পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৩৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্গদর্শন।


صاحبھا۔�ج3ھ عجیحانة » به۔--سے۔

কংগ্রেসী কথা । o --r. G. జాrSS-s~ স্বশাসন না স্বায়ত্তশাসন ? কংগ্রেসের আদর্শ ও কাৰ্য্যপ্রণালীর :পরিবর্তন আবশুক কি না ? প্রশ্নটা পুরাতন । কিছুদিন হইতেই নানাভাবে ইহার আলোচনা চলিয়া আসিতেছে। কিন্তু এখনো বিষয়টা ঠিক পরিষ্কার হইয়াছে, এমন বলা যায় না। প্রথমে আদর্শের কথা । কংগ্রেসের বর্তমান আদশের পরিবর্তন আবশ্বক কি না? এ বিচারে প্রবৃত্ত হইবার পথেই এই বর্তমান আদর্শটা কি, ইহা ভাল করিয়া বোঝা আবশ্যক। কিন্তু এ বিষয়ে আমাদের সকলের মনে যে কোনোএকটা সত্য ও স্থির ধারণ আছে, এমন বোধ ङ्य़ नः । e মোটামুটি বলিতে গেলে, দেশের বর্তমান শাসনপ্রণালীর যথোপযুক্ত সংস্কারসাধনই কংগ্রেসের লক্ষ্য। এই শাসনযন্ত্রের পুনর্গঠন এই লক্ষ্যের বহির্ভূত। ভারতে ইংরেজের সাৰ্ব্বভৌম প্রভূশক্তির উপরে কংগ্রেসের আদর্শ প্রতিষ্ঠিত। এই প্রভূশক্তির রক্ষণাবেক্ষণাধীনে মুখ-স্বস্থ্যি-সম্পদ বৃদ্ধি করাই এতকাল ধরিয়া কংগ্রেসের লক্ষ্য হইয়া আছে । জন্মাবধিই কংগ্রেসের সকল চেষ্টা এই লক্ষ্যাভিমুখ হইয়া চলিয়াছে। প্রথম পাচ বৎসরকাল কংগ্রেসী আন্দোলনের মুখ্য বিষয় ছিল—দুটি । এক, ব্যবস্থাপকসভার সম্প্রসারণ ও সংস্কার ; দ্বিতীয়, রাজকাৰ্য্যে দেশীয়লোকের প্রতিষ্ঠা। জনসাধারণের নির্বাচিত প্রতিনিধিগণ ইংরেজরাজকৰ্ম্মচারিগণের সঙ্গে সম্মিলিত হইয়া দেশের আইনকামুন রচনা করিবেন,—কংগ্রেসের প্রথম প্রার্থনা ছিল এই। আর দেশের মধ্যে যাহারা যোগ্য ব্যক্তি, র্তাহারা বহুলপরিমাণে সৰ্ব্ববিধ রাস্তুকীৰ্য্যে নিযুক্ত হইবেন,—ইহাই ছিল কংগ্রেসের দ্বিতীয় প্রার্থন। । এই দুটিই মুখ্য প্রার্থন ছিল । অবাস্তর প্রার্থনা আরো কতকগুলি ছিল, কিন্তু কংগ্রেসের নেতৃবর্গও তৎপ্রতি প্রথমাবধিই তেমন মনোনিবেশ করেন নাই, আর আজ পর্য্যস্ত গবমেণ্টও তৎপ্রতি ক্ৰক্ষেপ করেন নাই। কংগ্রেসের তৃতীয় অধিবেশন, ১৮৮৭ সালে, মাম্রাজে হয়। সে অধিবেশনের ছুটি প্রস্তাব বিশেষ উল্লেখযোগ্য—একটি অস্ত্ৰ-আইন রদ করিবার জন্ত ; আর একটি দেশের লোককে সখের সেনাদলে ভুক্ত করিবার জন্ত। কংগ্রেসের জন্মদাতা মহামতি হিউম্ প্রথমাবধিই অস্ত্র আইনবিক প্রস্তাবের বিরোধী ছিলেন ;