পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/২০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ সংখ্যা । ] রাজতপস্বিনী । వీసాt অকপট শ্রদ্ধার অর্থ্য র্তাহাকে অর্পণ করিতেন। বাবু ভূদেব মুখোপাধ্যায় ও পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মহাশয় তাহার চরিত্রে মুগ্ধ হইয়া কন্যানিৰ্ব্বিশেষে তাহাকে স্নেহ করিতেন। ভূদেববাবু যতদিন রাজশাহীর স্কুল-ইনস্পেক্টর ছিলেন, মধ্যে মধ্যে পুটিয়ায় গিয়া মহারাণীমাতার সংবাদ লইতেন এবং স্বৰ্গীয় রাজার তৈলচিত্র দেখিয়া উচ্ছ সভরে একবার এডুকেশন গেজেটুের স্তম্ভে নিজে যে কবিতা লিথিয়াছিলেন, তাহাতে মহারাণীর প্রতি র্তার ভক্তি ও স্নেহ পরুিফুট হইয়াছিল। রাজশাহী হইতে বদলী হওয়ার সময় তিনি স্বহস্তে মাতাকে “মা” ও “তুমি” সম্বোধন করিয়া চঠি লিখিয়া আসেন। তাহাঙ্কে তিনি পরম আপ্যায়িত হইয়া বলিয়াছিলেন, পিতৃস্নেহস্বচক এই “তুমি” তার বড় মিষ্ট লাগিয়াছে। ১২৮৯ সালে শীতকালের শেষে তাহার স্বাস্থ্য একেবারে ভাঙিয়া গেলে কাশীধামে তাহাকে লইয়া যাওয়ার ব্যবস্থা হইল। মহারাণীমাতা ও লোকজনদের কয়দিন পূৰ্ব্বে রওনা করিয়া কুমার স্বয়ং পশ্চাতে আসিতেছিলেন। পূৰ্ব্বাহ্লে সংবাদ পাইয়া আমরা কলিকাতা হইতে মাতৃদর্শন জন্ত চুচুড়ার জোড়াঘাটে উপস্থিত হইলাম । বেনারস পৰ্য্যন্ত স্পেশেল ট্রেণের বন্দোবস্ত করিতে ২,৩দিন অতিবাহিত হইল। তাহার সেবারকার শ+জীণ মুক্তি দেখিয়া আমি বড় ম্রিয়মাণ হইলাম এবং বুঝিলাম যে, বেনারসে মুচিকিৎসার ব্যবস্থা হইলেও সূক্ষা পাওয়া কঠিন। কলিকাতার প্রসিদ্ধ ভিষকৃমণ্ডলীকে দেখাইয়া কিছুদিন চিকিৎসার পর তাহাকে কাশী লইয়া যাওয়৷ হউক,আমার এই প্রস্তাব রাজকৰ্ম্মচারীদের ভাল লাগিল না। ভূদেববাবু তখন পেশেন্‌ লইয়া বাটতেই ছিলেন, আমার মুখে সকল . কথা শুনিয়া তিনি মহারাণীমাতার সং লইতে আসিলেন। র্তাহার বিশ্বস্ত রাজকৃষ্ণবাবুকে আনাইয়া তিনি মাতার নাড়ী পরীক্ষা করাইলেন এবং কিছুদিনের জন্ত সেখানে রাথিয়া চিকিৎসার পরই যে বেনারস যাওয়া বিধেয়, ইহা সকলকে বুঝাইয়া দিলেন। সমভিব্যাহারী রাজকৰ্ম্মচারীরা এই পরামর্শামুসারে কার্য্যারস্ত করিবার পূৰ্ব্বেই কুমার সদলবলে পুটিয়া হইতে আসিয়া পৌঁছিলেন এবং বরাবর কাশীধামে যাওয়ার প্রস্তাবই বাহাল রহিল। আমার পিতৃদেব তখন রাজসংসার হইতে পেনশেন লইয়া অবসর গ্রহণ করিয়াছিলেন। ভূদেববাবু কুমারকে বলিবার জন্ত তাহাকে বলিলেন যে, তার যে মা, তিনি সমস্ত দেশের মাতৃস্বরূপ, সুচিকিৎসার অভাবে অকালে কোন দুর্ঘটনা ঘটিলে তাহার কলঙ্কের সীমা থাকিবে না। এখানে বলা আবশ্বক, সে-যাত্র মহারাণীমাত আরোগ্যলাভ করেন। • কিন্তু কিছুদিন পরেই হঠাৎ কুমারের কাশীলাভ হওয়ায় তিনি দারুণ শোক পাইয়াছিলেন । প্রধানত দানাদিসম্বন্ধে স্বগীয় বিদ্যাসাগরমহাশয়ের সহিত মহারাণীমাতার প্রত্রব্যবহার চলিত। সদনুষ্ঠানপ্রিয়তার জন্ত বিদ্যাসাগরমহাশয়কে তিনি বড় ভক্তি করিতেন এবং বলিতেন, তাহার প্রবর্তিত বিধবাবিবাহ চলিলে সমাজে পাপশ্ৰোত অনেক কমিৰে নিজের একটা প্রয়োজনে আমি একবার মহারাণমাতার পত্র লইয়া বিস্তাসাগরমহাশয়ের সহিত সাক্ষাৎ করিয়াছিলাম। প্রাতঃস্মরণীয়