পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৩৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছুর্ভিক্ষপীড়িগু ভারতে। - ఊsūt ७géीं★ डांज़ादेदांग्न अछ झांउँौ ठांशंद्र कांनফুটা হাতপাখার মত ক্রমাগত নাড়িতেছে। গুরুপদভরে পথ দলিত করিয়া, শান্ত-শিষ্টবণ্ড অক্লাস্ত হস্তী পৰ্ব্বতের উপরে উঠিতেছে। তাহার পাশ্বদেশে একটা গোলাকার গণ্ডশৈল, দেখিতে তাহারি মত ; না জানি, তিমিরাবৃত কোন দূর অতীতের মনুষ্যগণকর্তৃক কতকটা হস্তিদেহের অন্থকরণে এই গগুশৈলটি খোদিত হইয়াছিল ; উছাতে হস্তীর শুণ্ড, দীর্ঘদন্তসমন্বিত মস্তক, হস্তীর পশ্চাদ্ভাগ অস্পষ্টরূপে উৎকীর্ণ রহিয়াছে। ভা ছাড়, বিলুপ্তভাষায় লিখিত কতকগুলা উৎকীর্ণ-লিপি এবং পৰ্ব্বতের গায়ে খোদিত কুলুঙ্গির মধ্যে বহুসংখ্যক খোদিত দেবদেবীর প্রতিমাও রহিয়াছে । যাহার এই ভীষণ স্থানের প্রথম অধিবাসী, সেই পাল-রাজাদিগের ও জৈনদিগেরই এই সমস্ত কীৰ্ত্তি । নীচে,--জলস্ত উত্তাপময় প্রসারিত ক্ষেত্রের মধ্যে, ভাসমান একপ্রকার ভষ্মময় বাম্পের তলদেশে, প্রাচীন গোয়ালিয়ারের ভগ্নাবশেষসমূহ একটু-একটু দেখা দিতে আরম্ভ করিয়াছে; তা ছাড়া, নুতন গোয়ালিস্বার—সব শাদা—যাহাকে দেশীয় লোকেরা অবজ্ঞাসহকারে “লখুখর” (সৈন্ত ছাউনী ) বলে—তাহারও পাথরের বড়-বড় সৌধচুড়, মন্দিরচুড়াদি অয়-অন্ন দৃষ্টিগোচর হইতেছে। এখন মধ্যায়। আমাদের মাথার উপর প্রচণ্ড মাৰ্ত্তও অনলকণা বর্ষণ করিতেছেন ; পাথরগুলা এরূপ তাতিয়া উঠিয়াছে, মনে হয় নে অগ্নিকুও হইতে আগুনের কিরণ . নিচ্ছত হুইতেছে। নিস্তব্ধতা ও উত্তাপে বিহ্বল ছইঞ্জ ছিল,শকুনি ও কাকের নিজা বাইতেছে। ক্রমাগত উপরে উঠিয়া অবশেষে ভীষণ, দর্শন প্রাসাদসমূহের পদমূলে আসিয়া উপনীত হইলাম। এই প্রাসাদগুল একেবারে “খদের” ধীরে অধিষ্ঠিত এবং উহাদের জয়ী পৰ্ব্বতচূড়ার উচ্চতা যেন আরো বর্তি হইয়াছে। ছোট-ছোট-চুড়াসমম্বিত প্রাসাদের মুখভাগটি অতুলনীয়। সমানভাবে বসান প্রস্তরপিগু উপযুপিরি বিন্যস্ত হইয়া বরাবর প্রসারিত এবং বিবিধ-জীবজন্ত-ও-মঙ্গুষ্যআকৃতির অনুকুরণে রচিত নীল, সবুজ সোনালি রঙের প্রভূত খচিত-কাজে অলঙ্কত। এই সকল উত্তঙ্গ হর্গম প্রাসাদে গোরালিয়ারের ভূতপূৰ্ব্ব প্রবলপ্রতীপ ভূপতিগণ ষোড়শশতান পৰ্য্যস্থ বাস করিয়াছেন । - শেষের একটা প্রকাও দ্বার—নীলরঙের মিনার কাজে আচ্ছাদিত। এখনও মহারাজেন্ম সিপাহিরা এখানে পাহার দেয় ; এই দ্বার দিয়া একটা চুড়ার উপরিস্থ ময়দানে উপনীত হইলাম। এই ময়দানটি প্রায় দেড়মাইল । দীর্ঘ ; উহার সমস্তটাই দুর্গবপ্রে পরিবেষ্টিত । সমস্ত পশ্চিমভারতের মধ্যে ইহা সৰ্ব্বাপেক্ষা দুষ্প্রবেশ্য স্থান বলিয়া প্রসিদ্ধ। ঐতিহাসিক যুগ হইতে বোস্থরাজামাত্রেই এই স্থানটিকে আকাঙ্ক্ষার সামগ্ৰী বলিয়া মনে করিয়া জাসিক্ষীছেন—এই স্থানটি কত লেজিহর্ষণ যুদ্ধবিগ্ৰহ দেখিয়াছে—যাহার বর্ণনায় রাশিয়াশি গ্রন্থ পূর্ণ হইতে পারে। এই উত্তস্ক বিজনভূমিসৌধপ্রাসাদে, সমাধিমন্দিরে, সেৰালয়ে, সকল সভ্যতাস্তরের-সকল যুগের পুত্তলিকাসমূহে সমাচ্ছন্ন। যুরোপের এমন কোন স্থান নাই, বাহাৰু, শক্তি ইহার তুলনা হইতে পারে; বিলুপ্ত পুরাতন বৈক্তবাদি’