পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় প্রথম খণ্ড.djvu/৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○と。 বাঙ্গাল প্রাচীন গদ্য সাহিত্য । রাজের সৈন্ত হইয়া মোহনদাসের নিকট গমন করিয়া মোহনদাসকে নষ্ট করহ ; আজ্ঞা পাষ্টয়া একজন মনুষ্য মোহনদাসের নিকট গমন করিয়া অগ্নিবাণ মোহনদাসকে মারিল সেই বাণে মোহনদাস , পতন হইল। পরে ন বাবি যাবদীর দৈন্ত রণে ভঙ্গ দিয়া পলায়ন করিল ইঙ্গরাজের জয় হইল ৷ প:র নবাব স্রাজেরদৌল সকল বৃত্ত:স্ত শ্রবণ করিয়া মনে মনে বিবেচনা করিলেন কোনমতে রক্ষা নাই আপন সৈন্য বৈরি হইল অতএব আমি এখান হষ্টতে পলায়ন করি । ইহ ই স্থির করিয়া নৌকাপরি অারে: হণ করিয়া পলায়ন করিলেন। পরে ইঙ্গরাজ সাহেবের নিকটে সকল সমাচার নিবেদন করিয়া মীরজাফরালিখান মুরসিদ্যবাদের গড়েতে গমন করিয়া ইঙ্গরাষ্ট্ৰী পতাকা উঠা ইয়া দিলে সকলে বুঝিল ষ্টঙ্গরাজ মহাশধের দিগের জয় হইল। তখন সমস্ত লোক জয় ধ্বনি করিতে প্রবর্ত হইল এবং নানা বাদ্য ব্যজিতে লাগিল । যাবদীয় প্রধান ২ মনুষ্য ভেটের দ্রব্য দিয়া সাহেবের নি ট সাক্ষাৎ করিলেন । সাহেব সকলকে আশ্বাস করিয়া যিনি যে কৰ্ম্মে নিযুক্ত ছিলেন সেই ২ কৰ্ম্মে তাহাকে নিযুক্ত করিখ রাজপ্রসাদ দিলেন । মীরজাফরালিকে নবাব করিয়া সকলকে আজ্ঞা করিলেন তোমরা সকলে সাবধানপূর্বক রাজ কৰ্ম্ম করিবা রাজ্যের প্রতুল হর এবং প্রজালোক দুঃখ না পায় সকলে আজ্ঞানুসারে কার্য্য করিতে লাগিলেন । পরে নবাব স্রাঞ্জেরদৌল পলায়ন করিম ধান তিন দিবস অভূফ অত্যন্ত ক্ষুধিত নদীর তটের নিকট এক ফকিরের আলয় দেখিয়া নবাব কর্ণধারকে কfছলেন । এই ফকিরের স্থান তুমি ফকিরকে বল কিঞ্চিত খাদ্য সন্মগ্রী দেও একজন মনুষ বড় পীড়িত কিঞ্চিত আহার করিবেক । ফকির এই বাক্য শ্রবণ করিয়া নৌকার সিফট অসিয়া দেখিল অত্যন্ত নবাব স্রাঙ্কেরদৌল বিসন্নবদন । ফকির সকল বৃকাস্থ জ্ঞাত হইয়াছে বিবেচনা করিল নবাব পলায়ণ করিয়া যায় ইঙ্কাকে আমি ধরিয়া দিব আমাকে পুর্লে যথেষ্ঠ নিগ্ৰহ কবিয়ছিল তাeার শোধ লইব ইহাই মনোমধ্যে করিয়া করপুটে বলিল আহারের জবা আমি প্রস্তুত করি আপনারা সকলে ভোক্তন করিয়া প্রস্থান করুন । ফকিরের প্রিয় বাক্যে নবাব অত্যন্ত তুষ্ট হষ্টর ফকিরের ঘাটিতে গমন করিলেন । ফকির খাদ্য সামগ্রির আয়োজন করিতে লাগিল এবং নিকটে নবাব মীরজাফরালী থানের চাকর ছিল তাহাকে সম্বাদ দিল যে নবাব স্রাজেরদৌল পলায়ন করিয়া যার তোমরা নবাবকে ধর । নবাব জাফরালিথীনের লোক এ সম্বাদ পালামাকে অনেক মতুষ। একত্র হইয়া নবাব শ্রাফেরদৌলাকে ধরিয়া মুরসদাবাদে অনি লেক ॥" এই রূপ সরস, সহক ও ভাব প্রকাশেপগোগী গদ্য রাজ রামমোহনরায়ের পুৰ্ব্বেও এতদ্দেশে প্রচলিত ছিল। অষ্টাদশ শতাবীর শেষভাগে রচিত ‘কামিনীকুমার’ নামক পদ্যগ্রন্থে একটি গদ্যাংশ আছে, তাছার অল্প একটুক অংশ উদ্ধৃত করিতেছি ;–“কামিনী কহিলেক ওহে চোর তুমি আমার আর কি কৰ্ম্ম করিৰে কেবল হকর কর্ণে সৰ্ব্বদ