পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় প্রথম খণ্ড.djvu/৪৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দশম-সংখ্যা । ] কয়েকখানি প্রাচীন বাংলা ব্যাকরণ । 8ዓማ আনা, পাই, রতি প্রভৃতি বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যাত হইয়াছে । শেষ অধ্যারে কবিতারচনার নিয়মাবলী প্রদত্ত হইয়াছে। “ধুয়া” এবং “ধুয়ান্তান”, এই দুই শব্দের ব্যাখ্যা করিতে যাইয়া সাহেব লিখিয়াছেন যে, যখন হাতে তালির সঙ্গে “ধুয়া” গীভ श्ब्र थारक, ठशन डेश “भूत्वाडांन"नांटग অভিহিত হয় । প্রাচীন বাংলা পুথিগুলিতে “ধুয়া” এবং “ধুয়া তান”, উভয় শব্দই অনেকস্থলে দৃষ্ট হইয়া থাকে, পাঠকবর্গ দেখিয়া থাকিবেন। বাংলা-ব্যাকরণ-সম্বন্ধে বিশেষ কোন স্বত্র এই পুস্তকে না পাওয়া গেলেও, এই পুস্তকখানি বাংলা ব্যাকরণের সৰ্ব্বপ্রথম চেষ্টা, তৎসম্বন্ধে সন্দেহ নাই ; হালহেড, নিজে ও সে কথা লিখিয়াছেন । * ভূমিকা ছাড়া, এই ব্যাকরণখনি ক্রাউন আটপেজী ২১৬ পৃষ্ঠায় সম্পূর্ণ। এখনও বাংলাভাষার একখানি উৎকৃষ্ট ব্যাকরণ রচিত হয় নাই। যিনি ভবিষ্যতে সে চেষ্টায় ব্ৰতী হইবেন, তাহাকে হালহেডসাহেবের পুস্তকখানিকে বিশেষ শ্রদ্ধার সহিত উল্লেখ করিতে হইবে । হালহেডের ব্যাকরণের পরে রাজা রামমোহন রায় এবং ভগবান চন্দ্র সেন বাংলা ব্যাকরণ প্রণয়ন করেন। সম্ভবত ইহাদৈর পরে কীথ-সাহেব ও ব্রজকিশোর গুপ্তের ব্যাকরণ প্রকাশিত হইয়াছিল। উক্ত পুস্তকগুলির মধ্যে ভগবান চন্দ্র সেনের ব্যাকরণ ১৮৪• খ্ৰীষ্টাম্বে প্রকাশিত হয়,—ইহার দুইটি সংস্করণ হইয়াছিল, কিন্তু মুদ্রিত পুস্তক এখন দুলভ ; ইহার একখানি হস্তলিখিত পুথি শ্ৰীযুক্ত রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী মহাশয় ‘বঙ্গীয়-সাহিত্য-পরিষৎ’ সভাকে উপহার প্রদান করিয়াছেন । পুথিখানির কোনস্থানে সন-তারিখ , খুজিয়ী পাইলাম না, তবে লেখা ও পুথির অবস্থা দৃষ্টে বোধ হইল, ইহা গ্রন্থের প্রথম সংস্করণ মুদ্রিত হওয়ার সমসাময়িক হইবে। ব্যাকরণপ্রণেতা ভগবান চন্দ্র বৈদ্যবংশীর এবং গৌরীভা-গ্রাম-নিবাসী । পুস্তক-প্রণয়ন-কালে তিনি চুচুড়াগ্রামে মহম্মদ-মহসিনের বিদ্যালয়ে পণ্ডিত নিযুক্ত ছিলেন । আলোচ্য পুথিখানি নকল করিয়াছেন রামহরি লাহিড়ী ও জগদ্ধ,লভ গাঙুলী নামক ব্যক্তিদ্বয়। গ্রন্থকার সংস্কৃত-ব্যাকরণ-শাস্ত্রে সুপণ্ডিত ছিলেন, তৎসম্বন্ধে সন্দেহ নাই । এই ব্যাকরণখানির নাম—“বঙ্গভাষা সাধু ভাষা ব্যাকরণ সারসংগ্রহ।” কিন্তু এখান একটি ক্ষুদ্র কলাপ বা সংক্ষিপ্ত পাণিনি নামে ও অভিহিত হইতে পারে ; ইহাতে সংস্কৃতব্যাকরণের স্বত্রগুলিই "বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যাত হইয়াছে,—বাংলা ষে একটি স্বতন্ত্র ভাষা হইয়া দাড়াইয়াছে এবং সংস্কৃতের সুত্রদ্বারা যে ইহার সকল কথা ব্যাখ্যা করা যায় না, তাহা ভগবান চন্দ্র অল্পই চিন্তা করিয়াছিলেন । ধ্বন্তাত্মক, বর্ণাত্মক প্রভৃতি শব্দ পর্য্যালোচনা করিয়া ইনি কণ্ঠৌষ্ঠ, কণ্ঠ্যতালব্য প্রভৃতি বর্ণ বিচার করিয়াছেন ; তৎপর প্রাচীন সনাতন নিয়মে সন্ধি ও সমাসের

  • “The path which I have attempted to clear was never trodden before.”