাকেও সেই প্রাকৃতের নিয়মানুসারে ‘জাহার’ লিখিতে হয়, “ঘে’কে ‘জে” লিখিতে হয় । আমরা আমাদের বর্ণমালাতে অন্তস্থ ‘য’টাকে রাথিয় তাহার ব্যবহার কি প্রকারে ত্যাগ করিব ? শ্ৰীশ্ৰীনাথ সেন । আমাদের বড় সুন্দর বোধ হইয়াছে। হিমানী আদর্শ-চরিত্র—এই কঠোর বাস্তধিকতার ংসারে এমন মানুষ দেখিতে পাওয়া যায় না । কিন্তু আদৰ্শ-চরিত্র বলিয়াই আমাদের চক্ষে ইহার গরিম । হিমানীর প্রেম অত্তি উচ্চ অঙ্গের প্রেম ; এই প্রেম-চিত্রের জন্ত প্রভাতবাবুর নিকট আমরা কৃতজ্ঞ। তবে, প্রভাতবাবু তাহার সকল গল্পে কৃতকাৰ্য্য হইতে পারেন নাই । * “পত্নীহারা’ গল্পটা নিতান্ত হস্তিজনক হইয়াছে—সে হাসি পতির জন্যও নহে, পত্নীর জন্তও নহে ; গ্রন্থকারের জন্ত। ‘ভূত না চোর’ গল্পটা কিছুই হয় নাই । ‘একটি রৌপ্যমুদ্রার জীবনচরিত’ একটি ইংরেজি গল্পের ব্যর্থ অনুকরণ ।