পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/২৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম অংখ্যা। ] ब्राईवलौठ्ठf । ર૬ শিকারেও কুমারের আর উৎসাহ রহিল না। ক্রমে শ্বাপদজীবের অগ্রসরণে দুর্ভেদ্য-শৈলসছুল বনমধ্যে বিচরণ তাহার অভ্যস্ত হইয়া উঠিল। ভাস্করপণ্ডিত প্রথমবার যখন এদেশে আসিয়াছিলেন, সঙ্গোপনে ঝারিখণ্ডের নিভৃতপথে মুসলমানশক্তি পৰ্য্যবেক্ষণ করাই তাহার উদ্দেগু ছিল । বামনঘাটির বিশাল কাননপ্রান্তে মৃগয়ার্থী পদাঙ্কনারায়ণের সহিত তাহার প্রথম পরিচয় । প্রথম সাক্ষাতেই তিনি তাহাকে মেহের চক্ষে দেখিয়ুছিলেন।” দশম পরিচ্ছেদ । শিবাপ্ৰসন্নদাসের যেখানে যত গৃহ ছিল, সৰ্ব্বত্র এবং সকল সময়ে তাহীদের দ্বার অতিথিসেবার জন্ত উন্মুক্ত থাকিত। উমাপুরের বিশেষত্ব এই যে, তথায় তাহার সহধৰ্ম্মিণী স্বয়ং সদাব্রতপালনের ভার লইয়া সন্তাননিৰ্ব্বিশেষে সকল শ্রেণীর অতিথির পরিচর্য্যা করিতেন । তিনি স্বামীর যোগ্য গৃহিণী ছিলেন। বিধাতা তাহাকে সন্তান দেন নাই, কিন্তু অপরিমিত, অবিচলিত মাতৃভাবে ভূষিত করিয়াছিলেন। অনাথ শিশুসন্তানদের কুড়াইয়া-অনিয়া মানুষ করা এই দম্পতির এক রোগ ছিল । নীলাচলের পথে প্রতিবৎসর অসংখ্য যাত্রীর সমাগমকালে দুঃস্থ এবং রুগণ স্ত্রীপুরুষের ভার দাসমহাশয়ের নিযোজিত লোকজনেরা গ্রহণ করিবে, ইহা একেবারে ধরা কথা । তাছাদের ছোট ছোট ছেলেপুলের সুতরাং সাধারণত তাহার ঝড়ে পড়িত। ক্টোমিনী দেবী সেকালের প্রথমত শৈশবে শিবপ্রসন্ধর সহিত পরিণীত হইয়াছিলেন । দুজনের বয়সের তারতম্য অতি সামান্ত । অতএব জীবনপ্রভাতে সহকার ও মাধবীর মিলনের মত অম্বুদিন তাহারা অচ্ছেদ্য • প্রেমবন্ধনে বৰ্দ্ধিত হইয়াছিলেন । ইহার পর সৌদামিনীর সস্তান হওয়ার বয়স যখনউত্তীর্ণ হইয়া গেল, তখন দাসমহাশয়ের আত্মীয়-অন্তরঙ্গেরাও তাহাকে দারপরিগ্রছেন্ন জন্ত অনুরোধ করিতে পারেন নাই । দাসগৃহিণী রাইবনী-অঞ্চলের “মঠাকুরাণী” ছিলেন। দাতন’ হইতে রাজঘাট পৰ্য্যৰ যত গ্রাম, প্রত্যহ তাহার চারিদিকের গরিক দুঃখীরা আহার ও ঔষধের জন্ত তাহারি কাছে ছুটিয়া আসিত । গাছগাছড়ার টোটুকা ঔষধ তিনি যে কত জানিতেন, তাহার সংখ্যা হয় না। এবং বিজ্ঞ চিকিৎসকের মত রোগের বিবরণ শুনিয়া নিপুণতার সহিত যথাযথ ব্যবস্থা করার সামর্থ্য র্তাহার ছিল। এখানে বলা আবগুক, সেকালের গৃহিণীর সকলেই ব্যুনাধিক পরিমাণে গার্হস্থচিকিৎসায় অভিজ্ঞতা লাভ করিতেন । “মাঠাকুরাণী” কাজেই বয়সে তেমন । প্রবীণ ন হইলেও একটু একটু প্ৰগলভা। ছিলেন। স্বামীর আশ্রিত এবং প্রতিপালিত প্রায় সকল পুরুষের সহিত তাহাকে কখা কহিতে হইত—নিতান্ত অবগুষ্টিত, “ম্বর হইতে আঙিনা-বাহির” আদর্শে গঠিত হইলে র্তাহার চলারও উপায় ছিল না ৭ ইহার ফলে দাসগৃহিণী প্রচুর মাতৃভাব ও দরামায়ার সঙ্গে দৃঢ়চিত্ততা এবং গাম্ভীৰ্য্যের সমবায় করিতে পারিয়াছিলেন । * e. 態 অপেক্ষাকৃত সোজাপথে পদাঙ্কনারায়ণ মহারাষ্ট্রসেনার পূর্বে উমাপুরে পৌঁছিল। অন্দরে প্রবেশ করিতে না করিতে ঠাকুরাণী