পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/২৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম সংখ্যা । ] ब्रांछडviक्षिर्नेौ । 之●邻 ছাদে বসিয়া অপরাহ্লে তিনি গল্প অথবা লেখাপড়ার কাজ করিতেছেন, বন্যপারাবত তাহার অতি সন্নিকটে নির্ভয়ে চরিয়া বেড়াইতেছে। পক্ষিজাতিকে দেখিলেই করতলস্থ করার যে বালস্বভাবসুলভ লোভ, তাহা তখনও আমি সম্পূর্ণ পরিহার করিতে পারি নাই, অতএব এই দৃপ্তটি বড় বিস্ময়কর মনে হইত। রাজবাটীর উত্তরদিকের প্রাচীন পরিখাটিকে সংস্কৃত করাই তিনি যে সুদীর্ঘ চৌকী বা জলাশয় খনন করাইয়াছিলেন, তাহাতে কিছুদিনমধ্যে বিস্তুর গুক্তি জন্মিয়ছিল। মুক্তব্যেবসারীরা জানিতে পারিয়া প্রচুর লাভের আশায় দেওয়ানজির নিকট আবেদন করিল, তাহার বেশী হার দিতে প্রস্তুত, ঝিনুক উঠাইয়া লইবার আদেশ তাহাদিগকে দেওয়া হউক। প্রধান কৰ্ম্ম চারীরা ইহাতে কোন ক্ষতি দেখিতেছিলেন না, বরং রাজসংসারের একটা নূতন আয়ের পথ খুলিতেছে বলিয়া খুলী হইয়াছিলেন। কিন্তু মহারাণী সচরাচর তাহীদের কার্য্যে হস্তক্ষেপ করিতে অভ্যস্ত না হইলেও এ ক্ষেত্রে দৃঢ়তার সহিত আপন অসন্মতি প্রকাশ করিলেন এবং পিতৃদেবকে অনুযোগ করিয়া পাঠাইলেন যে, ছেলেপুলের বাপ হইয়া এরূপ নিষ্ঠুর প্রস্তাবের তিনি অনুমোদন করিয়াছেন! প্রাচীন রাজবাটীর চতুঃপার্শ্ব বৰ্ত্তী গড়খাই এক্ষণে বিভিন্ন সরিকদের ੱਲ੍ਹ পরিণত হইয়াছে, নানাজাতি জলচর পক্ষীরা এই সময়ে তাহাতে বিচরণ করিতে জাসিত। রাজকুমার এবং তাহার সহচরের শিকারে অভ্যন্ত হইবার উদেশে ইদানীং বন্ধুৰপন্থাম্বে বহুদিনের আশ্রিত পার্থীগুলিকে দুইএকবার উত্যক্ত করিয়াছিলেন। দুইচারিটা বন্দুকের জাওরাঞ্জ হইবামাত্র কথা মহারাণীর গোচর হইল এবং তিনি অত্যন্ত ব্যথিত হইয়া কুমারকে নিক্সে করিয়া পাঠাইলেন । হবিষ্যtল্পগ্রহণের পর হাতমুখ ধুইবার জন্ত তিনি খিড়কীর ঘাটে গমন করেন শুনিয়া আমি একদিন কৌতুহলী হইয়া কারণ জিজ্ঞাসা করিলাম। মা হাসিয়া বলিলেন, “একটা মাছ ভাত খাইতে আসে, তাই দেখিতে যাই।” প্রায়শ দেখা যায়, সন্তানবতী না হইলে মহিলারা শিশুসন্তানদের অবারিত ঘনিষ্ঠত সহিতে পারেন না। বিশেষত নিষ্ঠাবতী বালবিধবা হইলে ত কথাই নাই। মহারাণী ইহার ব্যতিক্রমস্থল ছিলেন। তাহার আদর্যত্ন পাইয়া বালকবালিকার উহাকে ছাড়িতে চাহিত না, তিনিও তাঁহাদের সঙ্গে শিশু হইয়া যাইতেন। একদিন তিনি রাণীঠাকুরাণীর সহিত সাক্ষাৎ জন্য চারিতানির রাজবাড়ী গিয়াছিলেন। পরদিন গল্প করলেন, “সেখানে বড় রাজকন্যার ছোট ছেলেট পেয়াজ খাইয়া আসিয়া তাহার মুখে হাদিত্তে লাগিল। যতক্ষণ বড় গন্ধ বলিয়াছিলাম, ততক্ষণ ঐরূপ করিয়াছিল, শেষে যখন বলিলাম গন্ধ নাই ( অথচ গন্ধ ছিল ), তখন আর দিল না।” .তাহার গুগিনী পূজনীয় শ্ৰীসুন্দরী দেবীর জ্যেষ্ঠ ৰক্ষাটি যখন নিতান্ত শিশু, তখন একদিন ছোটৰাষ্ট্রীর কোকনের (রাজকুমারীর পুত্র, ডাকনাম कूकूझ) कि खिमिष गहेब्राझ्नि । 'भी जांमांब्र সমক্ষে তাহাকে বলিলেন, “বুৰিয়াছ, পরের জিনিষ লইতে নাই। , তুমি কুকুরের জিমিৰে