পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/২৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

e مbج रुक्कमेनि । [ ७% बई, आश्विन । লালাজিরই স্বজাতি এবং ইন্দ্রিয়সুখে তাহারই ন্যায় অমুরাগী। কাজেই অল্পদিনের ভিতর উভয়ের মধ্যে বেশ ঘনিষ্ঠ ও জন্মিয়া গেল । বল বাহুল্য, দারোগাজির চিত্তবিনোদনার্থে সুরা এবং নাচগানের ব্যয়ভার লালজিকেই বহন করিতে হইত। কিছুদিন এইরূপ তোষামোদের পর লালজির উদেশ্বসিদ্ধির কিঞ্চিৎ সম্ভাবনা দেখা দিল। এই সময়ে ম্যাজিষ্ট্রেট্‌সাহেবের নিকট হইতে দারোগাজির উপর আসেসারনিৰ্ব্বাচনের পরওয়ানা আসিল । দারোগাজি নিতান্ত অকৃতজ্ঞ ছিলেন না—অন্তান্ত নামের সঙ্গে বন্ধুবরের নামও সাহেবের নিকট পাঠাইয়া দিলেন এবং আশ্বাস দিলেন যে, “দোস্ত” যাহাতে অনারারি ম্যাজিষ্ট্রেট হইতে পারেন, সে চেষ্টাও সময়মত তিনি করিবেন। লালাজির ভাগ্যটা তখন ছিল ভাল । একমাস যাইতে না যাইতেই তিনি শুধু যে আসেসারনিৰ্ব্বাচিত হইলেন, তাহা নহে, প্রথম সেশনেই উপস্থিত হইবার জন্য নিমন্ত্রণপত্র পাইলেন। সেইদিন গ্রামবাসীরা সত্ৰাসে শুনিল যে, যে জজসাহেব দণ্ডমণ্ডের কৰ্ত্ত, সেই জজসাহেব কঠিন মকদ্দমার বিচার স্বয়ং করিতে না পারিয়া “সলা” এইবার জন্ত লালজিকে আহবান করিয়াছেন । পত্র পাইয়া লালজি একবার তেওয়ারিজির গৃ ভিমুখে চাহিয়া অবজ্ঞাপূর্ণ কটাক্ষপাত করিলেন.এবং গভীর আত্মপ্রসাদমুখে আপনার মিসি-রঞ্জিত দন্তশ্রেণীকে ক্ষণেকের জন্য নিবিড় গুম্ফপাশ হইতে নিস্কৃতি দিলেন। তার পর ৰাত্রার জন্য প্রস্তুত হইতে লাগিলেন। সমস্ত রাত্রি গোযানে গমন করিয়া সুলতানগঞ্জষ্টেশনে রেল ধরিলেন এবং পরদিন বেলা ১•টার সময় মুঙ্গের পৌছিলেন। তার পর বিশ্রামমাত্র না করিয়াই একেবারে আদালতে উপস্থিত হইলেন। তিনঘণ্টাকাল সেই গুরুভার দেহপিণ্ডকে বাবুসাহেব বৃক্ষতলে স্থাপন করার পর চাপরাসী সংবাদ দিল, জজসাহেব আসিয়াছেন। তখন সেই গজেন্দ্রগঞ্জী দেহভার যথাসম্ভব সত্বর বহন করিতে করিতে লালাজি জজসাহেবের সম্মুখীন হইলেন এবং তাহকে আভূমিপ্রণত সেলাম করিলেন। জজসাহেব সমবেত অষ্টাদশ আসেসারের আপাদমস্তক নিরীক্ষণ করিয়া দুইজনকে বাছিয়া লইলেন এবং অপর সকলকে চলির ঘাইতে ইঙ্গিত করিলেন । লালাজি নিৰ্ব্বাচিত হইতে না পারিয়া বড়ই মনঃক্ষুণ্ণ হইলেন এবং “অলস অঙ্গ” “শিথিল কবরী” প্রিয়বঞ্চিত অভিসারিকার ন্যায় আবার শূন্তগৃহে ফিরিয়া চলিলেন । যে রাত্রে লালাজি গৃহে ফিরিলেন, তাহার পরদিন প্রাতে র্তাহার দ্বারদেশে গভীর জনতা জমিয়া গেল। বাবুজি বাহিরে আসিয়া তাহার প্রতি জজসাহেবের শ্রদ্ধা এবং সমাদর ও র্তাহার “আক্কেল” ও “নেয়াকৎ” সম্বন্ধে “তারিফের” বিস্তৃত বিবরণ পুনঃপুন কীৰ্ত্তন করিয়া কৌতুহলপরবশ জনমণ্ডলীর তৃপ্তিবিধান করিলেন । আর সঙ্গে সঙ্গে নারায়ণজিকে হৃদয়াভ্যস্তরে ধন্যবাদ দিলেন যে,রঘুনাথপুরের কোন অধিবাসী তাহার নিস্ফলতা দেখিৰার জন্ত মুঙ্গেরে উপস্থিত ছিল নাu (t - দারোগাসহায় লালাজি ইতিমধ্যেই খ্যাতি