পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/১১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১১২ | م t৬ষ্ঠ ৰং আৰা। आुन कििो যদি তাহা না হইত, তবে সাহিত্যেও কোনো কোনো বিশেষ গ্রন্থে আর্ট আমাদের ক্ষতিই করিত। কারণ, কেবলমাত্র বাছাই করিয়া জগতের * যাহ-কিছু বিশেষভাবে সুন্দর,-বিশেষভাবে মহৎ, তাহারই প্রতি আমাদের রুচিকে বারংবার প্রবর্তিত করিতে থাকিলে আমাদের একটা রসের বিলাসিত জন্মায়। যাহা প্রতিদিনের, যাহা চারিদিকের, যাহা হাতের কাছে আছে, তাহা আমাদের কাছে বিস্বাদ হইয়া আসে ; ইহাতে সঙ্কীর্ণসীমার মধ্যে আমাদের অনুভবশক্তির আতিশয্য ঘটাইয়া আর-সৰ্ব্বত্র তাহার জড়ত্ব উৎপাদন করা হয়। এইরূপ আর্টসম্বন্ধীয় বাবুয়ানার দুৰ্গতির কথা টেনিস্ তাহার কোনো কাব্যে বর্ণনা করিয়াছেন, সকলেই তাহ জানেন। আমরা যে গ্ৰন্থখানির সমালোচনায় প্রবৃত্ত হইয়াছি, পাঠকের সহিত তাহার পবিচয়সাধন করাইবার আরম্ভে ভূমিকাস্বরূপ উপরের কয়েকটি কথা বলা গেল । রাস্কিনের সংজ্ঞা অনুসারে “শুভবিবাহ” . বইখাদি কিসের স্তব ? ইহার মধ্যে সৌন্দর্যের ছবি, মহত্বের আদর্শ, কি প্রকাশ পাইয়াছে ? ইহার উত্তরে বলিব, এমন করিয়া হিসাব খতাইয়া দেখা চলে না। আপিস হইতে ফিরিয়া আসিলে ঘরের লোক জিজ্ঞাসা করিতে পারে, আজ তুমি কি রোজগর করিয়া আনিলে ? লাভের পরিমাণ তখনি তাহাকে গুণিয়া দেখানে যাইতে পারে। কিন্তু বন্ধুবান্ধবের কৃতী বুকু আলি দি এ ও আজ তুমি কি লাভ কৰিলে, তবে খলি বাড়িয়া তাহা =হাতে-হাতে দেখানো সম্ভবপর হইতে পারে - || 酸 r ^T, কি পাওয়া গেল, তাহা বেশ স্পষ্ট করিয়া দেখানে যাইতে পারে। কিন্তু এমন গ্রন্থও আছে, যাহার লাভ অমন করিয়া হিসাবের মধ্যে আনা যায় না-যাহ নূতন শিক্ষা নহে, যাহা মহান উপদেশ নহে, যাহা অপরূপ স্বষ্টি নহে। যাহা কেবল পরিচিতের সঙ্গে পরিচয়, আলাপীর সঙ্গে আলাপ, বন্ধুর সঙ্গে বন্ধুত্বমাত্র । কিন্তু জীবনের আনন্দের অধিকাংশই এইরূপ অত্যন্ত সুহজ এবং সামান্ত জিনিষ লইয়াই তৈরি। আকস্মিক, অদ্ভুত, অপূৰ্ব্ব আমাদের জীবনের পথে দৈবাৎ আসিয়া জোটে ; তাহার জন্তে যে বসিয়া থাকে বা খুজিয়া বেড়ায়, তাহাকে প্রায়ই বঞ্চিত হইতে হয়। “শুভবিবাহ” একটি গল্পের বই, স্ত্রীলোকের লেখা, ইহার গল্পের ক্ষেত্রটি কলিকাত কায়স্থসমাজের অন্তঃপুর । এটুকু বলিতে পারি, মেয়ের কথা মেয়েতে যেমন করিয়া লিখিয়াছে, এমন কোনো পুরুষ গ্রন্থকার লিখিতে পারিত •ন | পরিচয় থাকিলেই তাহার বিষয়ে যে সহজে লেখা যায়, এ কথা ঠিক নহে। নিত্য-পরিচয়ে আমাদের দৃষ্টিশক্তির জড়ত আনে—মনকে যাহা নুতন করিয়া, বিশেষ করিয়া আঘাত না করে, মন তাহাকে জানিয়াও জানে না। যাহা সুপরিচিত, তাহার প্রতিও মনের নবীন ঔৎসুক্য থাকা একটি দুর্লভ ক্ষমতা। শুভবিবাহে লেখিকা সেই ক্ষমতা প্রচুরপরিমাণে প্রকাশ করিয়াছেন। এমন সজীব সত্য চিত্র বাংলা কোনো গল্পের বইয়ে আমরা দেখি নাই। গ্রন্থে বর্ণিত অন্তঃপুর ও অন্তঃ