পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৩৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

'अझैध जश्षा । ] কংগ্রেী ফথ । Co. শুদ্ধ পঞ্চবঙ্গ বা বাহুবলেরই প্রাধান্য প্রতিষ্ঠিত হয়। সেখানে কেবল পশুবলপ্রয়োগেই এরূপ অসাধু চেষ্টা সফল হইতে পারে। আর যেখানে এরূপই ঘটে, সেখানে বঞ্চিত ব্যক্তি যতদিন না আত্মশক্তির প্রতিষ্ঠার স্বারা তাহার অলীক অভিভাবকের শক্তিকে একান্ত অভিভূত করিতে পারিয়াছে, ততদিন অন্য কোনো উপায়ে তাহার স্বাধিকাবে প্রতিষ্ঠিত হইবার সম্যকৃ্য যোগ্যতা প্রমাণিত ङ्य़ नः । 象 এই সকল ভাব, চিস্তা ও বিচারের ফলে দেশে এক অভিনব রাজনৈতিক আদর্শ প্রকাশিত হইতে আরম্ভ করিয়াছে। ইহার লক্ষ্য কেবল স্বশাসন নহে, কিন্তু স্বায়ত্তশাসন । ইহার প্রণালী ইংরেজের সম্মুখে বাগবিতণ্ডা করিয়া শাসনকার্য্যে ব্রিটিশরাজপুরুষগণের সাহচৰ্য্য করিবার যোগ্যতাপ্রতিপাদন নহে, কিন্তু দেশের লোকের আত্মশক্তি, আত্মজ্ঞান ও আত্ম সম্মান জাগ্রত করিয়া সৰ্ব্বতোভাবে রাজশক্তির সমক্ষে ও সমকক্ষে প্রজাশক্তিকে প্রতিষ্ঠিত করা। এই শক্তি একবার জাগ্রত ও স্বপ্রতিষ্ঠিত হইলেই কেবল, আময় আমাদের জাতীয়জীবনের প্রকৃত চরিতার্থতা লাভ করিতে পারিব, অন্যথা নহে। . ংগ্রেস এতকাল ধরিয়া যে আদর্শের অমুসরণ করিতেছিল, এখন তাহাকে সে আদর্শ বর্জন করিয়া স্বায়ত্তশাসনের উন্নততর ও মহত্তর আদর্শ গ্রহণ করিতে হইবে। আর স্বশাসনের লোভ জয় করিয়া, কঠোরতর ৰায়ত্বশাসনের জন্ত মহাসাধনে নিযুক্ত হইলেই, to o কংগ্রেসকে পুরাতন ভিক্ষানীতি পরিহার করিয়া স্বাবলম্বন ও আত্মপ্রতিষ্ঠার পস্থা অম্বুসরণ করিতেই হইবে । স্বশাসন যতদিন আমাদের লক্ষ্য ছিল, ততদিন যাহাদের উপরে শাসনভার অপিত আছে, তাহীদের মনস্তুষ্টিসম্পাদন সমীচীন নীতি বলিয়া সহজেই পরি. গণিত হইত। কিন্তু এখন স্বায়ত্তশাসন আমাদের লক্ষ্য, সুতরাং রাজপুরুষগণের কার্য্যাকার্য্যের প্রতি যথাসম্ভব উদাসীন হইয়া এখন আমাদিগকে প্রকৃতিপুঞ্জের শিক্ষাবিধান ও সংহতিসাধনে নিযুক্ত হইতে হইবে । সুশাসনের পন্থা ছিল আবেদন ও আন্দোলন ; স্বায়ত্তশাসনের মূলমন্ত্র হইবে বোধন ও গঠন ; —প্রজাশক্তিকে উদ্বুদ্ধ করা,... প্রজাশক্তিকে বিবিধ সামাজিক ও রাষ্ট্রনৈতিক অনুষ্ঠান ও প্রতিষ্ঠানের আকারে গড়িয়া তোলা । এই সকল উপায়ে একবার দেশের প্রজাশক্তি জাগ্রত, সংহত ও সংগঠিত হইয়া রাজশক্তির সমক্ষে ও সমকক্ষে দণ্ডায়মান হইলে, দেশের জনমণ্ডলীর প্রতিনিধি ও স্বাভাবিকু নেতৃবর্গের দেশের শাসনসংরক্ষণ করিবার যোগ্যতা ও অধিকার যুগপৎ প্রমাণিত ও প্রতিষ্ঠিত হইবে, তখন আর এ বিষয়ে প্রমাণাস্তরের কোনোই অপেক্ষ থাকিবে না। আর যতদিন না প্রজাশক্তি জাগ্রত ও সংহত হইয়াছে, ততদিন কোনো পুরীক্ষায়, কোনো আন্দোলনে, কোনো আর্তনীদে—এ যোগ্যতাও প্রমাণিত হইবে না, এ অধিকারও প্রতিষ্ঠিত হইবে না ।* "ঐবিপিনচন্দ্র পাল । 營 এই গ্ৰক ম’নাম পূর্কে লিখিত