পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/১২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

}}9 नःिशे । [ ৬ষ্ঠ বৰ জাৰা । ঠিকমত প্রকাশ করেন নাই, তাহ তিনি বানাইতে গেছেন এবং ভুল করিয়াছেন। এই ভাষায় রাঢ়দেশ এবং পূর্ববঙ্গের খিচুড়ি পাকাইয়া গেছে । মেয়েদের মুখে কোনো কোনো জায়গায় হঠাৎ সাধুভাষা এবং ইংরেজি कथों চশিয়া গেছে। এ সম্বন্ধে পুরুষ সমালোচকের পক্ষে জোর করিয়া কিছু বলা চলে না। আজকালকার বাংলা-বই-পড়ার দিনে মেয়েদের মুখে হয় ত অনেক সংস্কৃত কথা চলিয়া গেছে—হয় ত তাহারা কখন. কখন “বদল” না বলিয়া “পরিবর্তন” বলিলে আমার বিশ্বাস হয় না। অবঙ্গ দৈবাৎ কোনো একজন ইংরেজি-নু-জানা মেয়ের পক্ষে এ কথাটা জানা সম্ভব, কিন্তু সাধারণ মেয়েদের সঙ্গে কথায়-বাত্রায় এমন অপ্রচলিত কথাটা ব্যবহার করা কি স্বাভাবিক ? - সৰ্ব্বশেষে “মধুরেণ সমাপয়েৎ’, করিবার রীতি থাকিলেও প্রকাশককে আমরা মিষ্টকথা বলিয়া লেখা শেষ করিতে পারিলাম না । বড়ই অযত্নের সঙ্গে এ বই ছাপা হইয়াছে। এই গ্রন্থে লেখিকা যেমন নিজের আশ্চৰ্য্য ক্ষমতা, প্রকাশক তেমনি নিজের অসামান্ত আশ্চৰ্য্য হইবার কারণ নাই, কিন্তু "অ্যাপ্রেটিসূ” অক্ষমতাই প্রকাশ করিয়াছেন। আমরা ইংরেজিকথাটা যে প্রচলিত হইয়াছে, ইহা ইহা ক্ষমা করিতে পারিলাম না। - শ্রীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। বর্তমানযুগের স্বাধীনচিন্তা। কালে সেখানে পরিচিত হইবার আশাও আমার খুবই কম। সাহিত্যে প্রতিষ্ঠালাভের কোন আকাঙ্ক্ষণ হইতে এই বর্তমান প্রবন্ধের উৎপত্তি নয়। কিন্তু এই বৰ্ত্তমান আন্দোলনের ভিতর কার না মন শত চিন্তা, শত আবেগে পূর্ণ? সেই আবেগের বশবৰ্ত্তী হইয়াই এই দুইএকটা কথা লিখিতেছি । বৈশাখের বঙ্গদর্শন প্রকাশিত রামেক্সবাবুর বঙ্কিম্ভুচন্দ্র” শীর্ষক প্রবন্ধটি পড়িয়াই এই দুষ্টখাট কথা বলিবার বিশেষ আগ্রহ হর। সুতরাং যাহা বলিবার, ঐ প্রবন্ধটিকে উ করিয়াই বলিব । - পাইয়াছি। বঙ্কিমচন্দ্র তাহার “অনুশীলন”নামক গ্রন্থে লিখিয়াছেন— “অতি তরুণ অবস্থা হইতে আমার মনে এই প্রশ্ন উদিত হইত, ‘এ জীবন লইয়া কি করিব ? লইয়া কি করিতে হয় ? সমস্ত জীবন ইহারই উত্তর খুজিয়াছি। উত্তর খুজিতে খুজিতে জীবন প্রায় কাটিয়া গিয়াছে। অনেকপ্রকার লোকপ্রচলিত উত্তর পাইয়াছি, তাহার সত্যসত্যনিরূপণ, জন্য অনেক ভোগ ভুগিয়াছি, অনেক কষ্ট যথাসাধ্য পড়িয়াছি, অনেক লিখিয়াছি, অনেক লোকের সঙ্গে কথোপকথন করিয়াছি, এবং কাৰ্য্যক্ষেত্রে মিলিত"