পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/১৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

b^ श्यंश्चाद्द् ि।। [ ৬ষ্ঠ বর্ষ, অষিাঢ় । হইত, “ৰসিতে স্থাও ” ছেলেবেলা হইতে हैहाँहे निब्रब cमथिडांभ । श्रांथि अयश्च छिब्रদিনই আসন সরাইরা বলিরা পড়িতাম। মা আজ প্রথমেই জিজ্ঞাসা করিলেন, “আজ ত তোমার আহারের বড় কষ্ট হয়েচে ?” “८कब ?” -গুনলাম খোকার ওখানে অাজ তোমার নিমন্ত্রণ ছিল । আমি একবার মনে কালাম যে, তরকারী পাঠাইয়া দিই। কিন্তু খোকা কি ভাবিবে বলিয়া পাঠাইলাম না। ওখানে পেয়াজের রান্না হয়, তুমি ত থাবে না ।” আমি চুপ করিয়া গেলে মাতৃসমীপে কৈশোরের সেই নিষ্ঠাচারিরূপে পরিচিত থাকিতাম, কিন্তু ইহা আমার অসহ বোধ হইল । চক্ষু নত করিয়া বলিলাম—“এখন পেয়াজ খাই, কলিকাতার মেসে থাকিয়া শিখিতে হয়েচে ” ব্রাহ্মণবিধবার দল একযোগে छेकशंछ कब्रिग्न खे#िरणन । भां अथञ्चङ इहेम्नां বলিলেন-“ও ছেলে ত মিছা বলিবে না ।” আধুনিক ইংরেজীনবিশদের সর্ববিষয়িণী উজ্জ্বখ্যাত তিনি অব শ্রদ্ধার চক্ষে দেখিতেন না ; কিন্তু কতকগুলি বিষয়ে তাহদের প্রশংসা করিতেন। সাধারণত শিক্ষিতদলের সত্যপ্রিয়তা এবং উৎকোচগ্রহণে বিরাগ সেকালের লোকের অল্পকরণীয়,ইহা একাধিকবার র্তাহাকে ৰলিতে শুনি গছি । পুলিসবিভাগে সংলোকের কথা শুনিলে তিনি তাহাকে সম্মানিত করিয়া উৎসাহ দিতেন । বিশেষভাবে একজন পুলিস সৰ্ব-ইনস্পেক্টরের কথা এখানে উল্লেখযােগ্য। ইনি প্রায় সমগ্র চাকরীর কাল রাজশাহীর নামান্ধীনে কাটাইয়াছিলেন এবং পুটা দীর্ঘকাল ছিলেন। সেখানে ভিন্ন ভিন্ন সরিকদের স্বার্থের ঘাতপ্রতিঘাতে অবিশ্রাপ্ত যে বিবাদারি অলিত, দারোগ কেবল নিজের চরিত্রবলে তাহ থামাইয়া রাখিতেন। এই সজ্জন অথচ কঠোর কর্তব্যপরায়ণ পুলিসকৰ্ম্মচারীকে চিরদিন মহারাণীমাতা সম্মান ও শ্রদ্ধা করিতেন । প্রচলিত হিন্দুধৰ্ম্মে তিনি অনস্ত বিশ্বাসবতী ছিলেন এবং তাহার সকল अर्शीन *ङ्गय নিষ্ঠার সহিত র্তাহার রাজসংসারে ও পিতৃগৃহে আচরিত হইত। ফলত পিত্রালয়ে পিতামহী ও পিতাঠাকুরের কাছে শৈশবে ভক্তিভাবের যে শিক্ষা তিনি পাইয়াছিলেন, কালে তাঁহাই পূর্ণতালাভ করিয়াছিল। তাহদের দর্শন আমার অদৃষ্টে ঘটে নাই, কিন্তু মহারাণীমাতার মাতৃদেবীর যে পবিত্রত, সহিষ্ণুতা ও করুণার ছবি বাল্যকাল হইতে আমি দেখিয়াছি, তাহাতে নিত্য মনে হইয়াছে, মাতাই তার সকল মহত্বের মূল। বাল্যে মহারাণী হাস ও পায়রা পুষিতে বড় ভালবাসিতেন বটে, কিন্তু ফুল ও ঠাকুরপুজাই তাহার সর্বাপেক্ষ প্রিয় খেলা ছিল। একদিন পিতা তাহার নিত্য-দেবার্চনা শেষ করিয়া উঠিয়া গিয়াছেন, এমন সময়ে বালিকা ক্রীড়াছলে সেখানে পুজায় বসিলেন। কিন্তু আসনের নিকট প্রদীপ জলিতেছিল, তাহ র্তাহার লক্ষ্য হয় নাই। পরিধানের বস্ত্রাঞ্চল দীপশিখায় পড়িয়া ধুধু করিয়া জলিয়া উঠিল। কোন কোলাহল কি চাঞ্চল্য প্রকাশ না করিয়া সে বস্ত্র তিনি তৎক্ষণাৎ ত্যাগ করিলেন এবং নিৰ্ম্মালোর জলে ডুবাইয়া ধরিলেন। পরে আগুন নিবিলে ভিজা কাপড় পরিয়া পিতামাতার নিকটে গিয়া বলিলেন, “এমন স্বপ্রয় কাপড়খানা পুড়ে গেল।”