পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় প্রথম খণ্ড.djvu/৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাসিক-সাহিত্য-সমালোচনা । ভারতী । জ্যৈষ্ঠ। ক্ষকার । কৃস্টুবুক্‌ কমিটি ক্ষকারকে বাঙলা বর্ণমালা ত নিৰ্ব্বাসন দিয়াছেন । ত্রযুক্ত সতীশ): অনেক পুরাতন নজির দেখা"ক্ষকারের পক্ষে ওকালতী कब्लिग्नोप्छ्न् । ংযুক্ত ব্যঞ্জনবর্ণের দলে ক্ষ কেমন করিয়া মে প্রবেশ করিয়াছিল জানি না, কিন্তু সে য়ে স্বাররক্ষক যে সতর্ক ছিল, তাহ৷ বলিতে না । আধুনিক ভারতবর্ষীয় আর্য্যয় মূৰ্দ্ধস্য ষ-এর উচ্চারণ খ হইয়া গিরা—মুতরাং ক্ষকারে মূৰ্দ্ধন্ত ষ-এর বিশুদ্ধ fরণ ছিল না । না থাকিলেও উহা যুক্ত এবং উহার উচ্চারণ কুখ । শব্দের অনেক যুক্ত অক্ষরের যুক্ত উচ্চারণ { না—যেমন জ্ঞান-শব্দের জ্ঞ-কিন্তু ব্দে উহার যুক্ত উচ্চারণ সম্বন্ধে থাকে না । ক্ষকারও সেইরূপ হ বং অক্ষয় শব্দের উচ্চারণে তাহ প্রমাণ । অতএব অসংযুক্ত বর্ণমালায় ক্ষকার ষ্ট একঘরে, তাহাতে সন্দেহ নাই । সেই o, মধ্যে উহার অনুরূপ সঙ্করবর্ণ একটিও নাই । দীর্ঘকালের দখল ণ হইলেও, তাহাকে আরো দীর্ঘকাল tয় অধিকার রক্ষা করিতে দেওয়া উচিত ? যাহা হউকৃ, এই উপলক্ষ্যে বিদ্যামহাশয় বর্ণমালাসম্বন্ধে যে আলোচনা iপন করিয়াছেন, তাহ বিশেষ কৌতুহলক । অমুস্বায়, বিসর্গ, চন্দ্রবিন্দু এবং হলন্ত স্বন্ধে তিনি যে মত প্রকাশ করিয়াছেন, আমরা তাহা স্বীকার করি। বাঙ্গলা শবেদর দ্বিরুক্তি । সাহিত্যপরিষৎ পত্রিকায় বঙ্গদর্শনসম্পাদক “শব্দদ্বৈত”নামক এক প্রবন্ধ লিখিয়াছিলেন । ফাঙ্কনমাসের প্রদীপে তাহার একটি সমালোচনা বাহির হইয়াছিল । শ্ৰীযুক্ত বিহারীলাল গোস্বামী সেই সমালোচনা অবলম্বন করিয়া উক্ত বিষয়ের আলোচনা করিয়াছেন। মুল-” প্রবন্ধলেখকের নিকট এই আলোচনা অত্যন্ত হৃদ্য । এ সম্বন্ধে আমাদের বক্তব্য পরিস্ফুট করিয়া বলিতে গেলে, সংক্ষিপ্ত সমালোচনার সীমা লঙ্ঘন করিবে । কেবল একটা উদাহরণ লইয়া আমাদের বক্তব্যের আভাসমাত্র দিব ।—আমরা বলিয়াছিলাম, “চার চার” “তিন তিন’ প্রকর্ষবাচক । অর্থাৎ যখন বলি “চার চার পেয়াদ আসিয়া হাজির,** তখন একেবারে চার পেয়াদা আসায় বাহুল্যজনিত বিস্ময় প্রকাশ করি । প্রদীপের সমালোচক মহাশয় বলেন, এই স্থলের দ্বিত্ব বিভক্ত-বহুলতা-জ্ঞাপক । অর্থাৎ যখন বলা হয়, “তাহাদিগকে ধরিবার জন্য চার চার জন পেয়াদ আসিয়া হাজির”, তখন সমালোচক মহাশয়ের মতে তাহীদের প্রত্যেকের জন্য চার চার পেয়াদা আসিয়া উপস্থিত, ইহাই বুঝায়। আমরা এ কথায় সায় দিতে পারিলাম না। বিহারীবাবুও দৃষ্টান্তদ্বায়। দেখাইয়াছেন, একজনের জন্তও “চার চার পেয়াদা” বাঙলাভাষা অনুসারে আসিতে পারে। বিহারীবাবু বলেন, দৃষ্টান্ত অনুসারে