পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/২৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম সংখ্যা । ] বটে, কিন্তু তাহার উপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল তাহার সম্যক ব্যয়ে প্রতিপালিত এবং শিক্ষিত বিদ্যার্থীদের জন্য তিনি যাহা করিতেন, তাহার পরিচয়গ্ৰহণ না করিলে তদীয় অস্তিরিকত এবং বৎসলভাবের যথার্থ গভীরতা বুঝা যায় না । এই সকল ছাত্রের অনেকে তাহাকে কখন দর্শন করিতে পাইত না, কিন্তু তাহার অযাচিত মাতৃস্নেহ অলক্ষ্যে তাহদের অভিষিক্ত করিত। ইহাদের ভিতর কোন কোন ছাত্রকে পুটিয়াস্কুল হইতে আরম্ভ করিয়া রাজশাহী কলেজে এবং কলিকাতার" কলেজদিতে অধ্যয়ন করান হইয়াছিল। ছুটির সময় আমরা যেমন পুটিয়ায় যাইতাম, এই ছাত্রদিগকেও মাতৃ-আজ্ঞায় সেইরূপ সেখানে যাইতে হইত, কেহ না গেলে মহাবুণীি দুঃখিত হইতেন । এই ছাত্রদের শীর্ষস্থানে আমার বাল্যবন্ধু ভূতপূৰ্ব্ব "শিক্ষাপরিচয়ের" সম্পাদক সুলেখক শ্ৰীযুক্ত শরচ্চন্দ্র চৌধুরী বি-এর নাম করা যাইতে পারে। অবকাশাস্তে আমরা যখন ফিরিয়া যাইতাম, মাতা এই ছাত্রদের প্রত্যেককে জিজ্ঞাসা করিয়া পাঠাইতেন, ব্যবহার্য্য কোন কোন দ্রব্যের কাহার কি অভাব আছে। এবং প্রতিবারে নূতন করিয়া গামছাখানি পর্য্যন্ত সঙ্গে দিতেন। মধুবনে সন্ধ্যা । ●●為 একটি ছাত্র দুর্ভাগ্যক্রমে কয়বার প্রবেশিকা, পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইতে না পারিয়া লজ্জায় ও. মনস্তাপে পড়াশুনা ছাড়িয়া দিল। মাতা তাহার খোঁজখবর করিয়াও কোন সংবাদপান না। আমি তখন জলবায়ুপরিবর্তনের জন্য লুপ্ৰলাইন সাহেবগঞ্জে ছিলাম। ফিরিবার সময় পিতাঠাকুরমহাশয়ের আদেশে ৮রায় রাজীবলোচন রায় দেওয়ানবাহাদুরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করিয়া মুরশীদাবাদের পথে পুটিয়ায় আসিতেছিলাম। ছাত্রটি আমার বন্ধু, তখন রামপুর বোয়ালিয়ায় ছিলেন। সাক্ষাৎ হইলে তাহার মনের অবস্থা বুঝিলাম এবং মহারাণীমাতাকে কিছু না জানাইয়া বিদ্যালয় ত্যাগ করার জন্য র্তাহাকে অমুযোগও করিলাম । আমার মুখে সকল শুনিয়া মাতা বড় দুঃখিত হইলেন। বলিলেন, “খরচপত্রের জন্য সে কুষ্ঠিত হয় কেন ?” আমি নিবেদন করিলাম যে, তাহাকে আর স্থানীয় কোন স্কুলে পড়ান অনর্থক। মা যদি সন্মত হন, শিয়ালদহ মেডিক্যালস্কুলে তাহাকে ভৰ্ত্তি হইতে বলি। এই প্রস্তাব মহারাণীমাতা আহলাদের সহিত অনুমোদন করিয়া তাহাকে কলিকাতায় পাঠাইয়া দিলেন। সে বন্ধুটি এক্ষণে ডাক্তার হইয়া দেশে চিকিৎসাব্যবসায় করিতেছেন। শ্ৰীশ্ৰীশচন্দ্র মজুমদার । মধুবনে সন্ধ্যা । مح– حة جيه يمسيحية هيغ عة تـ ‘ক্রম্মা’র শিখর হতে মন্দপদে নামি’ সন্ধ্যারাণী সুবিশাল দিকৃচক্রে বিছাইছে স্বর্ণাঞ্চলখানি । “যমুনী”র শীর্ণধার শুভ্ৰ যেন স্ফটিক নিঃসার লক্ষ কৃষ্ণ শিলাবক্ষ ভেদি বহে উৎস করুণার।