পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৩১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

AS बछङ्ग-नि ! . [ ७र्छ बर्ष, जोविन থেলিয়া মাপ চাহিয়া আসিবে । নহিলে আমি জলগ্ৰহণ করিব না।” ওদিকে সেই বালক আত্মীয়বন্ধুদের কাছে ভৎসিত হইলেও বুঝিল যে, ব্যাপার তেমন কিছু গুরুতর হয় নাই, অতএব সে পরদিন নিয়মমত স্কুলে পড়িতে গেল। দেখিল, রাজকুমার আহত চক্ষু বাধিয়া আসিয়াছেন। জলখাবারের ছুটী হইলে কুমার আসিয়া বন্ধুভাবে তাহার হাত ধরিলেন এবং কহিলেন, “চল, থেলিতে যাই!” ছেলেটি তাহাতে সম্মত হয় না । শেষে যখন শুনিলেন, মহারাণীর আদেশে কুমারকে সেভাবে আসিতে হইয়াছে, তখন খেলিতে গেল। কুমার সেদিন ব্যাটু ধরিয়াই চলিয়া গেলেন, চক্ষুর চিকিৎসা জন্ত অতঃপর ৪৷৫দিন স্কুলে আসিতে পারেন নাই। এই ক্ষুদ্র গল্পের নায়ক সেই "বীর"বালক মনোমোহনকর প্রৌঢ়বয়সে পদার্পণ করিয়াছেন। তাহার কয়বৎসর পূর্বের দত্ত নোটু হইতে শেষ কয় পংক্তি উদ্ধৃত করিতেছি – “আমি মহারাণীমাতার নিকট পূৰ্ব্বোল্লিখিত ঘটনার পূৰ্ব্বে কোনদিন পরিচিত ছিলাম না। আমার দুষ্টামিই আমাকে তাহার নিকট পরিচিত করিয়া দেয়। কয়েকমাস পরে আমার অতি উৎকট জর হয় । ক্রমাগত জোলাপের ঔ ৰ ব্যবহার করায় তিনদিন অবিশ্রান্তভাবে এমন বমন ও বিরেচন হইতে লাগিল যে, আমার জীবনের আশা লোপ পাইতেছিল। ডাক্তারগণ নিরাশ হইলেন।. মহারাণীমাতার দাসীরা বারংবার আমার অবস্থা দেখিয়া গিয় তাহাকে জানাইতে লাগিল। তখন তিনি স্বয়ং অম্লপিত্তের পীড়া অতিশয় কাতর হইয়াছিলেন। সেই সংবাদ পাইয় তাহার কবিরাজ রাধিকাধর সেন মহাশয় আমার সঙ্কটাপন্ন অবস্থার দিন রাজবাটীতে আসিয়া মহারাণীর শারীরিক অবস্থার কথা জিজ্ঞাসা করেন। তিনি নিজের কোন কথা না বলিয়া অগ্রে আমাকে দেখিয়া যদি বাচানর কোন উপায় থাকে, তাহা করিতে বলেন । তৎক্ষণাৎ কবিরাজমহাশয় আমায় দেখিতে আসেন এবং সামান্ত কয়টি বটিকাদ্ধারাবমন ও বিরেচন বন্ধ করিয়া আমাকে মৃত্যুমুখ হইতে উদ্ধার করেন। অল্প ও বিশুদাসী" মহারাণীমাতার আদেশ অনুসারে সমস্ত পুটিয়া ঘুরিয়া কার ঘরে অন্ন নাই, কার বস্ত্র নাই, কার ব্যাধির উপযুক্ত চিকিৎসা হইতেছে না, সন্ধান করিয়া তাহাকে বলিত । डिनि তদনুসারে ব্যবস্থা করিতেন।” কুমারের বয়ঃপ্রাপ্তির কিছুদিন পূৰ্ব্বে রাজশাহীর কোন পুরাতন মোক্তার রাজবাটীর কার্য্যে শৈথিল্য প্রভৃতি দোষে প্রধান কৰ্ম্মচারিগণের বিরাগভাজন হন । মোক্তারটি উপায়ান্তর না দেখিয় প্রার্থনা করিলেন, মহারাণীর সমীপে হাজিরি দিয়া সকল কথা বলিবার সুযোগ তাহাকে দেওয়া হউক । অনেকদিনের আশ্রিত ব্রাহ্মণের এই দ্যায়সঙ্গত কথায় মাত সন্মতিপ্রকাশ করিলে কুমার ইচ্ছাপ্রকাশ করিলেন যে, তিনি অস্তুরালে থাকিয় মোক্তারের সকল কথা শুনিবেন। মা বলিলেন যে, “তাহা হইতে পারে না। আমি এমন অবিশ্বাসের কাজ করিতে পারিব না। সে লোক মনে করিবে, সব কথা কেবল আমিই জানিলাম। তুমি কেন, প্রকাশুে সব শোন না ? শেষে তাহাই হইয়াছিল। কুমারের বিবাহের পূৰ্ব্বে মহিষ,