পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৩৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম সংখ্যা । ] বঙ্কিমবাবু ও স্বদেশী ইতিহাস। ●●》 • এখন বলিতে পারেন, এই আশ্বাসবাণী বাঙালীকে কে শুনাইয়াছিল ? বঙ্গ-ইতিহাসবদনে বিদেশীগণ যে গাঢ় কালিম লেপিয়াছিলেন, তাছা কোন বঙ্গমৃত মুছিল ? v রাজেন্দ্রলাল মিত্র, ৮ রাজকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় এবং ৮ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়—এই তিনজন বাঙালীর কলঙ্ক অপনয়ন করিয়াছিলেন । বঙ্কিম কি বলিতেছেন, শুমুন—( গ্রঃ, ২য় খ-, ৬৭৬) “যাহা ভারতের কলঙ্ক, বাঙ্গালায়ও সেই কলঙ্ক । এ কলঙ্ক আর ও গাঢ় । এখানে আরও দুর্ভেদ্য অন্ধকার । কদাচিৎ অন্যান্ত ভারতবাসীর বাহুবলের প্রশংসা শুনা যায়, কিন্তু বাঙ্গালীর বাহুবলের প্রশংসা কেহ কখন শুনে নাই। সকলেরই বিশ্বাস, বাঙ্গালী চিরকাল দুৰ্ব্বল, চিরকাল ভীরু, চিরকাল স্ত্রীস্বভাব,চিরকাল ঘুলি দেখিলেই পলাইয়া যায় । মেকলে বাঙ্গালীর চরিত্রসম্বন্ধে যাহা লিখিয়াছেন, এরূপ জাতীয়নিন্দ কখনও কোন লেখক কোন জাতিসম্বন্ধে কলমবন্দ করে নাই। ভিন্নদেশীয়মাত্রেরই বিশ্বাস যে, সে সকল কথা অক্ষরে অক্ষরে সত্য । ভিন্নজাতীয়ের কথা দূরে থাকুক, অধিকাংশ বাঙ্গালীরও এইরূপ বিশ্বাস । উনবিংশ শতাব্দীর বাঙ্গালীর চরিত্র সমালোচনা করিলে কথাটা কতকটা যদি সত্য বোধ হয়, তবে বলা যাইতে পারে, বাঙ্গালীর এক্ষণ এ দুর্দশা হইবার অনেক কারণ আছে। মান্বষকে মারিয়া ফেলিয় তাহাকে মরা বলিলে মিথ্যাকথা বলা হয় না কিন্তু ষে বলে, বাঙ্গালীর চিরকাল এই চরিত্র, বাঙ্গালী চিরকাল দুৰ্ব্বল, চিরকাল ভীরু, - স্ত্রীস্বভাব, তাহার মাথায় বঙ্গাঘাত হউক, छांशबू कषों भिषंn t" বঙ্কিমচন্দ্রের কথা আবার গুজুন— “যে বলে, বাঙ্গালী চিরকাল দুর্বল, চিরকাল ভীরু, স্ত্রীস্বভাব,তাহার মাথায় বজ্ৰাঘাত হউক, তাহার কথা মিথ্যা।” এই ভাষার ভিতরে কি দেখিতেছেন ? “বন্দে মাতরমূ”—সেই মধুমাখা স্বদেশীসঙ্গীত, যাহার মধুর স্বরতরঙ্গে অন্ত ভারত-আকাশ, ভারতপবন, ভারতদ্বদয় মুহুমুছ বিধুনিত হইয়া পূত হইতেছে—সেই স্বদেশপ্রেমকুমুমাঞ্জলি, যাহা, ভক্তিগঙ্গোদকে বিধৌত হইয়া মাতৃচরণকমলে অদ্য নিবেদিত হইতেছে — “সেই মধুর ‘মা-মা’-ধ্বনি যাহা কান পুরিয়া, প্রাণ ভরিয়া, বঙ্গস্বত-বঙ্গস্থত। আজি শুনিতেছে”—এই “বন্দে মাতরম্ সঙ্গীত উপরি-উক্ত কয়েকটি ছত্রের অন্তরালে রছিয়াছে। ঐ কয়েক ছত্রে, ঐ অতীতকালের চিস্তায়, ভবিষ্য আনন্দমঠের বীজ নিহিত । বঙ্কিমবাবু যাহা বলিলেন, ইতিহাস হইতে তাহা তিনি প্রতিপন্ন করিতে চাহেন, স্বদেশকে ইতিহাসের বাণীদ্বারা উৎসাহিত করিতে তিনি উৎসুক। কেন না, তিনি বুঝিয়াছিলেন যে, —“যে জাতির পূৰ্ব্বমাহায্যের ঐতিহাসিক স্মৃতি থাকে, তাহারা মাহাত্ম্যরক্ষার চেষ্ট পায়, হারাইলে পুনঃপ্রাপ্তির চেষ্টা করে। • e ইতালী অধঃপতিত হইয়াও পুনরুখিত ङ्हेब्रादह ।। ० ० दांत्रभूणांब हेडिशन कोहे, नङ्कद दात्रांगैौ कथन बांशद रहेष्व नः । যাহার মনে থাকে যে, এ ধংশ হইতে কখন भांशूरषद्र कांख एग्न नहेि, छांश रुहेरठ क९न भांशृषद्र कॉम एग्न नl । ङांशंद्र भत्र्ने है, বংশে রক্তের দোষ আছে।” ( ৬৭৯২থ ) বাঙালী ষে চিরকাল ছৰ্ব্বল, তীর ও