পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় প্রথম খণ্ড.djvu/৫৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একাদশ-সংখ্যা । ] দ্বারা তাড়িত হইয়া,—পথে পথে কাহাকে প্রার্থনা করিয়া ফিরিতেছিল ? ভয়াতুর ভক্তি তাহার পূজার অর্ঘ্য মস্তকে লইয়৷ অগ্নি-স্বৰ্য্য-বায়ু-বজ্র-মেঘের মধ্যে কোথায় উস্তু,াস্ত হইতেছিল ? এমন সময় সেই অস্ত,বহীন পথপরম্পরায় ভ্ৰাম্যমাণ দিশহারা পথিক শুনিতে পাইল— পথের প্রাস্তে ছায়া-নিবিড় তপোবনে গৰ্ত্তার মন্ত্রে এই বাৰ্ত্ত উদগীত হইতেছে— বৃক্ষ স্তব স্তন্ধে। দিবি তিষ্ঠতোকস্তেনেদং পূর্ণং পুরুষেণ সৰ্ব্বমূ। বৃক্ষের ন্যায় আকাশে স্তব্ধ হইয়৷ আছেন—সেই এক । সেই পুরুষে---সেই পারপুর্ণে এ সমস্তহ পূৰ্ণ । সমস্ত পথ শেষ হইল, সমস্ত পথের কষ্ট দূর হইয়া গেল । তখন অন্তহীন কার্য্যকারণের ক্লাস্তিকর শাখা-প্রশাখা হইতে উত্তীর্ণ হইয়া জ্ঞান বলিল— একধৈবামুদ্রষ্টব্যমেতদ প্রমরং ধ্রুবম্ । বিচিত্র বিশ্বের চঞ্চল বহুত্বের মধ্যে এই অপরিক্সে ধ্রুবকে একধাই দেখিতে হইবে । সহস্ৰ বি ভাষিক ও বিস্ময়ের মধ্যে * দেবতাসন্ধানশ্রাস্ত ভক্তি তখন বলিল— এৰ সৰ্ব্বেৰ এৰ ভূতাধিপতিয়েৰ ভূতপাল এ সেতুবিধরণ এবং লোকানামসম্ভেদৱ । এই একই সকলের ঈশ্বয়, সকল জীবের অধিপতি, সকল জীবের পালনকৰ্ত্ত— এই একই সেতুস্বরূপ হইয়। সকল লোককে १ोझै° कम्निम्नो क्षुद१म ह्हेप्ड व्रक्र] कब्रि८उएश्ले । बाश्रिव्रङ्ग बहङग्न श्रोषाप्ऊ-आकर्ष८१ ক্লিষ্ট-বিক্ষিপ্ত প্রেম কছিল— 8 প্রাচীন ভারতের “একঃ” । ç:ཧྥ་ཤྰི་ནི་ তদেতৎ প্রেয়ঃ পুত্রাৎ, প্রেয়ে বিত্তাৎ, প্রেয়োহন্যস্মাৎ সর্ববৰ্ম্মাদপ্তর তরং যদল্পমাত্ম।। - সেই যে এক, তিনিই সকল হইতে অন্তরতর পরমাত্মা, তিনিই পুত্র হইতে প্রিয়, বিত্ত হইতে প্রিয়, অন্য সকল হইতেই প্রিয়। মুহূর্তেই বিশ্বের বহুত্ববিরোধের মধ্যে একের ধ্রুবশাস্তি পরিপূর্ণ হইয়। দেথা দিল,—একের সত্য, একের , অভয়, একের আনন্দ, বিচ্ছিন্ন জগৎকে এক করিয়া অপ্রমেয় সৌন্দর্য্যে গাথিয়া তুলিল । শিশির-নিষিক্ত শীতের প্রত্যুষে পুৰ্ব্বদিক্ যখন অরুণবর্ণ, লঘুবাষ্পiচ্ছন্ন বিশাল প্রান্তরের মধ্যে আসন্ন জাগরণের একটি অথও শান্তি বিরাজমান,—যখন মনে হয়, যেন জীবধান্ত্ৰী মাতা বসুন্ধর ব্রাহ্মমুহূর্তে প্রথম নেত্র উন্মীলন করিয়াছেন, এখনো সেই বিশ্বগেহিনী তাহার বিপুল গৃহের অসংখ্যজীবপালনকাৰ্য্য আরম্ভ করেন নাই, তিনি যেন, দিবসরেস্তে ওঙ্কারমন্ত্র উচ্চারণ করিয়া জগন্মন্দিরের উদঘাটত স্বৰ্গতোরণদ্বারে ব্ৰহ্মাণ্ডপতির নিকট মস্তক অবনত করিয়া স্তব্ধ হইয়া আছেন – তখন যদি চিন্তা করিয়া দেখি, তবে প্রতীতি হইবে, সেই নিজন নিঃশব্দ নীহারমণ্ডিত প্রাস্তরের মধ্যে প্রয়াসের অন্ত নাই । প্রত্যেক তৃণদলের অণুতে অণুতে জীবনের বিচিত্র চেষ্টা নিরস্তর, প্রত্যেক শিশিরের কণায় কণার সংযোজন-বিযোজন-আকর্ষণ-বিকর্ষণের কার্য্য বিশ্রামবিহীন । অথচ এই অশ্রাত্ত অপরিমেয় কৰ্ম্মব্যাপারের মধ্যে শাস্তিসৌন্দর্য্য অচল হইয়া আছে। অদ্য এই মুহূর্তে এই প্রকাও পৃথিবীকে যে প্রচও