পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/১৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

)\ly वजनअिनि । [ ৬ষ্ঠ বর্ষ, শ্রাবণ । মোহিতচন্দ্র বালকের মত নবীনদৃষ্টিতে, 'তাপসের মত গভীর ধ্যানযোগে এবং কবির মত সরস সহৃদয়তার সঙ্গে বিশ্বকে গ্রহণ করিয়াছিলেন, তাই আষাঢ় যখন এই নবতৃণখামল মাঠের উপরে ঘনীভূত হইয়া উঠে এবং মেঘমুক্ত প্রাতঃকাল যখন শালতরুশ্রেণীর ছায়াবিচিত্র বীথিকার মধ্যে আবিভূত হয়, তখন মনে বলিতে থাকে, পৃথিবী হইতে একজন গেছে, যে তোমাদের বর্ষে বর্ষে অভ্যর্থনা করিয়াছে, যে তোমাদের ভাষা জানিত, তোমাদের বার্তা বুঝিত ; তোমাদের লীলাক্ষেত্রে তাহার শূন্ত আসনের দিকে চাহিয়া তোমরা তাহাকে আর খুজিয়া পাইবে না— সে যে তোমাদের দিকে আজ তাহার প্রতিকোমল ভক্তিরসার্ক্স অন্তঃকরণকে অগ্রসর করিয়া ধরে নাই, এ বিষাদ যেন সমস্ত আলোকের বিষাদ, সমস্ত আকাশের বিষাদ । সকলপ্রকার সৌন্দৰ্য্য, ঔদার্য্য ও মহত্ব ষে হৃদয়কে বারংবার স্পন্দ্বিত-উদ্বোধিত করিয়াছে, সাম্প্রদায়িকতা যাহাকে সঙ্কীর্ণ করে নাই এবং সাময়িক উত্তেজনার মধ্যে চিরন্তনের দিকে যে লক্ষ্য স্থির রাখিয়াছে, আমাদের সকল সৎসঙ্কল্পে, সকল মঙ্গল-উৎসবে, সকল শুভপরামর্শে আজ হইতে তাহার অভাব দৈন্তস্বরূপে আমাদিগ ক আঘাত করিবে। উৎসাহের শক্তি যাহাদের পক্ষে স্বাভাবিক, আমুকুল্য যাহাদের নিকট হইতে সহজে প্রবাহিত হয়, যাহার উদার নিষ্ঠার দ্বারা ভূমীর প্রতি আমাদের চেষ্টাকে অগ্রসর করিয়া দেয় এবং সংসারপর্থের ক্ষুদ্রত উত্তীর্ণ করিয়া দিবার স্বাহার সহায় হইতে পারে—এমন বন্ধু কয়জনই ৰ আছে। দুইবৎসর হইল, ১২ই ডিসেম্বরে মোহিতচন্দ্র তাহার জন্মদিনের পরদিনে আমাকে যে পত্র লিখিয়াছিলেন, তাহারই এক অংশ উদ্ধৃত করিয়া এ লেখা সমাপ্তি করি। — “আজকাল সকালে-সন্ধ্যায় রাস্তার উপর আর বাড়ীর গায়ে যে আলো পড়ে, সেটা খুব চমৎকার দেখায়। আমি কাল আপনাদের বাড়ীর পথে চলতে চলতে স্পষ্ট অমুভব করছিলাম যে, বিশ্বকে যদি জ্ঞানের স্বষ্টি বলা যায়, তবে সৌন্দৰ্য্যকে প্রেমের স্বষ্টি বললে কিছুমাত্র অত্যুক্তি হয় না। আমাদের পাচটা ইন্দ্রিয় দিয়ে যে ভাবগুলো মনের ভিতর প্রবেশ করে, আমাদের প্রজ্ঞাজাত সংস্কারগুলি সেগুলোকে কুড়িয়ে-নিয়ে এই বিচিত্র মুসংহত বিশ্বরূপে বেঁধে দেয়। এ যদি সত্য হয়, তবে যে-সৌন্দৰ্য্য আমাদের কাছে উদ্ভাসিত, সেটা কত-নী ক্ষুদ্র-বৃহৎ নিঃস্বার্থ-নিৰ্ম্মল মুখের সমবেতস্থষ্টি ! associationকথাটার বাংলা মনে আস্চে না, f*w gwat& C&isïca &ŵ associationq? মূল, একমাত্র প্রেমই যে আমাদের মুখের মুহূৰ্ত্তগুলোকে যথার্থভাবে বাধুতে পারে, আর তা থেকে অমর সৌন্দৰ্য্য উৎপাদন করে,তাতে সন্দেহ হয় না। আর যদি সৌন্দৰ্য্য প্রেমেরই স্বষ্টি হ’ল, তবে আনন্দও তাই—প্রেমিক না হ’লে কেই বা যথার্থআনন্দিত হয়! এই সৌন্দৰ্য্য যে আমারই প্রেমের স্বা, আমার শুষ্কতা যে একে নষ্ট করে—এই চিন্তার ভিতর আমার জীবনের গৌরব, আর দায়িত্বের গুরুত্ব একসঙ্গে অনুভব করি। যিনি ভালবাসার অধিকার দিয়ে আমার কাছে বিশ্বের সৌন্দৰ্য্য, আর বন্ধুর পুঁতি এনে