পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় প্রথম খণ্ড.djvu/৪২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8>b" বঙ্গদর্শন । [ পৌষ। মু পরামশে কিষণজী সেইদিনই বেলা ১২টার ভিতর বিলাসপুর-থানাভুক্ত ৫৪৯ গ্রামের মধ্যে বীর-জানা মৌজার অশ্ব এবং অশ্বতল্পের ংবাদ সংগ্ৰহ করিতে সক্ষম হইলেন । যে .চারি-আনা খবর বাকী ছিল, পরদিন মঙ্গলবার প্রাতে ৮টা বাজিতে না বাজিতে তাহারও কিনারা হইয়৷ গেল । কেন না, সোমবার মধ্যাহ্লে থানাপ্রাঙ্গণে যে ঝড় दश्झिांझिल, नका श्झे८ऊ न श्रउ छूङভোগী সহযোগীদের মুখে মুথে প্রবাহিত হইয় তাহা গ্রাম্য-চৌকীদার-গৃহমাত্রকেই সবেগে আন্দোলিত করিয়াছিল । কাজেই নয়টার আমলে শয্যাত্যাগ করির কিষণসহায় ৰাহিরে আসিলে, মেঘুসিং যখন সগৰ্ব্বে পঙ্ককেশ মাথাটি নাড়িয়া ঈষৎ হাসিতে হাসিতে র্তাহাকে বলিল যে, তিনদিন কোন ছার, চারিপ্রহরের ভিতরই এমন পরোয়ানার কিনারা হইতে পারে, তখন তিনি সকৃতজ্ঞহৃদয়ে কথাটা মানিয়া লইলেন । মেঘুসিং লিখিতে পড়িতে জানে না, কিন্তু কিযণসহায় হিন্দী ও ফারসীতে ‘লায়েক’ ব্যক্তি, সহজেই একটা সলার অন্ধুর মঙ্গলবার প্রাতে আসন গ্রহণ করিতে না করিতে তাহার মাথায় গজাইয়া উঠিল । জইণ্টসাহেব রিপোর্ট চাহিয়াছেন তিন দিনে, কিষণসহায় যদি আজি ই সন্ধ্যার ডাকে তাহ পাঠাইয়া আপন ‘খয়েরখাষ্ট’ জাহির করিতে পারে, তবে তাহার "তরঙ্কির পথ প্রশস্ত হর কি না ? বিশেষত তাহার স্বসম্পৰ্কার বলদেও-সহায় জাইণ্টসাহেবের এজলাসে রিপোট পড়িয়া দুটে তারিফ যে তিনি করিবেনই, ইছ। ত জানা কথা । জমাদারসাহেব এমন সুযোগ উপেক্ষা করিবার পাত্র নহেন, সন্ধ্যার ডাকে রিপোট চলির গেল। সেই সঙ্গে কোট সব ইনস্পেক্টার চাচাসাহেব’কে একখানি চিঠিও তিনি লিখিতে ভুলিলেন না। জইণ্টসাহেব বুধৰরি গ্রাতে বাঙালী হেড ক্লার্ক বাবুর আনীত ডাক দেখিতেছেন ও তাহার বাঙলা পরীক্ষা দিবার সুবিধা হইবে বলিয়৷ সেই ভাষায় মাঝে মাঝে কথাবার্তা চলিতেছে, এমন সময় কোটবাবু সেখানে হাজির হইয়া ঝু কিয়া সেলাম করিলেন । এট। ওট। পেসের পর কিষণসহায়ের রিপোর্ট তিনি একটি সংক্ষিপ্ত ভূমিকা সহ সাহেববাহাদুরের নেত্রপথে এরূপ ভাবে ধরিলেন, বাহাতে বিস্ময়াবিষ্ট অপসর’ স্বতই খুশী হইয়৷ তদীয় ভ্রাতুপুত্রের তরঙ্কি’র জন্য 'কোসিস করিতে গারেন । জইণ্টসাহেব সম্প্রতি কৈিরতি হিন্দীতে পাস করিয়াছেন, রিপোর্টট। নিজেই পড়িয়া উচ্চহাস্য সংবরণ করিলেন । কোটবাবুকে জিজ্ঞাসা করিলেন, রিপোর্ট ঠিক কি না এবং “ৰহুৎ ঠিক হ্যায়—”উত্তর পাইয়া গর্দভ, ঘোড়া ও টাটুর তালিকা তাহাকে পড়িতে বলিলেন । কোটবাবু ক্ষিতমুখে পড়িলেন, “গাধা ৪২, ঘোড়া ১২•, টাটু ৯২।” হেডক্লার্কের দিকে ফিরিয়া সাহেব গম্ভীরমুখে বাঙলায় বলিলেন, “গাধার নশ্বর ঠিক না আছে!” বুঝির কোটসাহেব মৃদ্ধ প্রতিবাদের জন্য বলিতেছিলেন, “জনাব अनि !”–छहेर्गे भोलिटझेझै छेक्न शंगिग्न) কোটবাবু ;