পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

e8 উপাসনার পক্ষপাতিত দেখাইবে, ইহাতেও বিস্থিত হইব না। বঙ্কিমচন্দ্র মহাভারতসাগর মন্থন করিয়া যে মূৰ্ত্তিকে স্বদেশবাসীর সম্মুখে স্থাপন করিয়াছিলেন, তাহ যুগধৰ্ম্মপ্রবর্তকের মূৰ্ত্তি, তাহ ধৰ্ম্মরাজ্যসংস্থাপকের মূৰ্ত্তি ; ধর্শের সহিত অধৰ্ম্মের সংঘর্ষ উপস্থিত হইলে যে মূৰ্ত্তি গ্রহণ করিয়া তিনি সস্তৃত হন, উহা সেই মূৰ্ত্তি ; রাষ্ট্রবিপ্লব উপস্থিত করিয়া যিনি রাষ্ট্ররক্ষা করেন, উহা তাহার মূৰ্ত্তি ; জীবনসংগ্রামে তীবন ধ্বংস করিয়া যিনি জীবন রক্ষা করেন, উহ র্তাহার মূৰ্ত্তি ; লোকস্থিতির অনুরোধে যিনি নিৰ্ব্বিকার ও নিষ্করণ হইয়া , বসুন্ধরাকে শোণিতক্লিন্ন দেখিয়া থাকেন, উহ। তাঁহারই মূৰ্ত্তি। যিনি বিশ্বজগতের রক্কে রন্ধে সঞ্চারিত করুণাপ্রবাহের একমাত্র উৎস, তিনি যে কি কারণে ও কি উদ্দেষ্ঠে এই নিক্ষরুণমূৰ্ত্তি পরিগ্রহ করিয়া জীবরক্তে বহুধা সিক্ত দেখিতে বাধ্য হন, তাহা তিনিই জানেন ; মন্বয্যের শাস্ত্র এখানে মূক ; , অথবা এই মূৰ্ত্তিগ্রহণ সেই সনাতনী মায়ার সহিত অভিন্ন,—যাহা হইতে এই বিশ্বজগতের জন্মাদি,যাহা হইতে জীবের জীবন, যাহা হইতে জীবনে বহিঃপ্রকৃতির সহিত অন্তঃপ্রকৃতির নিরস্তর সামঞ্জস্তস্থাপনের চেষ্ট ঘটতেছে, যাহা হইতে মানবের সকল খের নিদান সেই খৃষ্টানকথিণ্ড পাপপ্রবণতার উৎপত্তি হইয়াছে ; অথবা কবির ভাষায় বলিতে পারি,— ईश्, আধ-সত্য, জ্ঞানী যখন তাহার আমার মধ্যে জগৎকারণের সন্ধান পাইবেন, ” যখন তিনি আপনাকেই এই জগন্তান্তির কারণ বনু জানিতে পরিবেন, যখন উারা অণু জগৎবল্প উৰােধনে বিলীন बअन#fब ।। [૭% ૬ ના হইবে, তখন সেই মহাস্বপ্নভাঙা দিনে ৰে আধ-সত্য = * . সত্যের সমুদ্রমাৰে হন্ত্ৰে বাবে লীন । আমাদের সময়ের উপযোগী ও অবস্থার উপযোগী যুগুধৰ্ম্ম নির্দিষ্ট করিবার সময় উপস্থিত হইয়াছে, তাহ বঙ্কিমচন্দ্র স্পষ্ট বুঝিরাছিলেন এবং তাহ আমরা এ বৎসর বেশ বুঝিতে পারিতেছি। আমাদের দেশে রাষ্ট্রশক্তি যাহাদের হস্তে ধৃত রহিয়াছে, তাহারা আমাদিগকে রাষ্ট্রযন্ত্রের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বলিয়া ভাবেন, কিন্তু আমাদের সজীবতাসম্বন্ধে তীহাদের কোনরূপ স্পষ্ট ধারণা নাই। বর্তমানসময়ে রাষ্ট্রযন্ত্র র্যাহারা চালাইতেছেন, তাহারাষ্ট আমাদের ভাগ্যবিধাতা ; আমাদের ভাগ্যবিধানে আমাদের কোন কর্তৃত্ব নাই ; কিন্তু আমরা জড়পদার্থ কিংবা সজীবপদার্থ সেট নির্ণয় করা উভয় তরফেক্ট আবখ্যক হইয়াছে। কল টিপিলেষ্ট কলের পুতুল হাতপা নাড়ে, চোখ ঘুরায় ও প্যাকৃপ্যাক্ করে ; উহাকে যে নিয়মে চালান যায়, ক্ষুদ্র একটা পিপীড়াকে বা ছারপোকাকেও সে নিয়মে চালান যায় না। আমাদের রাষ্ট্রনিয়ন্ত আমাদিগকে এতাবৎ কলের পুতুল মনে করিয়া চালাইয়াছেন, এবং আমরা তৎকর্তৃক চালিত হইয়া প্রচুরপরিমাণে হাতপা নাড়িয়াছি ও প্যাকৃপা করিয়াছি; —কখনও কিছুমাত্র আপত্তি করি নাই। এ বৎসর আমাদের মনে সন্দেহ জন্সিয়াছে যে, আমাদের হয় ত কিঞ্চিৎ জীবনীশক্তি রচিয়াছে এবং সেই সন্দেহের উপর নির্ভর করিয়া আমরা স্বতঃপ্রবৃত্ত হইয়াঘাড় নাড়িতে আরম্ভ করিয়াছি। আমাদের অন্তরের মধ্যে যেন মান-অপমানের বোধ আছে, এইরূপ আমাদের অনুভব