পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৪০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अकेय সংখ্যা। ] ব্যঞ্জনবর্ণের উচ্চারণ | రిపిe বকরকে মূৰ্দ্ধন্য নাম দিয়া ‘খ’ কিংবা প্রায় খ অথবা আংশিক ‘খ’র দ্যায় উচ্চারণ করা কখনই সঙ্গত হইতে পারে না। এই অসঙ্গতিদোষ পরিহারপূর্বক উচ্চারণ করিতে গেলে ষকারের উচ্চারণ তাহার বঙ্গীয় উচ্চারণ ভিন্ন অন্তকোন প্রকার হইতে পারে না । যকারের এই উচ্চারণবৈষম্যের কারণ নির্দেশ করা কঠিন, তবে এইমাত্র বলা যায় যে, ভাষাতত্বের আলোচনা করিতে করিতে স্পষ্টই প্রতীতি হয় যে, আর্য্যগণ ভারতবর্ষে ङिझ डिग्न मष्टानां८म्न डिग्न- डिग्न ८म* श्रुं८ऊ ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন পথে সমাগত হইয়াছিলেন । লোকের ধারণা এইরূপ যে, যেন তাহারা ঠিক এক সময়ে এক দেশ হইতে এক সঙ্গে এক সম্প্রদায়ে এদেশে আসিয়াছিলেন, এবং এক পথে যাতপাথর( Rolling stone)-as stā orgtērs argiইতে আদিমবাসীদিগকে দলিত করিয়া পশ্চিম হইতে পূৰ্ব্বদিকে ক্রমে বিস্তৃত হইয়াছিলেন। ভাষাতত্ত্বের আলোচনা করিয়া আমাদের সেই বিশ্বাস বিদূরিত হইয়াছে। দেশকালপাত্রবিশেষে উচ্চারণের বৈষম্য ঘটে । শকারাদি বর্ণের উচ্চারণবৈষম্যের তাহাই কারণ বোধ হইতেছে । আর দেখিতেছি, ( ১ ) উচ্চারণব্যতিক্রমের নিয়মানুসারে ‘ঘ’-স্থানে হ হয় এবং গ্রীস, পারস্ত ও বঙ্গদেশের পূৰ্ব্বাংশে এই প্রকার উচ্চারণ প্রচলিত আছে। ( ২ ) আবার দেখিতে পাই, খ, ঘ, থ, ভ ইত্যাদি সকল মহাপ্রাণবর্ণের স্থানেই হ’ হইয়া থাকে, তাহার মৌলুিক কারণ পূৰ্ব্বে বিবৃত হইয়াছে। (৩) আরও দেখিতে পাই, হ-স্বানে কচিং ‘খ’ উচ্চারণ হয়। কারণ, ঐ দুই বর্ণের উচ্চারণ H স্থান এক। যেমন ইজ লিতে বলিতে জি'র স্থায় উচ্চারণ হইয় পড়ে, তেমনি 'হ বলিতে বলিতে ‘খ’র দ্যায় হইয়া পড়ে । ‘হ’-স্থানে ঘ, থ, ভ প্রভৃতি অন্য কোন মহাপ্রাণ বর্ণ হইতে পারে না, কেবলমাত্র ‘খ’ই জুইতে পারে এবং হইয়া থাকে। পূৰ্ব্ববঙ্গে যাত্রার দলে ছেলের মহারাজ বলিতে মখারাজ বলে, ইহ ঠিক ‘খ’ নহে, পারস্তদেশীয় খে’র দ্যায় উচ্চারিত शृङ्ग । এই প্রকারে পুরুষ= পুরুহ =পুরুখ। অর্থাৎ ‘খ’ মূৰ্দ্ধন্ত ৰ’র উচ্চারণব্যতিক্রম মাত্র । ইহা প্রকৃত উচ্চারণ নহে । - ভারতবর্ষ একটি মহাদেশ । আর্য্যগণ বিভিন্ন সম্প্রদায়ে নানা স্থান হইতে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে এদেশে আসিয়া পৃথক পৃথক্ রাজ্য স্থাপনপূৰ্ব্বক এতকাল স্বতন্ত্রভাবেই বাস করিতেছিলেন । তখন বাষ্পীয় যান, বাষ্পীয় পোত, টেলিগ্রাফ প্রভৃতি ছিল না ; সুতরাং দুরতাবশত তাহারা পরস্পর বিচ্ছিন্নভাবেই বাস করিতেছিলেন। এখন সেদিন নাই, সে দুরতা তিরোহিত হইয়া ভারতীয় আৰ্য্যগণ এক হইয়াছেন। এখন তাহাদের ভাষাবৈষম্যের কারণসকল নিৰ্ম্মলিত করিয়া সৰ্ব্বসম্মত বিশুদ্ধভাষার পরিচালন আবশ্যক। এখন কেহ ছিওরাম, কেহ শিবরাম বলিলে চলিবে নু। পুৰ্ব্বে আমরা বঙ্গদেশে বসিয়া বাঙালীর সঙ্গে কথা বলিভাম, তাহাতে উচ্চারণদোষ হইলে কেহ ধরিবার লোক ছিল না । বাঙালী, বক্তা, বাঙালী শ্রোতা তখন ছ-স্থানে য বলুক কিংব ষ-স্থানে ছ বলুক, শ্রোতা-বক্তা দুই-ই যখন একভাৰী, তখন তাহ কে ধৰুিয়াছে ? এখন দেশের অবস্থা অন্তরূপ, এখন "অশুদ্ধোচ্চারণ করিলে