পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় প্রথম খণ্ড.djvu/৩৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সংস্কৃত-ব্যাকরণের ইতিরক্ত। জৰ্ম্মান শব্দতত্ত্ববিৎ পণ্ডিত অধ্যাপক রট ( Roth ) বলেন, অদ্যান্য দেশে যেরূপে ব্যাকরণশাস্ত্রের উৎপত্তি হইয়াছিল, ভারতবর্ষেও ঠিক সেইরূপে সংস্কৃত ব্যাকরণের উৎপত্তি হইয়াছে। কেবলমাত্র চলিত ভাষা হইতে ইহা জন্মগ্রহণ করে নাই ; পরন্তু কথিত ও লিখিত ভাষার পার্থক্য যখন মনুষ্যের ভাবিবার বিষয় হইয়াছিল, তখনই ইহার জন্মলাভ হইয়াছে বলিয়া মনে হয় । প্রথমে ব্যাকরণ এই সমস্ত কথিত ও লিখিত ভাষার পার্থক্য প্রদর্শনেই তৎপর ছিল। তার পব কেবল সমাজবিশেষে প্রচলিত ও সাহিত্যবিশেষেরই অমুশাসনে প্রযুক্ত হয় এবং ক্রমে কালসহকারে, কি কথিত কি লিখিত, উভয়বিধ ভাষারই প্রবেশদ্বার প্রস্তুত ও ভারতবর্ষের সকল শ্রেণীর সর্ববিধু সংস্কৃতসাহিত্যের শব্দের অনুশাসন করিতে থাকে। এইরূপ সৰ্ব্বাঙ্গসুন্দর শবামুশাসন সৰ্ব্বপ্রথমে আমরা পাণিনিতেই দেখিতে পাই । এই সময় হইতেই সমাজবিশেষে প্রচলিত ও সাহিত্যবিশেষের অমুশাসনে নিরত ব্যাকরণগুলি বিলুপ্ত হইতে থাকে। ব্যাকরণ কেন বেদাঙ্গ হইল, তাহার কারণ অনুসন্ধান করিতে গিয়া ডাক্তার বর্ণেল ( Burnell ) বলেন, প্রাচীনতম যুগের ভারতের সমুদয় গ্ৰন্থই ছন্দোবদ্ধ । এইহেতু সংস্কৃত-ভাষা-সম্বন্ধে ছন্দঃশাস্ত্র বেদের ব্ৰাহ্মণ প্রভৃতিতে অতি আবশুক বলিয়া আলোচিত হইয়াছে । এই সময়ে শব্দশাস্ত্রের ও সামান্ত সামান্ত আলোচনা বহুলপরিমাণে দৃষ্ট হয় । ইহা হইতে আমরা অনুমান করিতে পারি যে, ইতিপূৰ্ব্বেই বৈদিক ক্রিয়াকলাপের ব্যাখ্যাপ্রসঙ্গে শব্দের অর্থ লইয়া মতভেদ উপস্থিত হইরাছিল। বেদশাস্ত্রকারগণের মধ্যে র্যাহাঁদের নিজের মত অক্ষুঃ প্রতিপন্ন করিবার জন্য অভিনব পন্থা আবিষ্কার আবশুক হইয়াছিল, তাহারাই শব্দশাস্ত্রের প্রথম আবিষ্কৰ্ত্ত । এই জন্তই আমরা বেদের ব্রাহ্মণ প্রভৃতিতে নানাপ্রসঙ্গে ধাতু, প্রত্যর প্রভৃতি ব্যাকরণের আবশ্যক বিষরের বাদামুবাদ দেখিতে পাই । একপক্ষে সুনিপুণভাবে পদ ও সংহিতাশাস্ত্রের সম্বন্ধবিনির্ণয় ও শব্দের বিশ্লেষণ দেখান হইয়াছে —ইহা হইতেই শিক্ষা ও প্রাতিশাখ্যের উৎপত্তি + । অদ্যপক্ষে পদসাধন ও শব্দের দার্শনিক ব্যাখ্যা প্রতিপন্ন হইরাছে, এবং हेश्। क्ष्हे८उहे मिक्रद्ध ७ बाटकाङ्ग अर्थ शहेब्री পদযোজনাসম্বন্ধে বাদামুবাদের উৎপত্তি “--سسسسسمی-بسـس

  • শিক্ষা কল্পে ব্যাকরণং নিরুক্তং ছন্দসাঞ্চয়ঃ।

‘cखाठिशोषघ्नरैश्च cबनtङ्गानि षट्प्र पू ॥ f নিরক্ত ১১৭। দুর্গাচার্ব্যের টীকা।