পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় প্রথম খণ্ড.djvu/৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয়-সংখ্যা । ] মাসিক-সাহিত্য,সমালোচনা। Ş86. ল বিষয়ের সংস্কার ও উৎকর্ষ সাধন ভিন্ন শান্নতি সম্ভবপর নহে । ভগবানের শায় অগাধ বুদ্ধির ন্তায় তিনি অসাধারণ ঠতাও লাভ করিয়াছিলেন । তাই তিনি কৰ্ম্মে নিযুক্ত থাকিয়াও,অতি অল্প সময়ের রাজনীতিচর্চার যন্ত্রস্বরূপ পুণার সাৰ্ব্বত সভা, জেনেরাল-লাইব্রেরি-নামক রণ পাঠাগার, পঞ্চায়তী আদালত, তাসভা, দেশীয় কাপড়ের দোকান, শিল্পপ্রদর্শনী, মিউজিয়ম, সঙ্গীত, দেশীয় শিল্পসমিতি, বেদপাঠশালা, গন এডুকেশন সোসাইটি, ডেকান ক্লাব, 駕 , এবং জ্ঞানপ্রকাশ-নামক হিক পত্র ও সাৰ্ব্বজনিক সভার একত্রৈমাসিক পত্র প্রভৃতি বহুবিধ লোককর অনুষ্ঠানের স্বত্রপাত, পরিপুষ্টি ও পাষণ করিতে পারিয়াছিলেন।” এই পুরুষের বিপুল প্রাজ্ঞতার সহিত গভীর য়তা, বিচিত্র কৰ্ম্মশীলতার সহিত অটল স্তি, অগাধ বিদ্যাবত্তার সহিত পরিপূর্ণ মিশ্রিত হইয়া এবং তাহার সমস্ত জ্ঞান, ও চেষ্টার উৰ্দ্ধভাগে একটি নিৰ্ম্মল ও ধৰ্ম্মভাবের জ্যোতি বিকীর্ণ হইয়া যে ট উন্নত উজ্জ্বল উদার আদর্শের স্বষ্টি ছে, মুখরগৰ্ব্বিত বাঙালিকে তাহার প্রান্তে প্রণত হইতে আহবান করি। মহাত্মার মৃত্যুতে সমস্ত ভারতের যে হইয়াছে, সে ক্ষতির পূরণ কবে হইবে ? প্রদীপ। বৈশাখ । রাজবিদ্যা । :ত ব্রহ্মবিদ্যা যখন পরা বিদ্যা বলিয়া ত ছিল, তখন তাহা কেবলমাত্র ব্রাহ্মণমধ্যেই বদ্ধ ছিল না, হীরেন্দ্রবাবু এই প্রবন্ধে তাহারই আলোচনা করিয়াছেন। তখন অনেক সময় ব্ৰাহ্মণের ব্রহ্মবিদ্যা লাভ कब्रिष्टऊ ऋत्विग्न ब्रांछांद्र चांद्रश् इट्टैरङन । গীতায় যে কৰ্ম্মযোগের উপদেশ আছে, তৎসম্বন্ধে শ্ৰীকৃষ্ণ কছিয়াছেন ঃ-“পরম্পরাক্রমে প্রাপ্ত এই যোগ রাজর্ষির অবগত ছিলেন।” হীরেন্দ্রবাবু বলেন, “এই বিদ্যা বিশেষভাবে রাজর্ষিসম্প্রদায়ে প্রবাহিত ছিল বলিয়াই, বোধ হয়, ইহার নামকরণ হইয়াছিল রাজবিদ্যা ।” আমরা হীরেন্দ্রবাবুর এই অমুমান শ্রদ্ধের বলিয়া বিবেচনা করি । ব্ৰহ্মবিদ্যা ক্ষত্রিয়দিগের মনের মধ্যে স্বভাবতই একটি বিশেষ স্বাতন্ত্র্য লাভ করিয়াছিল, গীতাপাঠে তাহা উপলব্ধি করা যায়। ব্রহ্মবিদ্য৷ যেমন স্থলবিশেষে কৰ্ম্মে অনাসক্তি আনয়ন করিয়াছিল, তেমনি ক্ষত্রিয়ের মধ্যে তাহ कन्प्रंcशांt*ों पञडिवाङ ङ्हेम्नांछ्णि. क्रीडां ७ মহাভারত পাঠে এইরূপ প্রতীতি হয়। ব্রহ্মবিদ্যা যে কেবল জ্ঞানে ও ধ্যানে সম্পূর্ণত। লাভ করিতে পারে না, ভক্তিতে ও কৰ্ম্মে তাহার সফলভ, ব্রাহ্মণের উপনিষদে স্থানে স্বানে তাহার আভাস পাওয়া যায়-কিন্তু গীতায় তাহা পরিস্ফুট হইয়াছে। এই সৰ্ব্বাঙ্গীন ব্রহ্মবিদ্যাই বোধ করি রাজবিদ্যা । শ্ৰীযুক্ত জগদানন্দ রায় “বায়ু-নভোবিদ্যা”শীর্ষক একটি প্রবন্ধ পূৰ্ব্বে প্রদীপে লিখিয়াছিলেন, অধ্যাপক শ্ৰীযুক্ত যোগেশচন্দ্র রায় কয়েকটি বিষয়ে তাহার প্রতিবাদ করেন— বর্তমান সংখ্যায় জগদানন্দবাবু তাহার উত্তর দিয়াছেন। বাঙলায় বৈজ্ঞানিক পরিভাষা স্থির হয় নাই—অতএব পরিভাষার প্রয়োগ লইয়া আলোচনা কৰ্ত্তব্য, কিন্তু বিবাদ করা