পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় প্রথম খণ্ড.djvu/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম সংপ্য । ] సి হে ভারত, তব শিক্ষা দিয়েছে যে ধন, বাহিরে তাহার অতি স্বল্প আয়োজন, দেখিতে দীনের মত, অন্তরে বিস্তার তাহার ঐশ্বর্য্য যত ! আজি সভ্যতার অন্তহীন আড়ম্বলে, উচ্চ আস্ফালনে, দরিদ্র-রুধির-পুষ্ট বিলাস-লালনে, অগণ্য চক্রের গর্জে মুখর ঘর্ঘর লৌহবাহু দানবের ভীষণ বৰ্ব্বর রুদ্র রক্ত-অগ্নিদীপ্ত পরম স্পৰ্দ্ধায় নিঃসঙ্কোচে শাস্তচিত্তে কে ধরিবে, হায়, নীরব-গৌরব সেই সৌম্য দীনবেশ সুবিরল-নাহি যাহে চিন্তাচেষ্টালেশ । কে রাখিবে ভরি’ নিজ অন্তর-অাগার, আয়ার সম্পদরাশি মঙ্গল উদার ! 2 o' অস্তরের সে সম্পদ ফেলেছি হারায়ে । তাই মোর। ১iজানত ; তাই সৰ্ব্ব গায়ে ক্ষুধাৰ্ত্ত দুর্ভর দৈন্য করিছে দংশন ; তাই আজি ব্রাহ্মণের বিরল বসন সন্মান বহে না আর ; নাহি ধানবল শুধু জপমাত্র আছে ; শুচিত্ব কেবল, চিত্তহীন অর্থহীন অভ্যস্ত আচার ; সস্তোষের অন্তরেতে বীৰ্য্য নাহি আর ; কেবল জড়ত্বপুঞ্জ,—ধৰ্ম্ম প্রাণহীন ভারসম চেপে আছে আড়ষ্ট কঠিন ! তাই আজি দলে দলে চাই ছুটিবারে পশ্চিমের পরিত্যক্ত বস্ত্র লুটিবারে লুকাতে প্রাচীন দৈন্ত ! বৃথা চেষ্টা, ভাই, সব সজ্জা লজ্জাভর, চিত্ত যেথা নাই । প্রার্থনা ৷

  • > চিত্ত যেথা ভয়শূন্ত, উচ্চ যেথা শির, জ্ঞান যেথা মুক্ত, যেথা গৃহের প্রাচীর আপন প্রাঙ্গণতলে দিবসশর্বরী বসুধারে রাখে নাই থও ক্ষুদ্র করি ; ঘেথা বাক্য হৃদয়ের উৎসমুখ হতে উচ্ছসিয়া উঠে, যেথা নিৰ্ব্বরিত স্রোতে দেশে দেশে দিশে দিশে কৰ্ম্মধার ধায় অজস্র সহস্রবিধ-চরিতার্থতায় ; যেথা তুচ্ছ আচারের মরুবালুরাশি বিচারের স্রোতঃপথ ফেলে নাই গ্রাসি’, পৌরুষেরে করেনি শতধ ; নিত্য যেথা তুমি সৰ্ব্ব কৰ্ম্ম চিন্তা,আনন্দের নেতা, নিজ হস্তে নিৰ্দ্দয় আঘাত করি, পিতঃ, ভারতেরে সেই স্বর্গে কর জাগরিত !

> ネ তোমার দ্যায়ের ဖွံs প্রত্যেকের করে অর্পণ করেছ নিজে প্রত্যেকের পরে দিয়েছ শাসনভার, ওগো রাজরাজ ! . সে গুরু সন্মান তব, সে দুরূহ কাজ, প্রণমি তোমারে যেন শিরোধাৰ্য্য করি সবিনয়ে ! তব কাৰ্য্যে কারে নাহি ডুরি কোন দিন ! ক্ষমা ঘেথা ক্ষীণ দুৰ্ব্বলত, হে রুদ্র, নিষ্ঠুর যেন হতে পারি তথা তোমার আদেশে ৷ যেন রসনায় মম সত্য বাক্য ঝলি” উঠে খরখড়গসম তোমার ইঙ্গিতে ! যেন রাখি তব মান তোমার বিচারাসনে লয়ে লিঞ্জস্থান ! অন্তায় যে করে, আর, অন্তায় যে সহে, তব ঘৃণা যেন তারে তৃণগম দহে । து-_.