পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় প্রথম খণ্ড.djvu/৫৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বাদশ-সংখ্যা । ] দলের একটা উৎসাহ আছে, তাহ। সংক্রামক—তাহা মূঢ়ভাবে পরস্পরের মধ্যে नक्षाब्रिड, इब्र-डांशद्र অনেকটা অলীক । “গোলে হরিবোল” ব্যাপারে হরিবোল যতটা থাকে, গোলের মাত্র। ভাহা অপেক্ষ। অনেক বেশি হষ্টরা পড়ে। দলের আন্দোলনে অনেকসময় তুচ্ছ উপলক্ষো ভক্তির ঝড় উঠিতে পারে—তাহার সাময়িক প্রবলতা যতষ্ট কোক্‌ না কেন, ঝড়-জিনিষটা কথনষ্ট স্থারী নহে । সংসারে এমন কতবার কর্তশ ত দলের দেব তার অকস্মাৎ সৃষ্টি হইয়াছে এবং জয়ঢাক বাজিতে বাজিতে অতলস্পর্শ বিস্তুfতর মধ্যে তাছাদের বিসজন গুইয়া গেছে । পাথয়ের মূৰ্ত্তি গড়িয়া জবরদস্তি করিয়া কি কাহাকে ও মনে রাখা बाच्न ? ७८ब्रट्टे भिन्छेाब्र आविष्ड कि ययन অনেকের নাম পাথরে খোদা হয় নাক্ট, ইতিহাসে বাহাঙ্গের নামের অক্ষর প্রত্যহ ক্ষুদ্র ও ম্লান হইয়। আসিতেছে । এই সকল ক্ষণবঙ্গলের দেব গুণগণকে দলীয় উৎসাহে চিরকালের আসনে বসাইবার চেষ্টা করা, না দেবতার পক্ষে ভাল, না দলের পক্ষে শুভকরী দলগত প্রবল উত্তেজনা যুদ্ধেবিগ্রন্থে এবং প্রমোদ-উৎসবে উপযোগী হইতে পারে, কারণ ক্ষণিকতাচ্চ তাহার প্রকৃতি—কিন্তু স্নেহ-প্রেম-দয়া-গুক্তির পক্ষে সংযন্ত-সমাহিত শান্তিই শোভন এবং অমুকুল, কারণ তাহ অকৃত্রিমতা এবং ধ্রুবতা চাহে উন্মত্ততায় তাহা আপনাকে নিঃশেভি করিতে চাছে না। যুরোপেও আমরা কি দেখিতে পাই । . (*५ौंदन मण रॉांशिष्ट्रा ८ष छडि डेछछुनिष्ठ বারোয়ারি-মঙ্গল। Go হয়, তাহা কি যথার্থ ভক্তিভাজনের বিচার করে ? তাহ! কি সাময়িক উপকারকে চিরন্তন উপকারের অপেক্ষ বড় করে না, তাহা কি গ্রাম্যদেবতাকে বিশ্বদেবতার চেয়ে উচ্চে বসায় না ? তাহা মুখর দলপতিগণকে বত সন্মান দেয়, নিভৃতবাসী মহাতপস্বীদিগকে কি তেমন সম্মান দিতে পারে ? শুনিয়াছি লর্ড, পামারষ্টনের সমাধিকালে যেরূপ বিরাট সম্মানের সমাrরাহ হইয়াছিল, এমন কচিৎ হইয়া থাকে। দূরে হইতে আমাদের মনে একথা উদয় হয় যে, এই ভক্তিই কি শ্রের ? পামারষ্টনের নামই কি ইংলণ্ডের প্রাতঃস্মরণীয়ের মধ্যে—সৰ্ব্বাওগণনীয়ের মধ্যে স্থান পাইল ? দলের চেষ্টায় যদি কৃত্রিম উপায়ে সেই উদ্দেশ্য fকয়ৎপরিমাণে সাধিত হইয়া থাকে, তবে দলের চেষ্টাকে প্রশংসা করিতে পারি না— যদি না হইয় থাকে, তবে সেই বৃহৎ আড়স্বরে বিশেষ গৌরব করিবার এমনি কি কারণ আছে ? g যাহাদের নাম স্মরণ আমাদের সমস্ত দিনের বিচিত্র মঙ্গলচেষ্টায় উপযুক্ত উপক্রমণিকা বলিয়া গণ্য হইতে পারে, র্তাহারাই আমাদের প্রাতঃস্মরণীয় । তাহার অধিক আর বোঝাই কয়িবার কোন দরকার নাই । ব্যয়কাতর কৃপণের ধনেয় মত, ছোট-বড়-মাঝারি, ক্ষণিক এবং চিরন্তন, সকল প্রকার মাহাত্ম্যকেই শাদা পাথর দিয়া চাপা দিয়া রাখিবার প্রবৃত্তি যদি আমাদের না হয়, তবে তাহ লইয়া লজ্জা না করিলেও চলে। ভক্তিকে যদি প্রতিদিনের ব্যবহারযোগ্য করিতে হয়, তবে