পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় প্রথম খণ্ড.djvu/৪২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8、● একটি নির্দিষ্ট সরল পথে পরিভ্রমণ করিতেছে । ইহাদের গতির দিকের স্থিরতা নাই,—সকল দিকে ইইহার প্রচণ্ডগতিতে অগ্রসর হইতেছে এবং জড়পদার্থমাত্রেই এই বেগবান অণুসাগরে নিমজ্জিত থাকিয়া নিরতই সেই সকল অনুদ্বারা আহত হইতেছে । লেসাজ বলেন, ঐ সকল আঘাতদ্বারা জড়পদার্থে যে বেগের উৎপত্তি হয়, তাহাকেই আমরা আকর্ষণবেগ বলি । সমগ্র জগতে যদি একটিমাত্র জড়পিণ্ডের অস্তিত্ব থাকিত, তবে আমরা তাহাতে মহাকর্ষণের কোনই বিকাশ দেখিতে পাইতাম না, কারণ পূৰ্ব্বোক্ত অণুপ্রবাতের ঘা লাগিয়া তাহাতে যে গতি উৎপন্ন হষ্টত, তাঙ্গর ঠিক বিপরীত পাশ্বেও অণুসংঘাতে ঠিক বিপরীত গতির উৎপত্তি হইত, কাজেই দুষ্ট সমান ও বিপরীত গতিদ্বারা পদার্থে কোন বেগই উৎপন্ন হইতে পারিত না । কিন্তু একাধিক দ্রব্যের অস্তিত্ব কল্পনা করিলে, অন্তরূপ দেখা যায় । দুইটি দীপশিখার মাঝখানে সেই দীপদ্বয়ের সমস্থত্রে যদি দুটি গোলা রাখা যায়, তাহা হক্টলে কি হয় ? গোলার যে ভাগটা দীপের দিকে, সে ভাগটা মালোকিত ও অন্ত ভাগট অন্ধকারময় হয় ; কেবল তাঁহাই নয়, পাশের গোলারও গায়ে পরম্পরে ছায়া কেলে । এই আলোককে যদি অণুস্রোত মনে করা যায়, তবে দেখা যাইবে, দুষ্ট দিক কষ্টতে বিপরীতগামী অণুস্রোত আসিলে দুই গোলার দুই পিঠে ঘা লাগিবে, অন্ত পিঠে লাগিবে না ; আলোককে প্রতিরোধ করিয়া তাহারা পরস্পরের ষে পিঠে ছায়া ফেলিত, বঙ্গদর্শন । [ পৌষ। সেই পিঠে ধাক্কাকেও আসিতে দিৰে না— সুতরাং তাহারা উভয়েই এক পিঠে ধাক্কা থাইয়া চলিতে থাকিবে-অবশেষে পরস্পরের গায়ে আসিয়া পড়িবে। সুতরাং লেসাজের মতে, পদার্থে মহাকর্ষণশক্তির একটা পৃথক্ অস্তিত্ব নাই,—আছে কেবল সেই সৰ্ব্বদিকৃগামী অসংখ্যক অস্ত্রীঞ্জিয় অণুরাশি এবং তাহার অজস্র-ধাক্কা-জনিত জড়পদার্থের গতি । লেসাজের পূৰ্ব্বোক্ত সিদ্ধান্তটি কেবল অনুমান ও কল্পনা দ্বারা গঠিত। এই সিদ্ধান্ত প্রচারের পর " প্রায় এক শতাব্দীকাল অতিবাহিত হইয়। গিয়াছে, কিন্তু এ পর্য্যন্ত লেসাজ বা তাহার শিষ্যগণমধ্যে কেহই পূৰ্ব্বোক্ত অনুমানের পোষক কোন প্রমাণই দেখাইতে পারেন নাই । এ অবস্থায় মহাকর্ষণের উৎপত্তি প্রসঙ্গে লেসাজের উক্তি কতদূর বিশ্বাসযোগ্য, পাঠকগণ বিবেচনা করুন। এখন আবৰ্ত্তসিদ্ধান্তীদিগের মতে মহাকর্ষণের উৎপত্তির কারণ কি, দেখা যাউক । এই কারণটা বুঝিতে হইলে, আবৰ্ত্তসিদ্ধাস্তটা কি, তাহ মোটামুটি জানা আবশ্যক। উৰু সিদ্ধান্তের প্রতিষ্ঠাতা লড^ কেলভিন্‌ বলেন যে,—বিশ্বব্যাপী যে ঈথরের কম্পনাদি দ্বারা তাপ, আলোক ও চৌম্বকশক্তি हेङTांमिद्र तिकां* cमष बांग्न, उांझांब्रहे অবস্থাবিশেষ দ্বারা আকর্ষণাদি ধৰ্ম্মসহ জড়ের উৎপত্তি হইয়াছে। চা-পূর্ণ পেয়ালার মধ্যে চামচ, খুরাইলে চায়ে যে প্রকারে আৰওঁ জন্মে,—সেইরূপ কোন অনিৰ্ব্বচনীয় কারণে ঈশ্বরের মধ্যে ঘূর্ণ জগিলে, ঈশ্বরের সেই ঘূর্ণাদশাকেই ৰলে জড়পদার্থ। .