পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় প্রথম খণ্ড.djvu/৪৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

नवभ-ज९थT । ] রহিয়াছে । অনেকের বিশ্বাস এই যে, অখণ্ড সত্য বুঝি বা খণ্ড সত্য হইতে পরিচ্ছিন্ন একটা কিছু। তাহীদের এ বোধ নাই যে, অথগু সভ্য যদি খণ্ড সত্য হইতে পরিচ্ছিন্নই হ’ন, তবে তাহা তে। পরিচিছন্ন সত্য ! পরিচ্ছিন্ন সত্যের নামই তো থগু সত্য ! পরিচ্ছিন্ন সত্য আবার অখণ্ড সত্য হইল কিরূপে ? তেমনি আবার, অনেকে মনে করেন যে, বুদ্ধি প্রাণ-মন হইতে সম্পূর্ণ পৃথক একটা স্বইছাড়া রকমের পদার্থ। ইতাদের এ বোধ নাই যে, প্রাণ-মনের সহিত বুদ্ধির যদি কোনো প্রকার একাত্মভাব না থাকে, তবে বুদ্ধি রাজ্যহীন রাজার দ্যায় অথবা রপঙ্গীন রথীর ন্যায় বাংলা ব্যাকরণ 886. কেবল একটা আভিধানিক শব্দমাত্রে °ीबगिउ श्ब्र । ७ो५, भन ७वश् বুদ্ধির মধ্যে যে, কোনো হিসাবেই প্রভেদ নাই— এ কথা. কেহই বলিতেছে না। প্রভেদ খুবই আছে। কিন্তু প্রভেদ যাহা আছে, তাহা অভেদেরই পরিপোষক, তা বৃই তাহ অভেদের হস্তারক নহে। আমি এখানে । দেখাইতে চাই এই যে, তিনের মধ্যে প্রভেদের ছেদচিত্ত্ব যেমন সুস্পষ্ট, একাত্মভাবের বন্ধন তেমনি সুদৃঢ় ; দুয়েরই গুরুত্ব সমান। প্রভেদ কেমন সুস্পষ্ট, এবং একাত্মভাবের বন্ধন কেমন মুদৃঢ়, তাহ পরে পরে ক্রমশই অধিকাধিক প্রকাশ পাইতে থাকিবে । শ্ৰীদ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর। বাংলা ব্যাকরণ তর্কের বিষয়ট। কি, অধিকাংশ সময়ে ভাগ বুঝিবার পূৰ্ব্বেই তর্ক বাধিয়া যায়। সেটা যতই কম বোঝা যায়, তর্কের বেগ ততই প্রবল হয়—অবশেষে খুনখুনি-রক্তপাতের পর হঠাৎ বাছিয় হইয়া পড়ে, দুই পক্ষেয় মধ্যে মতের বিশেষ অনৈক্য নাই । অতএয ঝগড়াটা কোনখানে, সেইটে আবিষ্কার করা একটা মস্ত কাজ । আমি কতকগুলা যাংলা প্রত্যয় ও তাহার দৃষ্টান্ত সংগ্ৰহ করিয়া বিচারের জন্ত । ‘পরিষৎ’সভার হস্তে সমর্পণ করিয়াছিলাম। আমার সে লেখাটা এখনো পরিষৎ-পত্রিকায় বাছিয় হয় নাই, সুতরাং আমার তরফের বক্তব্য পাঠকের সম্মুখে অনুপস্থিত । শুনিয়াছি, কোন সুযোগে তাহার প্রফ টি সংগ্ৰহ করিয়া লইয়া কোন,কাগজে তাহার প্রতি