পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় প্রথম খণ্ড.djvu/৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্যাধি ও প্রতিকার । ఫి హి আমরা অবলম্বন করি তবে আমরা ভুল করিব কারণ, যাহা ইংলণ্ডের ইতিহাসে বাড়িমুছে ভারতের ইতিহাসে তাহার স্থান নাই । এই কারণেই বিলাতে গিয়া আমরা ইংরাজের বাহ আচারের যে অনুকরণ করি এদেশে তাহা অস্থানিক অসাময়িক বিদ্রুপমাত্র। কিন্তু সেই সভ্যতার চিরন্তন অংশটি যদি আমরা গ্রহণ করি তবে তাঁহা সৰ্ব্বদেশে সৰ্ব্বকালেই কাজে লাগিবে । তেমনি ভারতবর্ষীয় প্রাচীন আদশের মধ্যেও একটা চিরন্তন এবং একটা সাময়িক ংশ আছে। যেটা সাময়িক সেটা অল্প সময়ে শোভা পায় না । সেইটেকেই যদি প্রধান করিয়া দেখি তবে বর্তমানকাল ও বর্তমান অবস্থা দ্বারা ভামরা পদে পদে বিড়ম্বিত উপহলিত হইব । কিন্তু ভারতবর্ষের চিরন্তন আদশটিকে যদি আমরা বরণ করিরা লই তবে আমরা ভারতবর্মীয় থাকিয়াও নিজেদের নান কাল নানা অবস্থার উপযোগী করিতে পারিব। এ কথা যিনি বলেন, ভারতবর্ষীয় আদর্শে লোককে কেবলি তপস্বী করে কেবলি ব্রাহ্মণ করিয়া তুলে তিনি ভুল বলেন এবং গৰ্ব্বচ্ছলে মহৎ আদর্শকে নিলা করিয়া থাকেন। ভারতবর্ষ যখন মহৎ ছিল তখন সে বিচিত্ররূপে বিচিত্র ভাবেই মহৎ ছিল। তখন সে বীৰ্য্যে ঐশ্বর্যে জ্ঞানে এবং ধৰ্ম্মে মঙ্গৎ ছিল, তখন সে কেবলি মালা জপ করিত না । তবে, ভিন্ন ভিন্ন সভ্যতায় আদর্শের বিভিন্ন তা কোন খানে ? কে কোনটাকে মূধ্য এবং কোনটাকে গৌণ দেখে তাহ লই । ভালকে সব সভ্য দেশেই ভাল বলে কিন্তু সেই ভালকে কেমন করিয়া সাজাইতে হইবে, কোনটা আগে বসিবে এবং কোনটা পরে বসিবে সেই রচনার বিভিন্ন st गहेग्नांहे ७थएडम । যেমন সকল জীবের কোষ উপাদন একই জাতীয়, কিন্তু তাহার স*স্থান নানাবিধ ইহা ও সেইরূপ । কিন্তু এই সংস্থানের নিয়মকে অবজ্ঞা করিবার ষো নাই । ইহা আমাদের প্রকৃতির বহুকালীন অভ্যাসের দ্বারা গঠিত। আমরা অন্ত কহোরে নকল করিয়া এই মূল উপাদানগুলিকে যেমন খুলি তেমন করিয়া সাজাইতে পারিন!—চেষ্টা করিতে গেলে এমন একটা ব্যাপার হইয়। উঠে যাহা কোন কৰ্ম্মের হয় না । এই জষ্ঠ কোন বিষয়ে সার্থকতালাভ করিতে হইলে আমাদের ভারতবধাঁর প্রকৃভিকে উড়াইয়া দিতে পারিব না। তাছাকে অবলম্বন করিয়া তাহারই আমুকুল্যে আমাদিগকে মহত্ত্বলাভ করিতে হইবে । কেহ বলিতে পারেন তবে ত কথাটা সহজ হইল । নিজের প্রকৃতি রক্ষার জন্ত চেষ্টার দরকার হয় না ত ? হয় । তাeারে। সাধন আছে । স্বাভাবিক হইবার জন্ত ও অভ্যাস করিতে হয়। কারণ, যে লোক দুৰ্ব্বল তাঁহাকে নfনাদিকে নান৷ শক্তি বিক্ষিপ করির তোলে। সে নিজেকে বক্ত না করিয়া পাচজনেরই অনুকরণ করিতে থাকে। পাঁচ জনের আকর্ষণ হইতে আপনাকে উদ্ধার করিতে হইলে নিজের প্রকৃতিকে সবল সক্ষম করিয়া তুলিতে হয়— সে একদিনের কাজ ন.হ—বিশেষতঃ বাহিরের শক্তি যখন প্রবল । কবি প্রথম বয়সে এ’র ও’র নকল করিয়া