পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* ५१ তাৰ্থ হইলে নিশ্চয়ই আপনার আমার কাব্যরসগ্রাহিতার প্রশংসা করিবেন'। বিষবৃক্ষের মধ্যে যেখানে ছেলের পাল “হীরার আমি বুড়ী ইটে গুড়ি গুড়ি" বলিয়া সেই বৃদ্ধার পশ্চাদ্ধাবন করিয়াছিল ও বৃদ্ধ ইষ্টিরসনামক ব্যাধির প্রতিকারুবিষয়ে কেষ্টরসনামক ঔষধের উপযোগিতাসম্বন্ধে প্রতিবেশিনীর সহিত আলাপ করিতেছিল, সেই স্থানটাই গ্রন্থের মধ্যে সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট বলিয়া সাব্যস্ত করিয়াছিলাম। গজপতি বিদ্যাদিগ্‌গজকেই দুর্গেশনলিনীর মধ্যে সৰ্ব্বপ্রধান পাত্র স্থির করিয়াছিলাম, ইহাও নিঃসঙ্কোচে স্বীকার করিতেছি। মামি যে সময়ের কথা কহিতেছি, সে সময়ে পল্লীগ্রামের মধ্যে কলিকাতার ফ্যাশন প্রবেশ করে নাই। তখন কোন গৃহস্থের বাড়ীতে যাত্রা উপস্থিত হইলে পল্লীগ্রামের যাবতীয় লোক সেই যাত্রা শুনিতে সমবেত হইত ও রাত্রি জাগিয়া যাত্রা শুনিতে বাধ্য হইত। যাত্রায় গানের ও বক্তৃতার মধ্যে মধ্যে. সং আসিত। आंभाप्नद्र १ठ बागप्क्द्र निको गै शानद्र অংশ ও বক্তৃতার অংশটা অর্থাৎ অভিনয়ের অধিকাংশটাই অনাবশ্বক আড়ম্বর বলিয়া.বোধ ছইত ; এবং সংএর ভাগটা কেন যে বাড়নি হয় না,ইহার কোন সঙ্গত কারণ নির্ণয় করিতেন. প্লারায় বরং (প্রাতাদিগের রুচি ও প্রবৃত্তি' আমাদের দুরধিগম্য হইত। বক্তৃতার দীর্ঘসমাসবহুল বাক্যপরম্পর বরং গ্রন্থ ছিল, কিন্তু গানের অংশ আরম্ভ হইলেই আমাদের ঘুমের সময় উপস্থিত হইত', গান, বিশেষত চোগাচাপকানধারী জুড়ির গান,বৰতই অসৎ বোধ হইত। ছোট্টলারীর পদ ইলিয়টের মত ক্ষমত वंत्रनलीन। [७é वर्ष, हैवलॉष হাতে থাকিলে আমরা এক কলমে যাত্রা হইতে জুড়ি-সিটে উঠাই দিতাম, তাহার সন্দেহ নাই। ঠিকৃ একই কারণেই দুর্গেশনন্দিনীপাঠমাত্রেই বিয়াদিগ্‌গজের গৃতি আমার আত্যন্তিক শ্রদ্ধা উপস্থিত হইয়াছিল। আশমানির ঘরে বিমলার আকস্মিক প্রবেশের সহিত বিদ্যাদিগগজ ঘরের কোণে লুকাইয়া আত্মগোপন করিলেন, এবং তাহার শীর্ষরক্ষিত ছাড়ি হইতে অড়হরের ডাল বিগলিত হইয়া অঙ্গপ্রত্যঙ্গে মন্দাকিনীর ধারা বহাইল, সেই বিবরণ যখনই পাঠ করিলাম, তখনই বুঝিলাম, শ্ৰীবঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বাঙলাদেশে একটা মামুষের মত মানুষ এবং ঐতারিণীচরণ চট্টোপাধ্যায় কখনই তাহার ভ্রাতা নহৈন। আরও বুঝিলাম যে, বাঙলাসাহিত্য অতি উপাদেয় পদার্থ; এই সাহিত্যের সরোবরে বিদ্যাদিগ্‌গজের মত শতদলকমল যখন বিদ্যমান আছে, তখন গঞ্জাম গঞ্জাম চত্বরপুরের র্কাটাবন ঠেলিয়াও সেই কমলচয়নের চেষ্টা অসুচিত নহে । আজিকার এই প্রবন্ধপাঠকের বয়ঃক্রম যে নয়বৎসরের অনেক উদ্ধে, সে বিষয়ে আপনার সন্দেহ করিবেন না ; কিন্তু আমার কাব্যরসগ্রাহিতার যে অধিক উৎকর্ষ ঘটিয়াছে, সে বিষয়ে আপনাদিগকে নিঃসংশয় করিতে পারিব না। তখন যাহার ছেলের পালের अखब्रूख थोकिब्र शैब्राब्र. श्रीब्रि बूझैौब्र পশ্চাদ্ধাবন করিত, এখন অনেকের মাথায় পাকাচুলগুজাইয়াছে, ইহা প্রত্যক্ষসিন্ধ, কিন্তু বাঙলাদেশে বাঙালীসমাজে এন্তু পরিবর্তন' মত্ত্বেও বাঙলার ছেলের পালের স্বভাবে বিশেষ পরিবর্তন ঘটে নাই, ইছাও।