পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৩৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૭8રે প্রত্যেক ব্রাহ্মণশ্রেণীর মধ্য হইতে ঋত্বিকৃ গ্রহণপূৰ্ব্বক বিবাদের মীমাংসা করিয়া দেন। শেষে মহাসমারোহে যজ্ঞকাৰ্য্য সম্পন্ন হয়। মহারাজ মানসিংহের সময়ে জমিদারীর আয় ছিল বার্ষিক ১৪০০০০০ চৌদলক্ষ টাকা। তিনি ভ্রাতৃগণসত্বেও স্বীয় দৌহিত্রের নামে জমিদারীর উইল করিয়া যান। তদনুসারে বর্তমান মহারাজ মহামহোপাধ্যায় সার প্রতাপনারায়ণ সিংহ বাহাদুর কে, সি, আই, ই, মহোদয় এখন অযোধ্যনরেশ * । ইনি প্রৌঢ়বয়স্ক এবং সংস্কৃত ও হিন্দীভাষায় শিক্ষিত। মহারাজ ইংরেজীভাষাও জানেন । ইহার যত্নে রাজ্যের আয় বার্ষিক চৌদলক্ষ হইতে ষোললক্ষে পরিণত এবং উদ্যান, দেবমন্দির, জলাশয়, মনোহর সৌধমালা ও অত্যুচ্চসিংহদ্বারপরিশোভিত রাজভবন অমরাবতীর দ্যায় শোভাযুক্ত হইয়াছে। মহারাজ অত্যন্ত আস্তিক,–সন্ধ্যাপূজা, বেদপাঠ, স্তোত্রপাঠও পণ্ডিত এবং দণ্ডী পরমহংসগণের সহিত শাস্ত্রীয় আলাপেই অধিকাংশ সময় অতিবাহিত করেন । ইনি বারাণসী ধামস্থ ৮ ভাস্করানন্দস্বামীর শিষ্য। এখন পরমহংসপরিব্রাজকাচাৰ্য্য মৈথিলস্বামী মহারাজের ধৰ্ম্মোপদেষ্ট । অযোধ্যার রাজ বাটীতে শাস্ত্রীয় বিবাদৰীমাংসার নিমিত্ত একটি পণ্ডিতসভা ও রাজকাৰ্য্যনিৰ্ব্বাহের জন্ত দরবার বা কাউন্সিল আছে। পণ্ডিতসভার সভাপতি মহারাজ। সদস্তগণ যথা— প্রয়াগদত্ত শৰ্ম্মা ( বেদবিৎ ),.ভাউরাম পণ্ডিত (জ্যোতিষী পণ্ডিত রামাবতার(বৈয়াকরণ), बछछ*नि । পণ্ডিত নৃসিংহপতি ( মীমাংসক)। [ ওষ্ঠ বৰ্ষ, কাৰ্ত্তিক। পণ্ডিত রামভরসা (সাহিত্যবিৎ ), পণ্ডিত শিবদত্ত মিশ্র ( আলঙ্কারিক ), গোবৰ্দ্ধন পণ্ডিত । { গণিতবিৎ), পণ্ডিত বকবনপতি ( দার্শনিক ), এতদ্ভিন্ন রাজধানী হইতে বৃত্তিপ্রাপ্ত বহু পণ্ডিত আছেন । দরবার বা কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট স্বয়ং মহারাজ। ম্যানেজার পুরুষোত্তম দাস ( গুজরাটী বণিকৃ), দেওয়ান ঐধর পণ্ডিত ( শাকদ্বীপী ব্রাহ্মণ), প্রাইভেট সেক্রেটারি গোবৰ্দ্ধন মিশ্র ( ঐ ), সেক্রেটারি ( একটি বাঙালী) এবং অন্তান্ত মেম্বর ও রাজকৰ্ম্মচারী অনেক আছেন। ; ৫ই কাৰ্ত্তিক পূৰ্ব্বাহ্লে সরযুস্নান ও সন্ধ্যাপূজা শেষ করিয়া পূৰ্ব্বপ্রস্তাব অনুসারে রাজবাটতে গেলাম। দারোগ পণ্ডিত শিবদত্ত মিশ্র আহবান করিয়া একটি নির্দিষ্ট স্থানে বসাইলেন। তখন বেলা আটটা। রাজ- . ভবনের দক্ষিণাংশে সুবিস্তৃত পুষ্পোপ্তানের মধ্যে স্বর্ণমণ্ডিতচূড়াবিশিষ্ট বহু দেবমন্দির বিরাজমান। উহার অধিকাংশেই শিব, বিষ্ণু, রাম ও কৃষ্ণের মূৰ্ত্তি প্রতিষ্ঠিত। মহারাজ পূৰ্ব্বাস্ত্র ৮টা হইতে ১২টা পৰ্যন্ত ক্ষৌম বসন ও উত্তরীয় ধারণ করিয়া নগ্নপদে প্রত্যেক দেবমন্দিরে অর্চনা ও স্তোত্রপাঠ করিলেন । কোথাও বেদপাঠ, কোথাও রামায়ণ, কোথাও মহাভারত, কোথাও পুরাণপাঠ হইতেছে। প্রত্যেক মন্দিরে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করিয়া ঐ সকল পাঠ শ্রবণ করিলেন । ইহা মহারাজের . প্রাত্যহিক ব্যাপার। আমি আগ্রে জানিলে যথাসময়ে উপস্থিত হইতাম। কিন্তু কি করি,

  • ইনি বর্তমান বর্ষে মহামহোপাধ্যার উপাধি লাভ করিয়াছেন। আমি যখন অযোধ্যায় গমন করি, তখন .

মহারাজ উক্ত উপাধিদ্বারা ভুক্তি হন নাই।