পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৩৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

હક્કર তোমার বড় ভাই সভাপতি হইয়াছিলেন।” স্বায়ত্তশাসনসংক্রান্ত ঢাকায় যে সভা হইয়াছিল, তাহাতে বিশহাজার লোকসমাগম হয়। ইংলিশম্যানের তারের খবরের স্তম্ভে এই সংবাদ পড়িয়া আমি মহারাণীমাতাকে জানাইলাম । ইহাতে তিনি আনন্দলাভ করিয়াছিলেন। আর একদিন কলিকাতা মিউনিসিপালিটির নূতন নিৰ্ব্বাচনের কথা হইতেছিল। সে উপলক্ষে রাজধানীতে বড় ধুমধাম হইয়াছিল। করদাতৃগণ সে সময় যেরূপ আগ্রহ ও উৎসাহ দেখাইয়াছিলেন,তাহা “আত্মশাসনে" অভ্যস্ত দেশেই সম্ভব। হাইকোর্ট হইতে বিচার হইয়া গিয়াছিল, ডাক্তার রাজেন্দ্রলাল মিত্র মিউনিসিপাল কমিশনর হইতে পারেন না। তাহ লইয়া সেদিন হুলুস্থল পড়িয়া গিয়াছিল। মাতা এই মোকদমার কথায় জিজ্ঞাসা করিতেছিলেন, এই "ারার উপাধির অর্থ কু? আমি বুঝাইয়া দিলাম। মিত্রমহাশয় “ওয়ার্ড-ইন“ষ্টিটিউট-সম্পর্কে সেকালের কোর্ট অব, ওয়ার্ডসের কর্তৃত্বাধীন তরুণ জমিদারদের বিলক্ষণ পরিচিত ছিলেন, স্বৰ্গীয় রাজাকেও কিছুকাল তাহার পর্যবেক্ষণে থাকিতে হইয়াছিল। অতএব মহারাণীমাতা সেদিন তাহার কথা অনেক জিজ্ঞাসা করিয়াছিলেন। খবরাখবর সকলই তিনি জানিতেন এবং আগ্রহের সহিত সকল বিষয়ের তথ্যানুসন্ধান করিতেন। গভর্ণর জেনারেলের জেলসম্বন্ধে মন্তব্যপত্রে অনেক লুণ্ঠন কথা ছিল। এই সময়ে স্থয়েন্ত্রবাবুর প্রেসিডেন্সি-ম্যাজিষ্ট্রেটু बन्ननर्णन । [ ৬ষ্ঠ বর্ষ, কাৰ্ত্তিক। হওয়ার খবরও সংবাদপত্রে বাহির হইল। মহারাণীমাতার সহিত এই উভয় বিষয়ে আমাদের কথাবাৰ্ত্ত হইয়াছিল। তিনি রাণী-উপাধি লাভ করিলে খেলাৎদানসম্বন্ধে গবর্মেন্টের সহিত পত্রব্যবহার হইল। তিনি কুলবধূ, দরবারে উপস্থিত হইতে অক্ষম—ৰ্তাহার উত্তরের মৰ্ম্মার্থ এইরূপ। নজর বলিয়া অর্থোপহার দেওয়ারও দরকার তিনি মনে করেন নাই। যথাসময়ে দরবারের দিন স্থির হইলে দেওয়ানজীকে তাহার পক্ষে উপাধির সনন্দ আনিতে জেলার সদরে যাইতে হইল। র্তাহাকে মাতা বলিয়াছিলেন, “গতবৎসর প্রিন্স অব ওয়েলস্ আসিলেবঁকিপুরের দরবারে আমার নিমন্ত্রণ হইয়াছিল। তখন আমি কলেক্টর ডয়েলীসাহেবকে লিখিয়াছিলাম, নিমন্ত্রণের গৌরবরক্ষার্থ আগামী শীতঋতুতে আপনার 'যোগে আমি গরিবদুঃখীদের কিছু শীতবস্ত্র দিব। সেই প্রতিশ্রুতিপালনের সময় উপস্থিত। আপনি কলেক্টরের সঙ্গে পরামর্শ করিয়া দরবারের পূর্বেই হাজারটাকার কম্বল শীতাৰ্ত্তদের বিতরণ করবেন। কিন্তু আমার এই উপাধিপ্রাপ্তি উপলক্ষে কোনরূপ দান হইতে পরিবে না। দরবারের পর কিছু বিতরণ করিলে লোকে বুঝিবে যে, উপাধি পাইয়া আমার আহলাদ হইয়াছে।” ইহার অনেকদিন পর ডয়েলীসাহেব, যখন ভাগলপুরের কলেক্টর, সেখানকার কলের জলের জন্ত কিছু চাদ দিতে মহারাণীকে অনুরোধ করেন। তদুপলক্ষে মাতা আমার বলিয়াছিলেন, “কলিকাতায় তোমার ধাছে টাকা পাঠাইব । তুমি সাহেবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করিয়া তাহ তাকে দিও, কিন্তু বিশেষ করিয়া