পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/২৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছভিক্ষপীড়িত ভারতে । من كتبتي جنحن لاختيه - חיי >> জালিকাটা বেলে-পাথরের নগর । এই ফুর্ভিক্ষপ্রদেশ ছাড়িয়া বঙ্গোপসাগরতটে ফিরিয়া যাইবার সময় গোয়ালিয়ার আমার পথে পড়িল । দুর্ভিক্ষপ্রদেশে ইহাই আমার শেষ থামিবার আডড । সমস্ত নগরটি খোদিতকারুকার্য্যে, শুভ্র ‘জালির কারুকার্য্যে সমাচ্ছন্ন। সমস্ত ভারতবর্ষের মধ্যে গোয়ালিস্নার প্রস্তরের উপর সুন্দর ও বিচিত্র তক্ষণকার্য্যের জন্ত প্রসিদ্ধ। এখানে যাহ-কিছু দেখা যায়, প্রায় সবই সুন্দর ; সবই খোদাই কাজে—জাফরির কাজে বিভূষিত । এই শোভাগৃহগুলি দেখিলে মনে হয়, যেন পাতলা তাস-কাগজের উপর ফোড় কাট ; কিন্তু আসলে কঠিন বেলে-পাথরে নিৰ্ম্মিত এবং উহার স্বল্প সুকুমার কাজগুলি আদৌ ক্ষণভঙ্গুর নহে। দ্বারপ্রকোষ্ঠের উপর পুষ্পমালার নক্স ; গবাক্ষের উপর ঝালরের নক্সা। দ্বারপ্রকোষ্ঠগুলা ছোট-ছোট ংখ্য থাম দিয়া ঘের ; থামের মাথালগুলা বৃক্ষপত্রের অনুকরণে এবং থামের তলদেশ পুপকোষের অনুকরণে গঠিত। উপযুপিরুি হুল রাশিরাশি অলিন্দ ও বারগু,—স্বসীমা অতিক্রম করিয়া রাস্তার উপর বাহির হইয়া পড়িয়াছে। সমন্সই বেলে-পাথরের । এই গোয়ালিয়ার-নগরে, যদি কেহ গবাক্ষের গরাদে, কিংবা সুন্দরদিগকে প্রচ্ছন্ন রাখিবার জন্ত বীজরা-জান্‌লা নিৰ্ম্মাণ করিতে চাহে, তাহা হইলে সে বেলে-পাথরের একটা বৃহৎ চাকূল৷ লইয়া তক্তার মত চাচিয়া পাতল করে এবং তাহাতে ছিদ্র করিয়া লতাপাতার আকারে অনেকগুলা স্থল্মচারু ফুকর বাহির করে । দেখিলে মনে হয়, যেন উহা হালকা কাঠের কাজ কিংবা কাগজের কাজ। সমস্তই চুনকামের মত তুষারশুভ্ৰ শ্বেতবর্ণে ধবলিত ; মধ্যে-মধ্যে, দেয়ালের উপর পুষ্প, হস্তী ও দেবদেবীর চিত্র উজ্জ্বলবর্ণে অঙ্কিত। এদিকে গ্রামপল্লী ক্রমেই উজাড় হইয়া পড়িতেছে । কিন্তু তা সত্ত্বেও, এই ইন্দ্রপুরাতুল্য নগরটিতে প্রবেশ করিলে দুর্ভিক্ষ্যে নাগপ্লট যেন প্রায় ভুলিয়া যাইতে হয়। এখানকার লোফের এতটা অর্থসম্বল আছে যে, তাহারা শস্ত্যাদি অনায়াসে ক্রয় করিতে পারে ; এবং তাঁহাদের এখনো এতটা জলসঞ্চয় আছে যে, তাহাতে উদ্যানাদি সংরক্ষিত ইইতে পারে । আতর প্রস্তুত করিবার জন্ত ও সাজসজ্জার জন্ত নগরচত্বরে ঝুড়িকুড়ি গোলাপফুল বিক্ৰী হইতেছে । গোয়ালিয়ার আসলে হিন্দুনগর ; কিন্তু এখানকার লোকের পাগড়ীগুলা মুসলমানীধরণের। তবে একরকম বিশেষধরণের পাগড়ী আছে—যাহা খুব অঁাটর্সটি করিয়া