পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৩৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

जकेब ज६थT । ] বারাণসীর অভিমুখে। ©tro বিশ্বাসগুলি যেন একে-একে বরিয়া পড়ি তেছে । কিন্তু তাহার স্বকীয় যুক্তিবিচারে অটল,—স্বকীয় সিদ্ধান্তে বেশ সন্তুষ্ট। যে দুইটি লোকের সহিত আমার কথা হইতেছিল, দুজনেই বেশ এদিকে আতিথেয়, সহৃদয় ও আদর-অভ্যর্থনায় সুপটু। প্রথমটি স্কুরোপীয়,—আমাদিগের নানাপ্রকার আন্দোলন ও অনিশ্চিততায় শ্রান্তক্লাস্ত হইয় ইনি বুদ্ধপ্রবর্তিত সন্ন্যাস অবলম্বন করেন, এবং এক্ষণে থিওসফিষ্টসভার সভাপতি হইয়াছেন ; অন্তটি একজনু হিন্দু ;-আমাদের যুরোপীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চ উপাধি অর্জন করিয়া ভারতে প্রত্যাবর্তন করিয়াছেন এবং এক্ষণে ইনি আমাদের পাশ্চাত্যদর্শনাদি কতকটা অবজ্ঞার চক্ষে দেখিয়া থাকেন । আমি উত্তর করিলাম, -- তুমি বলিতেছ, আমাদের অন্তরস্থ কোন-এক পদার্থ—আমাদের ক্ষণস্থায়ী ব্যক্তিত্বের একটু অংশ,– কিয়ৎকালের জন্ত মৃত্যুর আঘাতকে প্রতিরোধ করে, তাহার অকাট্য প্রমাণ তোমরা পাইয়াছ । অন্তত এই অকাট্য প্রমাণটি কি, তুমি আমাকে দেখাইতে পার ?”... e তিনি বলিলেন,—“যুক্তির দ্বারা আমরা তাহা সপ্রমাণ করিব ; কিন্তু চাক্ষুষ প্রমাণ যদি চাহ, তাহ আমরা দিতে পারিব না...যাহাদিগকে লোকে অযথারূপে, মৃত বলে—( কেন না, আসলে কেহই মরে না ) সেই মৃত ব্যক্তিকে দেখিবার জন্ত বিশেষ ইন্দ্রিয় আবশুক, বিশেষ অবস্থা ও বিশেষ মানসিক প্রকৃতি আবস্তক। কিন্তু আমাদের কথায় তুমি বিশ্বাসস্থাপন করিতে পার ; আমরা -দেখিয়াছি এবং আমাদের স্থায় বিশ্বাসযোগ্য আরো অন্ত লোকে মৃতব্যক্তিদিগের অপচ্ছায়া দেখিয়াছে এবং তাহার সমস্ত পুঙ্খাস্তুপুঙ্খ বিবরণ লিপিবদ্ধ করিয়াছে। দেখ, এই পুস্তকাগারের এই সকল পুস্তকে ঐ সমস্ত বিবরণ পাওয়া যায়...কাল যখন তুমি আসিয়া, আমাদের সঙ্গে বাস করিযে, তখন এই সকল পুস্তক পাঠ করিও ।”--- . আমি তবে কেন এত কষ্ট করিয়া ভারতে আসিলাম,—য়ে ভারত সমস্ত মানবীয় ধৰ্ম্মমতের পুরাতন আদিমনিবাস-~ যদি এই পুস্তকাগারের পুস্তকেই সমস্ত কথা জানা যাইতে পারে ; মন্দিরসমূহের মধ্যে,— ব্রাহ্মণ্যধৰ্ম্ম পৌত্তলিকতার অন্ধকারে সমাচ্ছন্ন ; আর এখানে,—শাক্যমুনিকৃত একপ্রকার প্রত্যক্ষবাদের ( Positivism ) নব-সংস্করণ এবং সমস্ত পৃথিবী হইতে সংগৃহীত কতকগুলা প্রেতবাদের গ্রন্থ দেখা যাইতেছে।... আরো খানিকটা নিস্তব্ধতার পর, আমি জিজ্ঞাসা করিলাম,—মনে-মনে বুঝিতেছি, এবার আমি ছেলেমানষি-কৌতুহলের নিম্নভূমিতে নামিয়া আসিতেছি—তাই ভয়েভয়ে জিজ্ঞাসা করিলাম ;–“আপনার কি সাধুসন্ন্যাসীদিগের সন্ধান আমাকে বলিতে পারেন, —ভারতের সেই সব সাধু-সন্ন্যাসী, যাহারা সিদ্ধপুরুষ বলিয়া প্রখ্যাত, যয়ার নানাপ্রকার অদ্ভুতকার্য্য, এমন কি, অলৌকিক কাৰ্য্য সাধন कबिएड प्राप्त्वन; अखज्र ऊंश रुश्रण हेश সপ্রমাণ হইতে পারে যে, এখানে এমন কিছু, আছে, যাহা আমাদের অতীত—যাহা অতিভৌতিক, যাহা অতিমামুষিক ।” • আমার সম্মুখে,যে হিন্দুটি বসিয়াছিলেন, তিনি তাহার তাপসস্থলভ নেত্রদ্বয় উৰ্দ্ধে