পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/১৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ుతీ ఆ কৰে যে আজ আচার, বর্ণ ও প্রথার এত বৈচিত্র্য, অথচ এক হিন্দুনামে সকলেই পরিচিত, তাছার মূলে কোন বিরোধ নাই। আমরা মনে করি যে, আমাদের দেশ কেবলি পার্থক্যের পর পার্থক্য রচনা করিয়া চলিয়াছিল, কোনৰুি ঐক্যকে স্বীকার করে নাই। সেই পার্থক্যের প্রাচীরগুলি আজই দেখা দিয়াছে ; --নিশ্চয়ই এমন সময় ছিল, যখন বিরোধের মধ্যেও একটা মিলন বিচিত্র সুরের সংযোগে রাগিণীর মত গুনা যাইত । নহিলে জ্ঞানে ও চিন্তায় আমাদের দেশ কখনো বড় হইতে পারিত না, ইহা আমার দৃঢ়বিশ্বাস। কিন্তু এ সকল কথা প্রামাণিক নয় বলিয়া অনেকের কাছে পরিহাসের বিষয় হইয়া দাড়ায়, জানি । কিন্তু জিজ্ঞান্ত এই, নুতন ভাবের স্রোতকে ঠেকাইবে কি উপায়ে ? চোখ বন্ধ করিয়া বসিয়া থাকিলেই চলিবে কি ? যখন মুসলমান আসিয়াছিল, তখন যদিও আমরাই জ্ঞানে ও ধৰ্ম্মে প্রবলতর জাতি, তথাপি কি সমস্ত ভারতবর্ষে আছন্তমধ্যে একটা ধৰ্ম্মের ‘বিপ্লব উপস্থিত হয় নাই ? তাহ বিপ্লব নহে, তাহাঁ সমন্বয়চেষ্টা । মুক্তমরুবাসী আরব যেমন বিশ্বেশ্বরের সন্মুখে খোলাখুলি দাড়ায়,—কোন প্রথায়, আচারে, ৰিচারে মানুষকে থও করিয়া রাখে না,—সকলকেই সেই একের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্বন্ধে সংযুক্ত দেখে, নিশ্চয় তেমন একটি ভাব আমাদের মধ্যে তখন প্রবল ছিল না । সম্পত্তিঙ্গ সমস্ত মানুষকে তাই ঈশ্বরের নিকটে সমান করিাদেখিবা জষ্ঠ নানক, কবীর, দাঙ্ক চৈতন্য, তুকায়াম, রামদাস প্রভৃতির জাৰিপ্তাৰ-৪ মবযুগ্মধর্মের প্রবর্তন । ইছাত্তে क्छवश्वन्धि । [ ध्ई वर्ष, णांकांछ। কি স্পষ্টই এই কথার সাক্ষ্য দেয় না যে, মুসলমানকে ভারতবর্ষ পৃথক্ভাৰে দেখিতে আর : পারিল না, তাহাকেও আপনার বৃহৎ ভাবরাজ্যের অন্তর্গত করিয়া লইল ? মহারাজ শিবাজীর ‘ধৰ্ম্মরাজ্য সংস্থাপনও সেই বৃহৎ চেষ্টার অন্ততুত । এ কথা স্বীকার করি না যে, সেই যুগে ‘সন্ন্যাসধর্শ্বের প্রায়ভাবে সংসারধৰ্ম্ম মলিন হইদাছিল ও সামাজিক ও রাজনৈতিক উন্নতির পথ বন্ধ হইয়াছিল, বরং বলি, প্রশস্ত হইয়াছিল। সংসার ও সন্ন্যাসের প্রাচীন বিরোধ রাজা শিবাজীই মিটাইয়া দিতেছিলেন কখনেট মহাপহার পুণ্য ভাগোয়াজেন্দান্ধে রণ , হোক আমি জানি না, আমি যে কথাগুলি লিখিয়া যাইতেছি, ‘স্বদেশী বা পেটিয়টিজম লেখক ঠিক সেই কথারই অনুমোদন করিবেন কি না । তাহার লেখা পড়িয়া আমার যাহা মনে হয়, আমি তাহাই লিখিলাম। যদি কোন জায়গায় র্তাহার সহিত না মিলিয়া থাকি, তবে তিনি যেন আমায় মার্জন করেন । ইউরোপীয় ভাব ও সাধনাকে ২ণ করিতে হইবে, এবং এইরূপ গ্রহণের দ্বারাই সমস্ত সভ্যতাই চিরকাল বললাভ কয়ে, সকল সভ্যতারই শ্রেষ্ঠজিনিষ বিশ্বমানবের সম্পত্তি । এ সকল কথা যখন লিখিতেছি, তখন জানি, আমার সহিত কোন সুহৃদয় ব্যক্তির অমিল নাই। কিন্তু একটি কথা জিজ্ঞাসা করি। কিরূপে ষে এ সকল সম্ভব হইবে, তাহা কি কেহ বলিয়া দিতে পারেন? রাজনৈতিক আন্দোলনে, লা সামাজিক হিতচেষ্টায়,কোথায়, কখন, কিভাবে যে আমরা জাগিৰ, তাহা কেই জানেন না। স্বতরাং বর্ণাশ্রম