পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

t .७२ বিবাদ করিতে প্রস্তুত নহি । বঙ্কিমচন্দ্রপ্রযুক্ত ধৰ্ম্মের এই বৈজ্ঞানিক সংজ্ঞ গ্রহণ করিলে উহা culture অপেক্ষাও ব্যাপক হইয়া উঠে ; এবং এই ধৰ্ম্মের অন্বেষণের জন্য বঙ্কিমচন্দ্র আপন ঘরে প্রত্যাবৃত্ত হইয়৷ গীতাশাস্ত্রের আশ্রয় লইয়াছিলেন। এই ব্যাপক অর্থে ধৰ্ম্মশব্দ প্রয়োগ করিলে সাৰ্ব্বভৌমিক ও প্রাদেশিক উভয় ধৰ্ম্ম উহার অস্তর্নিবিষ্ট হইয় পড়ে ; এবং বঙ্কিমচন্দ্র দেখাইতে চাহিয়াছিলেন, সেই সাৰ্ব্বভৌমিক ধৰ্ম্মের বা প্রাদেশিক যুগধৰ্ম্মের অন্বেষণের জন্তও আমাদিগকে পরের দ্বারে ভিক্ষার্থী হইয়া দাড়াইতে হইবে না। আজ গীতার স্থলভ সংস্করণ লোকের পকেটে-পকেট বিরাজ করিতেছে, কিন্তু বঙ্কিমচন্দ্র যে সময়ে গীতার ব্যাখ্যা করিতে প্রবৃত্ত হন, তখন ইংরেজিস্ট্রিক্ষিত লোকের মধ্যে উহা বিরল প্রচার ছিল। কিন্তু বঙ্কিমচন্দ্র যাহার মুলে, যাঙলাদেশে সে জিনিষ বসিয়া থাকে না, তাহ চলিয়া বায়; তাই বঙ্কিমুচন্দ্র ষেদিন নবজীবন ও গ্রচার আশ্রয়. করিয়া বঙ্গবাসীকে তাহার আপন শাস্ত্রের সহিত পরিচিত করিলেন, সেইদিন হইতে সেই শাস্ত্রকথা বাঙলাদেশের শিক্ষিতসমাজে চলিতে লাগিল। তদবধি উহ। আর থামে নাই। ... • .” বঙ্কিমচন্দ্রই প্রথমে শিক্ষিতবাঙালীর সম্মুখে স্বদেশের শাস্ত্র স্থাপন করিয়াছিলেন, একথা বললে ভুল হইবে। তাহার অনেক श्रृंखँ' दक्रडैननैौद्र আঁরু, এক সন্তান বিশ্বজগতের পূরণকবির চতুর্মুখনিঃস্থত এবং ভারতের প্রাচীন ঋষিগণের শ্রতিপ্রবিষ্ট বাণীর মধ্যে সাৰ্ব্বভৌমিক ধর্মের সন্ধান পাই৷ बशनं । * tw বা বৈশাখ। পুলকিত হইয়াছিলেন ; এবং তাহার পরে বঙ্গछननौन्न आब्र यक्छन जस्त्राम ०छेम्भाभनिबन्গ্রন্থের পরিত্যক্ত পাতা মধ্যে সেই ধর্শ্বের সন্ধান পাইয়া আপনাকে ধন্ত মানিয়াছিলেন। মহাত্মা রামমোহন রায় ও মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর শ্রতিবাক্যের যে অর্থ গ্রহণ কুরিয়াছিলেন, তাহা আমি গ্রহণ করিতে পারি নাই । কিন্তু তাহারা ভারতবর্ষকে স্বকীর সামর্থ্যের উপর আত্মপ্রতিষ্ঠা করিতে আহবান করিয়া ভারতবাসীর যে জ্ঞানান্ধত অপনোদন করিয়া গিয়াছেন, তজ্জন্য আমি তাহাদের স্বদেশে জন্মিয় ধন্য হইয়াছি। এ কথা গোপন করিবার প্রয়োজন নাই যে, ঐ দুই মহাপুরুষের অনুবৰ্ত্তারা ধৰ্ম্মতত্বের অনুসন্ধানের জন্ত বিদেশে যাত্রা আবশুক বোধ করিয়াছিলেন এবং অন্য দেশের অন্য জাতির শাস্ত্র হইতে সাৰ্ব্বভৌমিক ধৰ্ম্মের সারসঙ্কলনে প্রবৃত্ত হইরাছিলেন । ধৰ্ম্মপিপাসুর পিপাসা যদি তাহাদিগকে পানীয়-আম্বেষণ পৃথিবীভ্রমণে বাধ্য করে, তাহাতে দুঃখিত হইবার কোনই কারণ নাই ; বিশেষত ১৯০৫ অব্দের ৯ই আগষ্টের পূর্ব পর্য্যন্ত বিদেশের জিনিষ বর্জন করিতে ভারতবাসী কখনও প্রতিজ্ঞা করিতে বসে নাই। এই বিদেশযাত্রীদিগের অনাবশুীক পরিশ্রমের জন্য আমরা তত দুঃখিত নহি, কিন্তু বিদেশের আকর্ষণে তাহার স্বদেশীসামগ্রীর প্রতি যদি উপেক্ষা বা অবজ্ঞা প্রদর্শন করিয়া থাকেন, তাহার জন্য ক্ষোভ করিবার হেতু আছে। যাহাই হউক, ধৰ্ম্মতত্বের অনুসন্ধানে বিদেশপর্যটন অনাবঠক হইলেও আমরা ঐ অনাবশুক পরিশ্রমে প্রবৃত্ত হইয়াছিলাম , এমন সময়ে বঙ্কিমচন্দ্র আমাদিগকে আপন ঘরে প্রত্যাবর্তনের জন্য ডাক