পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৩১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজতপস্বিনী । లి)) জন্মগ্রহণ করে, আর কেহ করে না, তাহ নহে। পুত্র, মিত্র, তৃত্য, ভাৰ্য্য, পিতা, মাত, ৰান্ধব, এমন কি বন্ধন পৰ্য্যন্তও পৌৰ্ব্বকাগিক কৰ্ম্মসম্বন্ধের ঘটনায় সংঘটিত হইয় থাকে। ঐকালীবর বেদাস্তবাগীশ । রাজতপস্বিনী । [ জীবনীপ্রসঙ্গ ] বিশ্বরের কথা এই যে, উহাতে মাতৃভাবের তাঙ্কুশ প্রাচুর্ঘ্য থাকিলেও ন্যায়পরতায় মাত সমান শক্তিশালিনী ছিলেন। দুই প্রহরের সময় তাহার কাছারী ভাঙিলে সেইদিন মধ্যায় পৰ্য্যন্ত সমাগত পত্রাদি ,এবং দৈনিক খরচপত্রের স্বমীরের খাতা অনদরে পাঠান হইত। ভোজনাস্তে মহারাণী সমস্ত কাগজপত্র পাঠ করিয়া দেখিতেন এবং প্রয়োজন হইলে মতামত দিতেন। কিন্তু কৰ্ম্মচারীদের কুত খরচ কখন তিনি বাজেয়াপ্ত করিতেন না। কেবল একদিন আট আনা খরচ লাল কালি দিয়া কাটিয়া দিয়াছিলেন। দেখা গেল, একটি প্রজা তাহার সহোদর ভগ্নীর ষ্ট্রেট্রসংক্রান্ত কোন কাজ করায় ঐ আটজানা খোরাকী পাইয়াছে। দেওয়ানজী কারণ জিজ্ঞাসা করিলে মহারাণীমাত বলিয়৷ পাঠাইলেন যে, তার ভগিনীর কার্য্যের জন্য পুত্রের ক্টেটু হইতে কেন খরচ পড়িবে? কুমার "বখন পুটিয়ার ইংরেজীগুলে পড়েন, তখন একদিন জলখাবারের ছুটী হইলে ছেলেদের সঙ্গে ক্রিকেটু খেলিতেছিলেন। রাজৰাষ্টীয় বন্ধী রাধিকানাথ সেনের ভাগিলের বল নিক্ষেপ করিতে গিয়া হঠাৎ কুমারের চক্ষুতে আহত করিল। তিনি যন্ত্রণায় অধীর হইয় তাহকে গালি দেওয়ায় সে শাসাইয়। রাখিল, চুটীর পর বুঝা যাৰে । তার পর ছুটা হইয়া গেলে কুমারের পালকি “শিৰের চৌকী” ও “মরাচৌকীর মধ্যবৰ্ত্তী পথে অগ্রসর হইতেছে দেখিয়া মুবুদ্ধি বালক অকস্মাৎ দৌড়িয়া-আসিয়া এক পার্থের বরকন্যাজকে “মরাচৌকী"র দিকে মেলিং দিল এবং ক্ষিপ্ৰহস্তে ধূলি লইয়া অন্ত পাশ্বের বরকন্দাজটার চক্ষে নিক্ষেপ করিল। তাঁর পর রক্ষকহীন পালকির মুক্তপথে কুমারকে সজোরে কয়বার মুষ্ট্যাঘাত করিয়া নক্ষত্ৰবেগে দৌড়িয়া পালাইল। খবরট কিঞ্চিৎ শাখ+ পল্লবিত হইয় অনতিবিলম্বে ‘ রাজবাটীতে পৌছিলে মহারাণীমাত কুমারকে ডাকিয়া প্রকৃত ঘটনা অবগত কুইলেম । তিনি কুমারকেই দোষ দিলেন। খেলা করিতে করিতে ছেলেপূলের অমন হঠাৎ- লাগিয়াই থাকে, সেজন্ত গালি দেওয়া বড় অন্যায় হইয়াছে। বলিলেন, “কোকন, কাল তুমি স্কুলে গির বীর তাগিনেয়ের সঙ্গে সম্ভাবে