পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/১০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&tు शष्क्रirof् । [ υ% πέ, ζετέ নিত্য এসে ফিরে যাই সুখহীন ঘরে, বিফল বাসনারাশি কেঁদে কেঁদে মরে । ব্যথিত পীড়িত হিয়া, বেদনবিহবল, পাষাণদেবতা, শুধু তুমি অচঞ্চল। • ઊર્જાની:– দুভিক্ষপীড়িত ভারতে। +*><క్క: উদয়পুরের সুরমা বনভূমি । যাত্রাপথের ধারে, একটি রমণীয় বনে, গিরিপাদমূলে, দর্পণবৎ প্রশান্ত সরোবরের সন্মুখস্থ একটি কুটারে, তিনজন সন্ন্যাসীর বয়। ইগর যুবাপুরুষ, সুঠাম-সুশ্ৰী, নগ্নকায়, দীর্ঘকুন্তল— পাথরের দ্যায় পাংগুবর্ণ একপ্রকার চর্ণে উহাদের আপাদমস্তক আচ্ছন্ন । . প্রতিদিন সকল সময়েই- যখমই-ঐদিক্‌ দিয়া যাইবে—তখনি দেখিতে পাইবে,–ঐ তিনজন সন্ন্যাসী, ঐ অনাবৃত কুটীরে, বৌদ্ধধরণে আসনবদ্ধ হইয়া, স্থিরভাবে সরোবরের সম্মুখে বসিয়া আছে। সরোবরের জলে পৰ্ব্বতের ছায়া,–এঘনঘোর অরণ্যের ছায়া,— উদয়পুর-রাজপ্রাসাদের ছায়া বিপরীতভাবে প্রতিবিম্বিত । শুভ্রনগরের পশ্চাদ্ভাগে,—গবাক্ষবিশিষ্ট সিংহদ্বার পার হুইবামাত্র,—সহসা এই নিস্তব্ধ বনভূমির আরম্ভ হইয়াছে দেখিতে পাওয়া যায়-চণ্ডুদিক্ৰন্থ শৈলচুড়ার উপর দিয়া চলিয়া অবশেষে স্বরে অরণ্যে-ব্যাঘ্ৰসন্থল জঙ্গলে উহ্য মিশিয়া গিয়াছে। মধাবনের গাছগুল, লঘুশাখাবিশিষ্ট গুল্মতুরুগুলা, কতকটা আমাদের দেশের মত। আমাদের শরতের শেষভাগে যেরূপ ফুল-ফুটিয়া. থাকে,—সেইরূপ খুব ফুল ফুটিয়াছে ; যদিও এখানে এখন বসন্তকাল, গ্রীষ্মপ্রধান দেশের বসন্তকাল ;-বাতাস আগুনের মত। কিন্তু ভারতের অন্যান্ত অংশের স্তায় এখানকার স্বন্দর বনভূমিটিও নিশ্চল-নিম্পদ এবং এই বসন্তকালেও সমস্তই যেন মৃতকল্প । তিনবৎসর ধরিয়া এইরূপ চলিতেছে। নগরদ্বারের এত নিকটে থাকিয়াও এই ছায়াময় স্থানটি যে এমন নিস্তদ্ধ ও শাস্ত রহিয়াছে, ইহাই আশ্চৰ্য্য । নগরের অপরপাশ্বেই সমস্ত গতিবিধি ও লোকের চলাচল ; ধ্যানমগ্ন তিনজন সন্ন্যাসীর সন্মুখ দিয়া এ রাস্তায় কেহ প্রায় যাতায়াত করেন। এই বনে কৃষ্ণসার আছে, ੋੜ আছে, ঘুঘু ও টিয়াজাতীয় হরেকরকম পাখী আছে। বড়-বড় জাকাল ময়ুর দলে দলে বিচরণ করিতেছে। মরগাছের মধ্যবৰ্ত্তী স্থানে,