পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় প্রথম খণ্ড.djvu/৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○8 দেখিয়াং কাণ্ডজ্ঞান শূন্ত হইয়া বকাও প্রত্যাশার দ্যায় লণ্ডভণ্ড হইয়া ভণ্ড সন্ন্যাসীহ্যায় ভক্তি ভাণ্ড ভঞ্জন করিতেছে এবং গবাপণ্ডের স্তায় গণ্ডে জন্মিয় গণ্ডকীস্থ গণ্ডশিলার গণ্ড না বুঝিয়া গণ্ডগোল করিতেছ,” এই অনুপ্রাস ভাষার কণ্ঠে অলঙ্কার হয় নাই, গলগণ্ড স্বরূপ হইয়াছে। অপরদিকে বৈষ্ণবগণ গদাকে অতি সহজ এবং সংক্ষিপ্ত করিয়া সাহিত্যে প্রচলিত করিতেছিলেন, আমরা তাহা দেখাইয়াছি। কিন্তু সমাজের উৰ্দ্ধভাগে যেখানে হিন্দু বড়লোক মুসলমান সম্রাটের অনুগ্রহপ্রার্থী, যেখানে ব্রাহ্মণের মস্তকেয় টাকিটি পর্য্যন্ত মুসলমানী পাগড়ীর মধ্যে বিলীন হইয়াছিল, সেখানে যে বাঙ্গলা গদ্যে উর্দু ভাষা অপৰ্য্যাপ্ত পরিমাণে প্রবেশ লাভ করিবে, তাহাতে আশ্চর্য্যের বিষয় কিছুই নাই। মহারাজ নন্দকুমারের লিখিত পত্রের ভধিীর নমুনা এইরূপ,— “অতএব এ সময়ে তুমি কমর বাধিয়া, আমর উদ্ধার করিতে পার, তবেই যে হউক, নচেৎ আমার নাম লেপি হইল, ঈহ! মকরর জানিল।। নাগাদি ৩রা ভাদ্র তথাকার রোয়দাদ সমেত, মজুমদারের লিখন সম্বলিত মানুষ কাসেদ এথা পৌছে তাহা করিব এ বিষয়ে এক পত্র লক্ষাধিক জানিবা।" এই পত্র ১৭৫৬ খৃঃ অব্দের আগষ্ট মাসে লিখিত হইয়াছিল। ভাষার এই মিশ্ররূপ বাঙ্গলাখতের ধারায় ন্থে ভাবে দৃষ্ট হয়, তদপেক্ষ হাস্তাম্পদ ও উদ্ভট রচনা কোন দেশের সাহিত্যে প্রাপ্ত হওয়া সম্ভবপর নহে। ব্যক্তির নামটা লুপ্ত হইয়াছে কিন্তু তৎপশ্চাৎবর্তী স্বার্থে “ক”টি “কস্ত কৰ্জপত্রমিদং প্রভৃত্তি অংশে শুধু বাঙ্গালা প্রাচীন গদ্য সাহিত্য পুৰ্ব্বসংস্কারের খাতিরে বজায় রহিয়াছে। এ যেন হিন্দু-আমলের একটি সংস্কৃতের ঢেউ নবাবী দরবারের উর্দুর সঙ্গে সন্মিলিত হইয়াছে। এখানে ব্যাকরণ নিতান্তই অসমর্থ ; ংস্কৃতের অসুস্বর ও বিসর্গ, টালমটালে প্রভৃতি উর্দু শব্দের সহিত একাসনে বলিয়াছে, ব্রাহ্মণ যেন উপবীত ছিড়িয়া যব:নর করমর্দন করিতেছেন । রাম বসুর প্রতাপাদিত্য চরিত, পুরুষপরীক্ষার অনুবাদ এবং মৃত্যুঞ্জয় তর্কালঙ্কার প্রণীত “প্রবোধচন্দ্রিক।” প্রভৃতি কয়েকখানি পুস্তকের ভাষা অনেকটা শিশুবোধকের স্বামীস্ত্রীর পত্র লিখিবর আদশের মত। ১৮০০ খৃঃ অব্দে ফোর্ট-উইলিয়াম কলেজ স্থাপিত হয়, এষ্ট কলেজের সংস্কৃতশাস্ত্রের অধ্যাপকগণ বঙ্গভাষাকে সাধারণ পাঠকের অনfধগম্য করিতে বিশেষ প্রয়াস স্বীকার করেন, তাহা না করিলে তাহাদের পাণ্ডিত্যHভমান বৃথা ছয় । কিন্তু অধ্যাপক মহাশয়গণ স্বীয় ঔদার্য্যগুণে বাঙ্গালার উপর এই যে একটু কৃপাকটাক্ষপাত করেন, দুঃখিনী বঙ্গ ভাষা কি তাহ চিরদিন মনে রাখিবে ? ইতিমধ্যেই র্তাহণের সাধুকীৰ্ত্তি লুপ্ত হইবার মধ্যে দাড়াইয়াছে । ১৮১১ খৃষ্টাব্দে লণ্ডন নগরে মুত্রিত র:জীবলোচন কৃত মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের জীবনচরিত সরল কথাবাৰ্ত্তার ভাষায় লিখিত একখানি অতি মূল্যবান গদ্যপুস্তক। এই পুস্তকের ঐতিহাসিক বিবরণের সত্যতা সম্বন্ধে দু এক স্থলে আমাদের সন্দেহ জন্মিতে পারে, কিন্তু ইং যে একজন সরল ও স্পষ্ট ভাৰী, অমুসন্ধিৎসু প্রাজ্ঞ ব্যক্তির লেখা তাই