পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় প্রথম খণ্ড.djvu/৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سC)b রচনার পূৰ্ব্বে গদ্যছন্দঃ” এই কথাটি লিখিত দেখা যায়। পণ্য রচনার যেরূপ ভণিত দেওয়ার প্রথা প্রচলিত ছিল, গদ্য পুস্তকেও মধ্যে মধ্যে সেরূপ ভণিতা দৃষ্ট হয়, যথা কালীকৃষ্ণদাস রচিত কামিনী কুমারে— “কালীকৃষ্ণ দাস বলে পশ্চাৎ রামবল্লভের এমনি কস্ত হইল যে কামিনীকে আর পষ্ট রামবল্লভ বলিতে হয় না রাম বলিবা মাত্রেই রামবল্লভ তামাক সাজাইয়া মজুত।” রাজীবলোচন মুখোপাধ্যায়ের কৃষ্ণচন্দ্র চরিতে দৃষ্ট হয় এক একটি প্যারাগ্রাফের শেষে দুইটি দাড়ি (। ) প্রদত্ত হইয়াছে এবং অধ্যায়াংশের মধ্যবৰ্ত্তী রচনায় যে সকল স্থানে সম্পূর্ণ বিরাম চিহ্ন দেওয়া অবিস্তক হইয়াছে সেই সকল স্থানে এক একটি দাড়ি (। ) প্রদত্ত হইতে দেখা যায়। প্রাচীণ গদ্যরচন। গুলিতে ব্যবহৃত অনেক শুবা ষে এখন অপ্রচলিত কিম্বা ভিন্নার্থ বোধক হইবে তাহা স্বাভাবিক ; গদ্য পুস্তকে আমরা “সমাধান” — গুছান, “প্রকরণ”—কাৰ্য্য,ঘটনা,— “খোদিত”– বিমর্ষ;"সমভিবাহৃত”—সঙ্গযুক্ত, “অন্তকরণে করা”—মনে করা, প্রভৃতি ভাবের অর্থে ব্যবহৃত শব্দের প্রয়োগ দেখিয়াছি। “দিগের” এই বিভক্তিটির পূৰ্ব্বে প্রায়শই একটি “র” প্রযুক্ত হইত, যথা “লোকের--দিগের” “ভূতোর দিগের” “পণ্ডিতের দিগের” এইরূপ প্রয়োগ রাজা রাম মোহন রায়েব গ্রন্থবলীতে এবং প্রাচীন তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা সমূহেও অনেক পাওয়া যাইবে। প্রাচীন—পুথির বর্ণ বিদ্যাসগুলির বাঙ্গালা প্রাচীন গদ্য-সাহিত্য अनूठे शूर्लक्रट* ७थन चांभारमञ्च श्रांब्र दिब्रब्र হয় না মনোনীত শব্দের স্থলে “মনোম্বিত” থাকিবে না—থাখিবে না", কুটুম্ব—“কুতুম্ব", বটে—“ভটে”, এক—"যেক”, প্রভৃতি অনেক স্থলে দেখিতে দেখিতে আমাদের চক্ষে সহিয়া গিয়াছে। কৃষ্ণচন্দ্র চরিতে কোন বিশিষ্ট পণ্ডিতের কথা উল্লেখ করিবার সময় প্রায়ই “মহামোহপধ্যায়” শব্দ ব্যবহৃত দৃষ্ট হয়। সুতরাং গভর্ণমেণ্ট কর্তৃক এই উপাধি স্বঃ হইবার পূৰ্ব্বেও সাবেকী বাঙ্গালায় ইহার যথেষ্ট প্রচলন ছিল স্বীকার করিতে হইবে । প্রাচীনকালের পত্র লিখিবার প্রণালী দেখাইবার জন্ত আমরা এইস্থলে দুইখানি পত্রের কতকাংশ উদ্ধৃত করিয়া এই প্রবন্ধের উপসংহার করিব ; প্রথম পত্রাংশ ৮দুর্গপ্রসাদ মিত্রের লেখা ১৮২৪ খৃঃ অব্দের ১৩ই ফেব্রুয়ারী এই পত্র লিখিত হয়।--দ্বিতীয় পত্ৰখানি ড্রেক সাহেবের মিকট সিরাজ উদল লিখিয়াছিলেন, উহা রাজীবলোচন যে ভাবে অনুবাদ করিয়াছিলেন, তাহাই প্রদত্ত হইল । e에 어Z -- সেবকস্ত প্রণাম নিবেদনাঞ্চাগে মহাশয়ের শ্ৰীচরণাশীৰ্ব্বাদে সেবকের মঙ্গল পরস্তু। — সম্প্রতি একজন দেশস্ত লোক দ্বারা জানিলাম যে মহাশয় পুনৰ্ব্ব:র সংসার করিবেন এমত অভিলাষ কয়িয়াছেন এবং শ্ৰীযুক্ত রামগোপাল চক্রবর্তী পাত্রী অন্বেষণ করিয়া ইতস্ততঃ ভ্রমন করিতেছেন। এ বিবরণ শ্রবণ করিয়া অত্যন্ত মনস্তাপ পাইয়া যে প্রকার

  • লিপি-সংগ্ৰন্থ গ্রন্থ