দশম-সংখ্যা । ] তাহার অন্তেও ”কে”বিভক্তি সংযুক্ত হইয়৷ থাকে, যথা—আপন পুত্রকে আমাকে CR S | ৪ । অধিকরণের চিহ্ল, “এ”, “য়” এবং “eqtvö” | যে সকল নামশব্দের শেষে “অ’ থাকে, অধিকরণ কারকে তাহাদের উত্তর “তে” কিংবা “য়” হয়, যথা—মৃত্তিকাতে, মৃত্তিকায়। যে সকল নামশব্দের শেষে “ই” “ঈ”, “ ” “తె", "a" “”, “g” “శ్ర", ఇక్షా శాశి বর্ণের কোন বর্ণ থাকে, তাছার অস্তে “তে” হয়, যথা—ছুরি, ছুরিতে । হাতী, হাতীতে । ৫ । যদি নামশব্দ হলন্ত কিংবা অকারাস্ত হয়, তবে সম্বন্ধবোধের নিমিত্ত তাহার অস্তে “এর” সংযোগ করা হর, যথা—রামের ঘর, কৃষ্ণের ঘর। এতদ্ভিন্ন বর্ণ শব্দের অস্তে থাকিলে তাহার সম্বন্ধবোধের জন্য কেবল রেফের সংযোগ করা যায়, যেমন— রাজার ধন, বাশীর শব্দ। করণকারকের জন্য পৃথক নিয়মের আযহ্যক নাই। যদি শব্দ অপ্রাণিবাচক হয়, তবে তদুত্ত্বরে অধিকরণের চিহ্ল “তে”র মাগম হয়, যথা—ছুরিতে কাটিলেক। অন্যান্য স্থলে “দিয়া” কিংবা “দ্বারা” শব্দের যোগে সিদ্ধ হয় । ৭ । বঙ্গভাষায় মনুষ্যবাচক কিংবা মনুষ্যের গুণবাচক শব্দসকলের বহুবচনে একবচনের রূপ থাকে না, যথা—পণ্ডিত, পণ্ডিতেরা । কিন্তু বস্তুবাচক শব্দের বহুত্বাভিপ্রায়ে একবচনের রূপই থাকে,--শুধু তাহার उख्रद्रे वरुश्दाफ़रू भएकब्र ७थtब्रांश इहेब्र থাকে, যথা-গোরু, গোরুসকল। কিন্তু কয়েকখামি প্রাচীন বাংলা ব্যাকরণ। 84s যখন গোরু, পশু ইত্যাদি শব্দ মুর্থতাজ্ঞাপনের জন্য মসুয্যের প্রতি প্রযুক্ত হয়, তখন বহুবচনে তাহীদের রূপের অন্তথা হয়, যথা—গোরুরা, গোরুদিগকে । বহুত্ব বাচক শব্দ সময়ে সময়ে মজুষ্যের অন্তেও প্রযুক্ত হইয়া থাকে, যথা—মনুষ্যসকল । ৮। তুচ্ছতাবোধের জন্ত নামশব্দের অস্ত্যবর্ণ পরিবৰ্ত্তিত হইয়া থাকে, আয় সেই পরিবর্তিত অবস্থায় অন্তান্ত কারকের চিহ্ল বৰ্ত্তিয়া থাকে, যেমন—রাম, তুচ্ছার্থে “রামা” ; তৎপর অন্তান্ত কারকে, “রামাকে,” “রামায়,” “রামাতে" । হলন্ত শব্দ এবং অকারাস্ত শব্দের উত্তর তুচ্ছার্থে “আ” হয়, যথা—রাম, রামা ; কৃষ্ণ, কৃষ্ণ । কিন্তু “যে সকল হলন্ত শব্দ একপ্রযত্নে উচ্চারিত হয় না, তাহার উত্তর ‘এ’কার আইসে, যেমন—ম-ণিক, মাণিকে, গো-পাল, গোপালে । কিন্তু যে সকল শব্দ শব্দান্তরে মিলিত হয়, এবং তাহার শেষ শব্দে দীর্ঘস্বর” না থাকে, সে সকল শব্দের এক প্রযত্নে উচ্চারিত শব্দের দ্যায় রূপ হইয়া থাকে, যথা—প্লামধন, রামধনা ৷ আর যে সকল শব্দের অন্তে ই, ঈ থাকে, তাহার পরিবর্তে একার হর, বেমন—হরি, হরে, কাণী—কাশে ও কেশে.। উকারাস্ত শব্দের উকারের স্থানে ওকার হয়, যেমন— শভু, শম্ভে। যে সকল শব্দ আকারান্তস্বরদ্বয়যুক্ত হয় ও তাহার প্রথম অক্ষরে ‘অ’ থাকে, তাহার প্রথম আকারের একায়ে ও দ্বিতীয়ের ওকারে পরিবর্তন হর, যেমন – রাধা, রেধো । কিন্তু অন্তস্থলে প্রায়ই পরিবর্তন হয় না, যথা—রাম, খাম, ইত্যাদি।”