পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় প্রথম খণ্ড.djvu/৪৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুমারসস্তব ও শকুন্তলা | সহস্র অগ্নিপরীক্ষায় তাহার ধ্রুবত্বের প্রচুর সত্বেও সেই বিশ্বব্যাপিনী মহাশক্তির প্রমাণ পাওয়া গিয়াছে সত্য, কিন্তু উৎপত্তি আজও রহসাবৃত রহিয়াছে। উপরোক্ত কুইটি সিদ্ধান্ত প্রচারিত হওয়া শ্রীজগদানন্দ রায়। नबश्व-ज२थn । } 8९©. কুমারসম্ভব ও শকুন্তলা । রামায়ণ-মহাভারতের সমস্ত বুহৎ কাব্যের মধ্যে আগাগোড়া যেন একটা তুফান উঠিয়াছে। জনসমুদ, কৰ্ম্মসমুদ্র, চিত্ত্বসমুদ্র, একেবারে আকাশপা তলি উঠাপড়া করিতেছে । কেবল দ্বন্দ্ব এবং বিক্ষো ভ এবং বৈচিত্ৰ্য । মহাভারতকে কোন ঘরের-কোণে-বসা শিল্পীর কারুকার্য বলিয়া মনে হয় না। মনে হয়, যেন তখনকার সেই স্তন্ধ অতীতকাল কবির প্রতি ভাবলে দুলিয়া উঠিয়াছে, এবং তাহার মধ্যে যত কথা ছিল—যুগান্তরীণ স্বর্গমন্তের, অরণ্যনগয়ের, দেবমমুষ্যের, তাপস ও বীরমণ্ডলীয় যত পাপপুণ্য, যত মুখদু:খ, সমস্ত ফেনাইয়া ফেনাক্টরা গর্জিয়া प्टेरिङुक्क । কাল আপনার বিশাল কার্য্য আচ্ছন্ন ভাবে সম্পন্ন করে । বর্তমান কাল বসিরা বসিয়া কি করিতেছে, তাহা আমরা কিই বা জানি ! তাহার অসংখ্য অদৃশ্যশক্তি দিকে দিকে, ঘয়ে ঘরে, কত লক্ষ স্থতায় কি জাগ গাঁথিতেছে, তাহ কে সম্পূর্ণরূপে পেখিতে পায় ? মহাভারত যেন একট। যুগের সেই প্রকাগু কালের ঢাকাটা উপর হইতে তুলিয়া লইয়াছে—একটি বৃহৎ-জনতা চিরকালের জন্য উদঘাটিত হইয়া গেছে— আর তাহার লুকাইবার জো নাই, মরিবার জো নাই ; তাহার চিন্তা-চেষ্টা-চরিত্র সমস্ত অনাবৃত । এই মহা-ইতিহাসের ভিড়ের মধ্য হইতে কালিদাসে হঠাৎ আমরা একান্ত নিভৃতে আসির উপস্থিত হই। এই কাব্যভবনটি শিল্পীর নিজের হাতে রচিত সৌন্দর্য্যেয় পর্দা দিয়া ঘেরা,—ইহা কবি প্রতিভার অন্তঃপুর—ঐতিহাসিক কাল ইহার মধ্যে তাহার দলবল লইয়া প্রবেশ করিতে পায় নাই। কোথার মহাপ্রতাপশালী বিক্রমাদিতা, কোথার যবনের সহিত ভারতবর্ষের সংঘর্ষ, কোথার শকেদেয় সঙ্গে হিন্দু রাজার যুদ্ধবিগ্রহ,-কালিদাসের পুম্পিততরুচ্ছায়াধন কাব্যনিকুঞ্জে তাহায় কোন সাড়া পাওয়া যার না । পুরাণ-ইতিহাসের কথা কালিদাসের কাব্যে যে নাই, তাহা নহে। কিন্তু তাহারা কেমন ভাবে আছে ? স্বর্যের আলোক গত গণ অগ্রন্থায়ণ মজুমদার লাইব্রেরীর অন্তর্গত আলোচনাসমিতির প্রতিষ্ঠ উপলক্ষে গঠিত।